পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wfwt, »w» » ব্যাখ্যান মঞ্জরী । o &S .." চেষ্টা হইয়া থাকে তাহ অতি সাধু চেষ্টা, তদ্বিষয়ে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। কিন্তু ঐ প্রকার চেষ্টা যে কিয়ৎ পরিমাণেও সফল হইয়াছে তাহ বলা যায় না । ইহার কারণ কি তাহা বিবেচনা করিয়া দেখা উচিত । আমাদিগের স্থির বিশ্বাস যে ব্রাহ্মদিগের মধ্যে মত বৈষম্য দূর করা দি ব্রাহ্ম সম্মিলনের উদ্দেশ্য বিবেচনা করা হয় তাহা হইলে ব্রাহ্ম সম্মিলন স্থায়ী হইবে না, এবং সকল ব্রাহ্ম আগ্রহের সহিত তাহাতে যোগ দিবেন না। সকল শ্রেণীর ব্রাহ্মগণের যে যে বিষয়ে এক ম৩ তাহাই ব্রাহ্ম সম্মিলনের ভিত্তিভূমি কর। পরামর্শসিদ্ধ। ব্রাহ্মধৰ্ম্মের বীজে সকল শ্রেণীর ব্রাহ্ম বিশ্বাস করেন, সেই বীজই । ব্রাহ্ম সম্মিলনের প্রবর্তক বলিয়া গ্রহণ করা উচিত। ব্রাহ্ম সম্মিলন সাধন জন্য সকল শ্রেণীর ব্রাহ্মগণ একত্রিত হইয়া সে ব্রহ্মোপাসনা করেন, তাহাতে যাহারা আচার্য্যের কার্য্য করেন তাহারা বিভিন্ন শ্রেণী হইতে নির্বাচিত হইয়া থাকেন। সময়ে সময়ে ইহাদিগের মধ্যে কেহ কেহ যে বিষয়ে ব্রাহ্মদিগের মত বিভেদ আছে, - বক্ততা বা প্রার্থনার মধ্যে সেই বিষয়ের অবতারণা করিয়া থাকেন । আমাদিগের বিবেচনায় এরূপ করিলে ব্রাহ্ম সম্মিলনের । উদেশ্য সাধনের পথে ঘোর প্রতিবন্ধক উপস্থিত করা হয় । ব্রাহ্ম সম্মিলন সাধনার্থ উপাসনা বা কথোপকথন সভা যাহ। কিছু অনুষ্ঠান হইবে তাহাতে যে যে বিষয়ে সকলে এক মত সেই সেই বিষয়েরই প্রস্তাবনা ও আলোচনা হইবে । ব্রাহ্মদিগের মধ্যে যতটুকু মনের মিল হইতে পারে ততটুকু মনের মিল সংসাধন করা যদি ব্রাহ্ম সম্মিলনের উদ্দেশ্য হয় তাহা হইলে যেখানে একটু মাত্র অমিল সে _ _ _ _ স্থান স্পর্শ না করাই কর্তব্য । । ব্রাহ্ম সম্মিলনের কার্য্য যদি এরূপ করিয়া পরিচালনা করা হয় যে তাহা দ্বারা ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর ব্রাহ্মগণের মধ্যে ব্রাহ্ম ধৰ্ম্মের বীজ মত গুলির অনুশীলন বৃদ্ধি হয় এবং তাহারই সাহায্যে র্তাহাদিগের মধ্যে ভ্রাতৃভাব ও বন্ধভাব বৰ্দ্ধিত হয় তাহ। হইলে ব্রাহ্মসম্মি , নর ফল অকিঞ্চিৎকর হইবে না । আমাদিগের ধারণা যে এইরূপ সম্মিলন হইতে ব্রাহ্মগণ স্ব স্ব দলীয় ভাব হইতে ক্রমে আপনাদিগকে অনেকটা মুক্ত করিতে পারিবেন এবং ব্রাহ্মধৰ্ম্মের যাহা সার জিনিস—ঈশ্বরপ্রীতি ও ঈশ্বরের প্রিয়কাৰ্য্য সাধন – তাহার প্রতি র্তাহাদের দৃষ্টি অধিকতর রূপে আকৃষ্ট হইবে। ব্যাখ্যান-মঞ্জরী। স্ত্রীযুক্ত প্রধান আচার্য্য মহাশয়ের ব্যাখ্যান-মূলক পদ্য । পঞ্চবিংশ ব্যাখ্যান । {গত বৈশাখ মাসের পত্রিকার ১৫ পৃষ্ঠার পর “মীর প্রেম রবি-করে, যার সুধা সুধাকরে ঝরে, যার দয়া গায় পার্থী মুললিত স্বরে, স্তবধ পৰ্ব্বতগণ য র ধ্যান ধরে, ঘিনি জীবের জীবন, য"ারে ঘোষে সদা সমীরণ, কত রবি শশী তারা গগনে গগনে র্যার নাম দশ দিশি করিছে কীৰ্ত্তন । পরম সম্পদ যিনি অতুলন ধন । চিরদিন যিনি বন্ধু অভয় শরণ। যাবে শোক তাপ, র্তারে কর অনুরাগ, কর তার প্রেম রূপ হৃদয়ে দশন । “শোকে মগন কেন জজর বিষাদে, ভ্ৰমিছ অরণ্য মাঝে হয়ে শত্তি ছারা, ঘণর প্রীতি সুধার্ণবে, আনন্দে রয়েছে সবে, র্তার প্রীর্তি নিরখিয়ে পুছি অশ্রুধারা।"