পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯৮

(7Ե -- SS S SSAAA AAS SSAAAASSSS S S প্রকৃতি-শব্দে বিশেষ কোন-একটি বস্তুর বিশেষ কোন-একটি প্রকৃতি বুঝিয়াই ক্ষান্ত থাকিলে তাহাতে প্রকৃতির কিছুই বোঝা হয় না। একজন বঙ্গ-ভাষানভিজ্ঞ বিদেশী ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করিল যে, উদ্ভিদ শব্দের অর্থ কি ? তাহার উত্তরে আমি যদি তাহাকে এক গাছি তৃণ আনিয়া দেখাই, ও বলি ষে, ইহাই উদ্ভিদ ; তবে সে ব্যক্তি তত্ত্ববোধিনী পত্রিক to ষ্ঠিত হইতেছে অগ্নির দাহিক-শক্তি— উদ্ভিদ শব্দের অর্থ তৃণ বুঝিয়াই ক্ষান্ত থা- ৷ কিবে। কিন্তু তাছা হইলে তো চলিবে না ! তৃণ শুধু কেবল উদ্ভিদের দৃষ্টান্ত পদবীতেই স্থান পাইতে পারে—ত ভিন্ন, । তাহ সমগ্র উদ্ভিদের পদারূঢ় হইতে পারে । না । যেখানে সাধারণতঃ সকল জগতের মূল-স্থিত প্রকৃতির কথা হইতেছে—সেখানে বিশেষ বিশেষ দ্রব্যের বিশেষ বিশেষ প্রকৃতি (যেমন অগ্নির দাহিকা-শক্তি) শুদ্ধ কেবল মূল-বিষয়টির দৃষ্টান্ত-স্থলেই কাজে । লাগিতে পারে—তা ভিন্ন—তাহা মূল-বিষ- | য়টির স্থলাভিষিক্ত হইতে পারে না । ो छि ] যদি তাহা দ্রব্যগুণই হয়, তবে তাহ জড়াধার হইতে পৃথক্ হইতে পারে কি না ? [ দ্রব্য-গুণ—অর্থাৎ বিশেষ কোনএকটি দ্রব্যের বিশেষ কোন-একটি গুণ— যেমন অগ্নির দাহিকা শক্তি,বীজের বৃক্ষোৎপাদিকা শক্তি, ইত্যাদি ; এরূপ দ্রব্যগুণ অবশ্ব আধার-বস্তু হইতে পৃথককৃত হইতে পারে না। এখন কথা এই যে, অগ্নির দাহিক-শক্তি অগ্নিরই প্রকৃতি—কিন্তু তাহা বলিয়। তাহা কিছু আর সর্ব-সাধারণতঃ সকল বস্তুর প্রকৃতি নহে—জলের প্রকৃতি নহে। প্রকৃতি শুধু কেবল অগ্নির অভ্যন্তরে দাহিকা-শক্তিরূপে নহে—কিন্তু • সৰ্ব্ব জগতের অভ্যন্তরেই নানা-রূপে বিচে ०९ कछ, ७ छां★ বীজের বৃক্ষোৎপাদিকা শক্তি—এইরূপ যত প্রকার বিশেষ বিশেষ দ্রব্যগুণ অাছে, সমস্তই একই প্রকৃতির বিশেষ বিশেষ পরিণাম । উদ্ভিদ-প্রকৃতি বলিতে যেমন, তৃণ লতা বৃক্ষ প্রভৃতি সাধারণতঃ সকল উদ্ভিদেরই প্রকৃতি বুঝায় ; সেইরূপ চরাচর-প্রকৃতি বলিতে সাধারণত সকল বস্তুরই প্রকৃতি বুঝায়। যে এক সৰ্ব্ব-সাধারণ প্রকৃতি সকল বস্তুর অভ্যন্তরেই বিচেষ্টিত হইতেছে, আর, বিশেষ বিশেষ বস্তুর বি শেষ বিশেষ দ্রব্য-গুণ যাহার বিশেষ বিশেষ পরিণাম মাত্র—তাহাই মুখ্যরূপে প্রকৃতি-শব্দের বাচ্য । এক মূল-প্রকৃতি হইতে কেমন করিয়া বহুধা বিচিত্র প্রকৃতি (অথবা যাহা একই কথা—নানা বিধ দ্রব্য গুণ) কাল ক্রমে পরিস্ফুট হয়, বৰ্ত্ত মান অব্দের নবাবিস্কৃত ক্রমাভিব্যক্তি-বাদ Evolution Theory stata 2 sität 27-for সাধ্যমতে ক্রটি করিতেছে না। “প্রকৃতি” এই শব্দটিতেই প্রকৃতির অর্থ দেদীপ্যমান। প্রকৃতি = প্র+কৃতি । কৃতি কি না ক্রিয়। প্রকৃতি কিনা pro কৃতি— বহিঃপ্রসারিত ক্রিয়া, কার্য্যোৎপাদিক ক্রিয়। ক্রিয়ামাত্রই শক্তির অভিব্যক্তি । যে শক্তির কার্য্য-কারিতায় জগতের ঘটনাসকল সংঘটিত হয়, দ্রব্য-গুণ-সকল স্ব স্ব ব্যাপারে ব্যাপৃত হয়, তাহাই প্রকৃতিশব্দের বাচ্য । কিন্তু জগতের ঘটনা-মাত্রেতেই দুইরূপ শক্তির সমবেত কাৰ্য্য-কারিতা দৃষ্টি-গোচর হয় ; (১) করণ শক্তি এবং (২) হওন-শক্তি । দহন-কার্য্যে করণ-শক্তি কি ? না দগ্ধ করণের শক্তি—যাহা অগ্নিতে আছে ; হওন-শক্তি কি ? না দগ্ধ হওনের শক্তি—যাহা কাষ্ঠাদিতে আছে ; এ দুয়ের সমবেত কাৰ্য্যকারিতা ব্যতিরেকে দহন