পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. ধীরে প্রীতি করিলে স্থাপন । প্রিয় ছয় জগবাসী জন, হৃদি বর্ষে মুধা অনুক্ষণ, পিরিতীর হয় সম্পূরণ । র্তার সঙ্গে কর যোগ, তার সহবাস ভোগ, র্তার প্রেমে হওরে মগন । সেই প্রেম স্পর্শমণি হইবে তোমার, শোক অশ্রু যুচি হবে প্রেম অশ্রুধার। যাবে মোছ-অধীনতা, যাবে শুষ্ক হৃদয়ত, প্রেমানন্দ শান্তি সুধা পাবে অনিবার। কররে উথান, ভাঙ্গ মায়ার স্বপন । জাগিয়া জ্ঞানের অসি কররে ধারণ । কর মোহ বিনাশন ॥ আমি শ্রেয়—দিব আমি তোমা শুভমতি, মম কথা শোন মোর ধরন্থ যুকতি । যিনি জীবনের সার ধন, যিনি বিনা বৃথায় জীবন। র্তারে ছেড়ে শূন্য কেন জীবন যাপন ? অামি তোম। লয়ে যাব ঈশ্বর সদন । স্টার ক্রোড়ে আমি তোমা করিব অর্পণ । “ব্যাকুল অস্তুরে চাহরে তাছারে” হৃদয়ে দিবেন দেখা হৃদয়-রঞ্জন ৷ শাণিত ক্ষুরের ধার সম । ধৰ্ম্ম-পথ বড়ই দুৰ্গম । যাহে প্রলোভন-চয় কণ্টক সমান, প্রবৃত্তি হানিছে যথা খরতর বাণ । ঘে তার শরণ লয়, তার কিন্তু নাছি ভয়, छूब*ोभ इश cश प्रशश ॥ ধৰ্ম্ম—র্তার আদেশ পালন । সুখে—দুঃখে—করিবে সাধন । ধৰ্ম্ম বিনা পুরস্কার, ধৰ্ম্মের নাহিক আর, অগত্মার প্রসাদ হবে—ধৰ্ম্মের কারণ । দেখিবে প্রভুর তাহে প্রসন্ন বদন । ধরমের ফল নহে মুদ্র যশোমান । তটালিকা মণি মুক্ত অশ্ব রথ ঘান । স্বরগের দেবগণ, সেবে যাহা অনুক্ষণ । পৃথিবীর ধূলা তার নহে পরিমাণ, ধৰ্ম্ম পথ কণ্টকিত ছয় । পরীক্ষার তরে দুঃখ দেন দয়াময়। সুবৰ্ণ শ্যামিক ত্যজে, পুড়িয়া যেমন, সাধু ছয় বিশোধিত, দুঃখেতে তেমন, সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ হইবেক । s२ कब्र ७ ७fत्र ■ দুঃখে যদি নাছি টলে, স্থির ধৰ্ম্ম পথে চলে, তবে পায় সে সম্পদ যার নাছি ক্ষয় ॥ সেই দিন মুদিন গণিবে, ধৰ্ম্ম স্তরে আপনা সঁপিবে । র্তার কায সাধিবারে, যবে ভুলি আপনারে, করিতে সৰ্ব্বস্ব দান, কিবা বলি দিতে প্রাণ, অকাতরে প্রস্তুত থাকিবে ॥ সেব ধৰ্ম্মে ছাড় মোহ ছাড় কুমন্ত্রণা । পাইবে অমৃত ছেথ। যাইবে যক্ষ্মণ । শ্ৰেয়ঃ যাছা হৃদি কয়, ঈশ্বরের বাণী হয়, প্রাণপণে সেইবাণী ধরনা ধরন । সেই বাণী মত কায করন করন ॥” শ্ৰেয়ঃ যা বলিল, যুবা তা শুনিল, চেতিল-—পাইল জ্ঞান । কিসের কারণ, জীবন ধারণ করে সেই প্রণিধান । প্রাণের ভিতরে, প্রাণণের ঈশ্বরে ডাকে যুব সকা তরে । তাহারে জীবন, করে সম পণ তার প্রতি প্রেম ভরে | স্বর্থ আপনার, না রাখিল তার, হলো দীন অকিঞ্চন । মলিন কামনা, বিষয় বাসনা করিলেক বিসর্জন ॥ যিনি প্রেমদাতা পিতা মাতা পাত, শরণ লইল তার । অমৃত পাইল, রুতার্থ ছইল, মৃত্যু ভয় নাহি আর ॥ শ্ৰেয়ঃ কথা শুনি যেবা কায় মন:প্ৰাণ । ঈশ্বরেতে সযতনে করে সমাধান | অমৃত তাছার লাভ এইখানে হয় । শূন্য পূর্ণ ছয় ভার, দিক মধুময় ॥ পঞ্চবিংশ ব্যাখ্যান সমাপ্ত । বিজ্ঞাপন । আগামী ৯ আষাঢ় শনিবার রাত্রি সাড়ে সাত টার সময় ভবানীপুর সপ্তত্রিংশ মহা শয়ের যথা সময়ে ব্রাহ্মসমাজে উপস্থিত হইয়া উপাসনা করিবেন। শ্ৰীশ্ৰীশচন্দ্র চৌধুরী। সম্পাদক ।