পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्यक्षि: १७ : ☾Ꮌ -اق भनशैकबरे বটে سد - اض يصييصصد بعض- ضمد بعضصحسد কাৰ্য্য উৎপন্ন হইতে পারে না। দগ্ধ করি | হইতে পারে না—শরীর-বিশেষে বিষও বার শক্তি অগ্নিতে আছে—কিন্তু দগ্ধ হইবার শক্তি ভষ্মেতে নাই—এরূপ স্থলে দহনকাৰ্য্য উৎপন্ন হইতে পারে না। আবার, দগ্ধ হইবার শক্তি কাষ্ঠেতে আছে, কিন্তু দহন করিবার শক্তি জলেতে নাই ; এরূপ স্থলেও দহন-কাৰ্য্য উৎপন্ন হইতে পারে না । আর একটি উদাহরণ ;—উপযুক্ত জল বায়ু মৃত্তিকাকে বৃক্ষে পরিণত করিবার শক্তি বীজেতে আছে—এবং বৃক্ষরূপে পরিণত হইবার শক্তি জল-বায়ু মৃত্তিক প্রভৃতি সামগ্ৰী সকলেতে আছে ; দুয়ের সমবেত কাৰ্য্যকারিতা ব্যতিরেকে বৃক্ষোৎপত্তি সম্ভবে না। মরু ভূমিতে খুব সারবান, বীজ নিক্ষিপ্ত হইলেও তাহা হইতে বৃক্ষ উৎপন্ন হয় না ; আর খুব উর্বর ভূমিতে দগ্ধবীজ নিক্ষিপ্ত হইলে তাহা হইতে ও বৃক্ষ । উৎপন্ন হয় না। এইরূপ দেখা যাইতেছে । যে, দহন-কার্য্যের সংসাধক শক্তি দুই ভাগে বিভক্ত—(১) দগ্ধ করিবার শক্তি এবং (২) দগ্ধ হইবার শক্তি ; আর সে । দুই শক্তি দুই বিভিন্ন বস্তুকে অবলম্বন করিয়া ধার-বস্তু—অগ্নি, দাহ্যতা-গুণের আধারবস্তু – কাষ্ঠ । অতএব, যদি জিজ্ঞাসা করা যায় যে, দহন-কার্য্যের এক-মাত্র কারণ কি ? তবে তুমি বলিতে পার না যে, অগ্নিই দহন-কার্য্যের একমাত্র কারণ ; কেননা, দহন-কার্য্যের জন্য অগ্নি যেমন আবশ্যক—দাহ্য বস্তুও তেমনি আবশ্যক ; সুতরাং অগ্নি তাহার একমাত্র কারণ নহে । এখন বক্তব্য এই যে, কোনও দ্রব্য-গুণই কোন কার্য্যের একমাত্র কারণ হইতে পারে না ;—বিষের একটি দ্রব্য-গুণ এই যে, তাহ প্রাণ সংহার করে ; কিন্তু তাহ সত্ত্বেও বিষ প্রাণ-সংহারের একমাত্র কারণ বৰ্ত্তিতেছে—দাহিকা-শক্তির আ- | অমৃতের কার্য্য করে; “বিষন্ত বিষমৌষধং ।” তবেই হইতেছে যে, শারীরিক প্রকৃতির সহায়তা-ব্যতিরেকে কেবল-মাত্র বিষ প্রাণসংহার-কার্য্যে সমর্থ নহে। অতএব প্রকৃতিকে যদি জগতের সমস্ত কার্য্যের এক মাত্র কারণ বলিয়া ধরা যায়, তবে দাড়ায় যে, কোনও দ্র প্য-গুণই প্রকৃতি শব্দের বাচ্য নহে ; কেননা, কোনও দ্রব্য-গুণই কোনও কার্য্যের একমাত্র কারণ নহে । এরূপ সত্ত্বেও, সকলেই এ কথা মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিবেন যে, একমাত্র প্রকৃতি জগতের সকল ঘটনার অভ্যন্তরেই কাৰ্য্য করিতেছে—সুতরাং দহন-কার্য্যের । অভ্যন্তরেও তাহা কাৰ্য্য করিতেছে । দহন-কার্য্যের একমাত্র সংসাধক শক্তি যদি কিছু থাকে, তবে তাহ প্রকৃতি । দহনকার্য্যের একমাত্র সংসাধক শক্তি আছে কি না – সে কথা পরে হইবে ; এখন শুধু “যদি থাকে” তবে তাহ অগ্নির দাছিকাশক্তিও নহে—কাষ্ঠের দাহ্যতা-গুণও নহে— কিন্তু তৃতীয় আর-একটা কিছু, এই বিষয়টি ইঙ্গিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য । দহনকার্যের মধ্যে দ্রব্য-গুণ যত কিছু আছে, তাহাদের প্রত্যেকেই বিশেষ কোন-নাকোন একটি দ্রব্যকে আশ্রয় করিয়া বর্তমান আছে ; দহন করিবার শক্তি অগ্নিকে আশ্রয় করিয়া বর্তমান আছে—দগ্ধ হইবার শক্তি কাষ্ঠকে আশ্রয় করিয়া বৰ্ত্ত মান আছে ; আর, ঐ যে-সমস্ত শক্তি বিশেষ-বিশেষ দ্রব্যকে আশ্রয় করিয়া বৰ্ত্তিতেছে — তাহদের কোনটিই দহন কার্য্যের একমাত্র নিঃসঙ্গ কারণ নহে— তাহ অন্যান্য দ্রব্য-গুণের সঙ্গ-সাপেক্ষ ; অগ্নির দাহিকা-শক্তি কাষ্ঠের দাহ্যতা গুণের সঙ্গ-সাপেক্ষ । কাজেই বলিতে হয়,