' "' "، وهو of তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা
- २ कब्र, 3 छाणि
পদে ধৈৰ্য্য, অনিষ্টাচরণে ক্ষমা, ধৰ্ম্মে ঐকা-৭ টিল ভ্ৰকুটা প্রদর্শন করিবে। বাহ্যজগ ন্তিকী নিষ্ঠা, উচ্চ আশা, ঘোর সঙ্কটে অভয় এ সকল ভাব কোথা হইতে আসিল। যখন অন্ধ শক্তি ও জড় উপাদান ভিন্ন আমার দের সঙ্গতি নাই, তখন স্বীকার করিতে হইবে, যে এতদুভয়ের সম্মিলনে বা কোন একটি হইতে জগৎকার্য্যে জ্ঞানের উন্মেষ ও মনুষ্যে জ্ঞানবুদ্ধি দেখা দিয়াছে। অন্ধশক্তি ও জড়উপাদানে যদি এক উন্নততর ও সূক্ষতর বস্তুর উৎপাদন সম্ভব হয়, তবে জানি না কি হইতে কি উৎপন্ন না হইতে পারে । অথবা এই শক্তির যদি এমন প্রভাব থাকে যাহা হইতে স্বষ্টিকার্য্যে জ্ঞান ও বুদ্ধির সঞ্চর হইতে পারে, তবে এই শক্তি জড়শক্তি নহে, ইহা জ্ঞানাত্মক শক্তি ! এই জ্ঞানাত্মক শক্তিই ত নৃপম কৌশলের প্রসবিত ও মনুমের জ্ঞানশক্তির প্রেরয়িতা । এই অতুল্য শক্তিমান জ্ঞানাত্মক শক্তিকে স্বীকার করিলে তার জড় উপাদানের নিত্যতা স্বীকার করিতে হয় না। এই জ্ঞানাত্মক শক্তিই আপনাতে আপনি পরিপূর্ণ সৰ্ব্বশক্তিমান ও মঙ্গল সরূপ । ইনিই আলোচনা করিলেন, আর তরুলতা ফলফুল প্রাণীজঙ্গম সমন্বিত বিশ্ব স্বস্ট হইল । জ%াতে স তপোই তপ্যত স তপস্তপ্ত, যদি দং কিঞ্চ । ইদং সৰ্ব্বল মস্থ জত ঈশ্বরের অস্তিত্বে উপনীত হইবার দুইটি পপ, প্রথম আন্তদৃষ্টি দ্বিতীয় বহিদৃষ্টি । ঈশ্বর মেমন অণন্তাপ্রত্যয় সিদ্ধ তেমনি তাবার দাহ্যজগত তাহার অস্তিত্বের চূড়ান্ত সাক্ষা ! স্বেচ্ছাচারিত ও পাপের কুটিল পথকে হুগম করিবার জন্য যদি আত্মরূপ বিমল দপণ হইতে ঈশ্বরের স্বপ্রকাশ ছবি সৃড়িয়া ফেলি, তাহা হইলেও বাহ্যজগত আমারদিগের প্রতি বিস্ময়াপন্ন হইয়৷ কু তের স্বষ্টি প্রণালী অন্য রূপ কারণপ্রসূত বলিয়া যদি অসত্য যুক্তির অবতারণা করি, তথাপি তাহা অমোঘ তর্কসংগ্রামে তিষ্ঠিতে পরিবে না। আত্ম প্রত্যয় বা বাহ্যজগত যাহার অস্তিত্বের বিশদ প্রমাণ, কুতর্ক কতক্ষণ র্তাহাকে আমারদিগের নিকট হইতে দূরে রাখিতে পারে । ঈশ্বরের অস্তিত্ব, সকল প্রকার তর্কতরঙ্গের অতীত বলিয়া যতই আমরা নিজ ক্ষুদ্র বুদ্ধিবলে র্তাহাকে মন হইতে অপসারিত করিতে চাই, তত র্তাহার দুর্জয় অস্তিত্ব আমারদের কূট বুদ্ধির মধ্য হইতে ও অগপ-৷ হইতে প্রকাশিত হইয়। পড়ে । যাহা বাস্তবিক সত্য তাহাকে অসত্য বলিয়া প্রমাণ করা যারপর ন। ই অসম্ভব । তা হ্লার অভ্যন্তরে প্রবেশ 博 কর, সেখানে ঈশ্বরের সংমোহন মূৰ্ত্তি দে খিতে পাইলে, বাহ্য জগত তালোচনা কর সেখানকার জড় আবরণের মধ্যেও তাহাকে প্রচ্ছন্ন দেখিলে । ব্রাহ্ম-সন্মিলন । ব্রাহ্মসমাজ আজ কাল তিনটী দলে বিভক্ত। এই তিন দলের ব্রাহ্মদিগের মধ্যে অনেক বিষয়ে মত প্রভেদ আছে । ধৰ্ম্ম বিষয়ে স্বাধীন চিন্তা যে ধৰ্ম্মসমাজের অনুমোদিত, সে সমাজের লোকের মধ্যে যে সকল বিময়েই মতের একতা থাকিবে তাহা আশা করা যাইতে পারে না । কিন্তু তন দলের ব্রাহ্মগণই কয়েকটা মতে সমান রূপে বিশ্বাস করেন। অতএব এই সূত্রে সকল সম্প্রদায়ের ব্রাহ্মদিগের মধ্যে সোঁহার্দ্য অনুশীলন তাশা করা যাইতে পারে। কিছুকাল হইল বিভিন্ন দলের ব্রাহ্মদিগের মধ্যে সম্মিলনের জন্য যে চেষ্টা হইয়াছিল এবং মধ্যে মধ্যে ঐ প্রকার যে
