পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b"


- - -- "" " " --

হন না, যে চন্দ্রমায় অবশ্যই জানিতাম। জ্ঞানলাভের দ্বার বহু। তন্মধ্যে একটি পথ আমার নিকটে অবরুদ্ধ থাকিতে পারে বটে, কিন্তু তাই বলিয়া অপর বক্সগুলি যে একেবারে প্রতিরুদ্ধ তাহ কে বলিল। একদিক দিয়া সিদ্ধান্তে অগ্রসর হইতে গিয়া ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্বন্ধে বিফলমনোরথ হইতে পারি বটে, কিন্তু এমন শত শত পথ আমাকে তাহার উজ্জ্বল স্বরূপের নিকটে লইয়া যাইবার জন্য আমার সম্মুখে চির-প্রমুক্ত হইয়াছে। ইহ পূর্বেই উক্ত হইয়াছে যে নাস্তিবাদের কোন মূল্য নাই, যে পৰ্য্যন্ত না ইহা আস্তিক মত গুলিকে খণ্ডন করিয়া— আপনি একটি মত স্থাপন করিতে পারে। এই আস্তিক মত মধ্যে মুখ্যতঃ একটি নাস্তিকের খণ্ডনের বিষয় হইতে পারে। নাস্তিক বলিতে পারেন এই জগৎকার্য্যের শক্তি যাহা ঈশ্বরেতে আছে তাহা পর্য্যাপ্ত নহে । এবং জগতে অমঙ্গল আছে ইত্যাদি । জগৎ কার্য্যে ঈশ্বরের শক্তি পর্য্যাপ্ত নয় এবং আপাত প্রতীয়মান সামঞ্জস্যবিহীন ঘটনা কোন কল্যাণ প্রসব করে না যদি তিনি ইহা প্রতিপন্ন করিতে পারেন তবে জানি যে আস্তিকতা কিছুই নহে। কিন্তু যখন দেখিতেছি এক পরিপূর্ণ প্রথম কারণ সমুদয় জগত সমুদয় ঘটনার একমাত্র প্রসবিতা, তখন আর আস্তিকতা কেমন করিয়া অসঙ্গতি দোষে দোষী হইতে পারে। যখন দেখিতেছি যে ঈশ্বর নিরবলম্ব, র্তাহাকে অবলম্বন করিয়া জগৎ সংসার সমুদয় লোক সকল প্রাণী স্থিতি করিতেছে, যখন উভয়ের মধ্যে আশ্রয় ও আশ্রিত সম্বন্ধ বিদ্যমান রহিয়াছে, যখন সকলে মিলিয়া ঈশ্বরের সুমহান উদ্দেশ্য সফল তত্ত্ববােধিনী পত্রিক নাই, থাকিলে | করিতেছে, যখন র্তাহাকে ধরিয়া জগতের १९ कछ, ७ छांन - = - =ജ ജ আপাত প্রতীয়মান সামঞ্জস্যবিহীন ঘটনা ও অবস্থা বহুকল্যাণ উদগীরণ করিতেছে, তখন অণর জগৎ কার্য্যে অমঙ্গল কোথায় রহিল । নাস্তিক বলিবেন অনন্ত ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করিতে গেলে, এই সসীম বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের এমন এক কারণ স্বীকার করিয়া লইতে হয়, যিনি এই বিশ্বস্বজনের প্রয়োজনাপেক্ষা অতিরিক্ত শক্তি ধারণ করেন । আরও তিনি বলিতে পারেন যে এরূপ : প্রয়োজনাপেক্ষা বহুগুণে অধিকতর অ নন্ত শক্তিসম্পন্ন কারণ স্বীকার করিবার আবশ্যকতা নাই, যেহেতু এরূপ স্বীকার । যুক্তিসম্মতও নহে; কারণ ইহা এক প্র কার মশা মারিতে কামান পাতা। তবেই হইল সসীমের কারণ অসীম অনন্ত ন৷ হইয়া সসীম, কেননা তদ্ভিন্ন আর গত্য ন্তর নাই । সুতরাং আমাদিগকে সসীম স্বষ্টির কারণানুসন্ধানে ক্রমাগত পশ্চাদপদ হইতে হইবে। যদি কেহ জিজ্ঞাসা করেন, এ বৃক্ষ কোথা হইতে আসিল আমি বলিব ফল হইতে, ফল কোথা হইতে আসিল, বৃক্ষ হইতে, তুমি কোথা হইতে অtসিলে পিতা হইতে, পিতা কোথা হইতে আসিলেন,পিতামহ হইতে,পিতামহ কোথা হইতে র্তাহার পিতা হইতে ইত্যাদি । এরূপে কোন এক বস্তুর কারণানুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইয়া আমাদিগকে ক্রমাগত অতীতের গর্ভে প্রবেশ করিতে হয়, ইহাকেই বলে অনবস্থা দোষ । ইহাতে কেবল এক কারণপ্রবাহে ভাসমান হইতে হয় । সেই জন্যই বলিতেছি যে ঈশ্বরে বিশ্বাস আমারদের যারপর নাই স্বাভাবিক, তর্কশাস্ত্র দ্বারা আমরা তাহার অস্তিত্বে উপনীত হই না। বাহ্যজগতের পর্য্যা