পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२ - ـیـ= ہے لیے بین = = = -ہے== many from the one) বুঝিতে পারাও তেমনি; উভয়ই সহজ ভাবিলে সহজ হইতেও সহজ, কঠিন ভাবিলে কঠিন হইতেও কঠিন । অনেকানেক পরীক্ষিত বিষয়ের সূত্র অবলম্বন করিয়া সাধারণ হইতে সাধারণ-তর নিয়মে আরোহণ করা বিজ্ঞানের পদ্ধতি ; আর, এক মূলতম বিশুদ্ধ জ্ঞান এবং ইচ্ছা হইতে বিচিত্র বিশ্বব্যাপারে অবরোহণ করা দর্শনের পদ্ধতি, এ দুই পদ্ধতির মধ্যে এপিট ওপিট সম্বন্ধ । কেননা, যে যুক্তি অনুসারে অনেকানেক ঘটনা হইতে এক এক মূল-নিয়মের সন্ধান পাওয়া যায়, সেই যুক্তি অনুসারেই এক এক মূল-নিয়ম হইতে অনেকানেক ঘটনার অভিব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায় । যে পথ দিয়া যাওয়া যায়, সেই পথ দিয়াই আসা যায় ; তার, যে পথ দিয়া আসা যায়, সেই পথ দিয়াই যাওয়া যায় । কাজেই বিজ্ঞান যে, স্থল ঐন্দ্রিয়ক জগৎ হইতে ক্রমে ক্রমে সূক্ষাৎ সূক্ষতর বৈজ্ঞানিক নিয়মে পদ নিক্ষেপ করিতেছেন ; এবং দর্শন যে, সক্ষা জ্ঞান হইতে ক্রমে ক্রমে স্থল জগতের অভিব্যক্তিতে পদনিক্ষেপ করিতেছেন ; দুয়ের পথ যাহা তাহা একই—দিকেরই কেবল প্রভেদ । উপমা এবং কল্পনা ছাড়িয়া দিয়া, আমরা স্থিরচিন্তে প্রণিধান করিয়া দেখিলেই বুঝিতে পারি যে, বিজ্ঞান এবং দর্শন উভয়ই একলাক্যে বলিতেছে ( কথায় না বলুক্‌ কিন্তু ভাবে-গতিকে বলিতেছে—কাজে বলিতেছে) যে, সূক্ষ-রূপী এক স্কুল-রূপী অনেকের দ্যোতক (অর্থাৎ সূক্ষের অালোকেই স্থল-সকল জ্ঞানের আয়ত্তাভ্যন্তরে উপনীত হয়—যেমন সূক্ষ ভারাকর্ষণের আলোকে জোয়ার ভাটা প্রভৃতি স্থল অভিব্যক্তি-সকল জ্ঞানের আয়ত্তাভ্যন্তরে مصفـحـ তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা । ३२ यछ, ७ छात्र

ബ = ബ . . =ہ =خ=-- s ہے لیے л в

S LLLTTS TT TSTA T TMAMMS MSAAAAAAASLA SL TT ST AAAAA উপনীত হয়) ; আর, সূক্ষ এবং স্থলের মধ্যে—এক এবং অনেকের মধ্যে—জ্ঞান এবং জড়ের মধ্যে—সমস্ত দ্বন্দ-যুগলের মধ্যে—নিরবচ্ছিন্ন সোপান-পরম্পরা পুখানুরূপে বর্তমান । এই সোপান-পরম্পরা অবলম্বন করিয়াই বিজ্ঞান-বিং পণ্ডিত জড়ের অভ্যন্তরেও জ্ঞানোপযোগী নিয়ম সকল অন্বেষণ করেন এবং দর্শনবিং পণ্ডিত জ্ঞানের অভ্যন্তরেও জড়োপযোগী শক্তিসকল অন্বেষণ করেন । নিয়ম-হীন শক্তি এবং শক্তি-হীন নিয়ম উভয়ই অঙ্গহীন ;— নিয়ম-হীন শক্তি অন্ধ শক্তি ; শক্তি-হীন নিয়ম অকাৰ্য্যকর শূন্য নিয়ম। দুয়ের একাধার-বৰ্ত্তিতাতেই দুয়ের পূর্ণত হয় ; ‘ অতএব সমস্ত অপূর্ণ এবং আপেক্ষিক সত্যের মূলে এক যিনি অদ্বিতীয় পূর্ণ সত্য, র্তাহাতে সমস্ত জ্ঞানের নিয়ম এবং সমস্ত জড়-জগতের শক্তি একাধারে বর্তমান— এইটিই বিজ্ঞান এবং দর্শন উভয়েরই সার সিদ্ধান্ত ; আর, মুখ্য-রূপে ধরিতে গেলে, এটি বিজ্ঞানেরও তত নহে—দর্শনেরও তত নহে—ঘত অন্তর-তম বিশুদ্ধ জ্ঞানের সারসিদ্ধান্ত । বিশুদ্ধ জ্ঞান—বিজ্ঞান এবং দশন দ্বারা মার্জিত হয় মাত্র ; আর এক দিকে তেমনি ৰি শুদ্ধ জ্ঞান প্রীতি ভক্তি দ্বারা পরিপুষ্ট হয় মাত্র; কিন্তু বিশুদ্ধ জ্ঞান বিশুদ্ধ জ্ঞানই—তাহা বিজ্ঞান দর্শন প্রীতি ভক্তি সকলকে লইয়া সকলেরই মূলে অবস্থিতি করে। বিশুদ্ধ-জ্ঞানেই এই তত্ত্বটি সুস্পষ্টরূপে মুদ্রাঙ্কিত রহিয়াছে যে, সমস্ত জগৎ এক মহাশক্তি-পূর্ণ মহাজ্ঞানেরই মহিমা । ॐचह्नि ] শ্ৰীপ্রভাতচন্দ্র সেন ।