পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

در «د بttد মানবীকরণই বটে । ' (ማ আর অমনি—মোহাচ্ছন্ন জীবের বিস্মিত নেত্রে আলোকের পথ উদ্ধ হইতে উৰ্দ্ধে উন্মুক্ত হইয়া যায়। মনুষ্যের বিকৃতিরাশি ক্ষণস্থায়ী এবং মরণ-শীল—মনুষ্যের অন্তর-তম প্রকৃতি অবিনাশী এবং চিরউন্নতি-শীল । ঈশ্বর যে অভিপ্রায়ে মনুষ্যকে জগতে প্রেরণ করিয়াছেন, সে অভিপ্রায় তোমার আমার অভিপ্রায় নহে— যে, তাহ অল্প একটু আঘাতেই ভগ্নোদ্যম হইয়া ধরাশায়ী হইবে । সে অভিপ্রায় কিছুতেই বিফল হইবার নহে ; মহোচ্চ পৰ্ব্বত যদি সেই অভিপ্রায়ের প্রতিকূলে গ্রীবা উন্নত করিয়া দণ্ডায়মান হয়, তবে তৎক্ষণাৎ তাহা চূর্ণ বিচূর্ণ হইয়া ধূলিসাৎ হইয়া যায় ; মহাসমুদ্র যদি তাহার প্রতিপথে পড়ে, তবে তাহ পাতালে প্রবেশ করিয়া অদৃশ্য হইয়া যায় ; ঈশ্বরের অভিপ্রায় পৰ্ববত অপেক্ষা ও অনন্ত-গুণ ধৈর্য্যশীল এবং বজ্র অপেক্ষাও অনন্ত-গুণ বল-শালা ; মনুষ্যের অাশা এত যে বলবতী—তাহার কারণই ঐ ! ঈশ্বরের অপরাজিত করুণা এবং মহতী শক্তিই ভক্ত হৃদয়ের এক মাত্র বল—সেই বলেই মনুষ্য সৰ্ব্বজয়ী । । অামাদের পরম পিতার । চতু- : দিকে তাহার আশীৰ্ব্বাদের পবিত্র সমী- ; অদ্য আমরা অবারিত দ্বারে উপস্থিত হইয়াছি রণ বহমান হইতেছে—আইস আমরা সকলে মিলিয়া তাহার চরণে প্ৰণিপাত করি—আমাদের সমস্ত হৃদয়-মন-প্রাণ র্তাহার চরণে উৎসর্গ করিয়া দিই ; এবং র্তাহার অমোঘ বলে বলী হইয়া ভয় তাপ দুঃখ দূরে বিসর্জন করি। হে পরমাত্মন! মোহাচ্ছন্ন হৃদয়ে তোমার বিমল জ্যোতি আবিভূত হউক । ংসার-তাপে উত্তপ্ত হৃদয়ে তোমার প্রেমের উৎস উন্মুক্ত হউক্‌ ! তোমার বদ্ধ করা হয় । মঙ্গল-দৃষ্ট্রির একটিমাত্র কটাক্ষে প্রলয়ের দিগদিগন্তের-স্পন্ধী উচ্ছ,খল কোলাহল প্রশান্ত নিস্তব্ধ হইয়া যায়—ও নূতন স্বষ্টির নবারুণ জ্যোতিতে অনন্ত আকাশের অনন্ত মুখমণ্ডল আরক্তিম হইয়া উঠে ! সেই তোমার অপরাজিত মঙ্গলমূৰ্ত্তি আমাদের অন্তঃকরণে জাগ্রত হইয়া উঠুক্‌ - সহস্র ত্ৰি বিপত্তি এই দণ্ডে ভগ্নীভূত হইয়া যাইবে ! আমরা রাজাও জানি না—প্রজাও জানি না – আমরা তোমাকেই জানি, তুমি আমাদের এই দুর্ভাগ্য দেশকে—দুর্ভাগ্য সমাজকে—তোমার এই দীন হীন পুত্র কন্যাগণকে দারুণ দুৰ্গতি হইতে রক্ষা কর! তুমি আমাদিগকে, অ সত্য হইতে সত্যতে লইয়া যাও, অন্ধকার হইতে জ্যোতিতে লইয়া যাও, মৃত্যু হইতে অমৃতে লইয়া যা ৭ ! “মাতেব পুত্রান রক্ষস্ব শ্ৰীশ্চ প্রজ্ঞাংশ্চ বিধেহি নঃ” তুমি মাতার ন্যায় পুত্রগণকে রক্ষা কর—তুমি আমাদিগকে শ্ৰী দেও—প্রজ্ঞা দেও ! তোমার চরণে আমাদিগকে স্থান দেও— এই আমাদের প্রার্থনা । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । মানবীকরণই বটে। দ্বিজেন্দ্র বাবু যে প্রকৃতিকে বৃক্ষোৎপত্তির সাক্ষাৎ কারণ বলিতেছেন তাহ দ্রব্যগুণ না তদতিরিক্ত কোন পদাৰ্থ ? [ প্রকৃতিকে দ্রব্য-গুণ বলিলে প্রকৃতির পক্ষ-চ্ছেদ করিয়া তাহাকে পিঞ্জরবিশেষ বিশেষ বস্তুর বিশেষ বিশেষ গুণকেই দ্ৰব্য-গুণ কহে । সেই সকল বিশেষ-বিশেষ গুণ—বিশেষবিশেষ বস্তুর বিশেষ বিশেষ প্রকৃতি, তাহাতে আর ভুল নাই ; কিন্তু তাহা বলিয়া '