পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ কল্প, ২ ভাগ ২৩ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক - S AASAASAA AAAS S S S S S --- S S S S S S S S AAAAAA - - - - -- a -- m. তাহাকে নির্বাণ করিয়া দাও। আর যন্ত্রের জীর্ণসংস্কার করিতে থাকেন— যেন তোমাকে ছাড়িয়া ঈদৃশ ঘোর যন্ত্রণ | তাহার এই সংস্কার কার্য্য কেমন গোপনে সহ্য করিতে না হয়। তুমি কৃপা করিয়া বিনা আড়ম্বরে সম্পন্ন হয় । তিনি তাহার আমাদিগকে এই আশীৰ্ব্বাদ কর । অসম্পূর্ণ স্বষ্টিকে একটা রহস্যময় আব | ও একমেবাদ্বিতীয়ং । Ummmmmm BAB নববর্ষ উপলক্ষে গাজিপুরে ব্রহ্মোপাসনা । ( উদ্বোধন ) গত রাত্রিতে আমরা সেই বিশ্বজননীর ক্রোড়ে বিশ্রাম করিতেছিলাম । আমাদের নিদ্রার ব্যাঘাত হয় এই জন্য তিনি দীপ্ত ভালুকে নির্বাণ করিয়া দিলেন । জগতের কোলাহল থামাইয়া দিলেন । চারিদিক নিঃস্তব্ধ হইল। বিশ্ব-চরাচর নিদ্রায় মগ্ন হইল। কেবল একমাত্র সেই বিশ্বতশ্চক্ষুঃ বিশ্বজননী, শ্রান্ত জগতের শিয়রে বসিয়া অসংখ্য অনিমেশ তারকতাৰ্শখি তাহার উপর স্থাপিত করিয়া রক্ষণ বেক্ষণে নিযুক্ত ছিলেন । দিবসের কঠোর পরিশ্রমে জীব-শরীরের মে কোন তাঙ্গ ব্যথিত হইয়াছিল তাহার কোমল কর সঞ্চালনে সে ব্যথা দূর করিলেন, সংসারের । জাল মন্ত্রণায় যে মন নিতান্ত অবসন্ন হ লীন থাকিয়া আপনাকে আপনি বিকাশ ইয়া পড়িয়াছিল তাহাকে অল্পে তাল্লে সতেজ করিয়া তুলিলেন— যে আত্ম সংসারের মোহ প্রলোভনে মুহ্যমান হইয়াছিল তাহাকে প্রকৃতিস্থ করিলেন । জগৎ নব-বলে নব-উদ্যমে আবার কার্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইল । সেই বিশ্বকৰ্ম্ম বিশ্ববিধাতার শিল্পীগার চির উন্মুক্ত—দিবা রাত্রিই তাহার কার্য্য অবিরামে চলিতেছে । যখন আর সকলেই নিদ্রিত থাকে, সেই বিধাতা পুরুষ জাগ্রত থাকিয় তাহার রচিত বিশ্ব সেই মহা-রহস্যের আবরণ করিয়া তাহার মধ্য হইতে অভিনব বিচিত্র পাছে জীবন-সৌন্দর্ঘ্যের বিকাশ করিতেছেন। তিনি জরায়ুর অন্ধকারে অবস্থান করিয়া রণে আবৃত করিয়া রাখিতে ভাল বাসেন । যতক্ষণ র্তাহার স্বষ্টি জীবন ও স্থখ সোঁ নদর্য্যে পূর্ণরূপে ভূমিত না হয় ততক্ষণ তিনি তাহাকে বাহিরের পুর্ণ অালোকে আনিতে চাহেন না । সেই মহা-শিল্পী ক্রমশঃ ভেদ মানব শিশুর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যোজনা করেন । তিনি অণ্ডের মধ্যে থাকিয়া পক্ষা-শাবকের শরীর গঠন করেন—তিনি বীজ কোসে থাকিয়া বৃক্ষ-লতাকে পরিপুষ্ট করেন। তনি পুরাতন বর্ষের গর্ভে নববর্ষের প্রাণ সঞ্চার করেন—তিনি করাল মৃত্যুর মধ্যে থাকিয়া ও অমৃতের আয়োজন করেন । আর সেই মহারাত্রিকে একবার কল্পনার চক্ষে আনয়ন কর—যখন চন্দ্র সূৰ্য্য গ্রহ নক্ষত্র কিছুই ছিল না—যখন সেই স্বয়ন্তু স্বপ্রকাশ তাহার সেই অসীম ব্রহ্মাণ্ডের অতি সূক্ষ তন্মাত্রময় আবরণের মধ্যে বি করিতে তারম্ভ করিলেন । সেই অবধি স্বষ্টি আরম্ভ হইল—প্রাণের স্রোত বহিতে লাগিল—সৌন্দর্য্যের উৎস উৎসারিত হইল । সেই মহা-প্রাণের বিরাম নাই— জগতের মৃতু্য নাই ।—তাহ অস্তিত্বের অবসান নহে তাহা অাবরণ মাত্র—তাহ। প্রাণের লীন অবস্থা—তাহ নবজীবনের গৃঢ় আয়োজন ভিন্ন আর কিছুই নহে। মৃত্যু আমাদের জীবনরঙ্গভূমির সজ্জা-গৃহ মাত্র। ইহ লোকের অভিনয়-মঞ্চ হইতে