পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০ যে, ষে দ্রব্যকে আশ্রয় করিয়া বৰ্ত্তমান আছে— তাহা কোনও কার্য্যেরই একমাত্র নিঃসঙ্গ কারণ নহে,—তাই উপরি-উক্ত সংজ্ঞাঅনুসারে তাহ প্রকৃতি-শব্দের বাচ্য নহে ; কেননা, পূর্বে বলা হইয়াছে যে, কাৰ্য্য সকলের একমাত্র গোড়ার কারণই প্রকৃতি । শব্দের বাচ্য । অতএব স্থির হইল যে, থাকে, আর, তাহার যদি নাম দেওয়া । যায়—প্রকৃতি,তবে আপনা-হইতেই প্রতিপন্ন হয় যে, তাহা বিশেষ কোন-একটি দ্রব্যের দ্রব্য-গুণ নহে—সুতরাং বিশেষ কোন-একটি দ্রব্যকে আশ্রয় করিয়া বর্তমান নাই ; তবে কি ? না যে তাহা মূলীভূত শক্তি । কিন্তু তাহার মধ্যে একটি কথা সচরাচর যে অর্থ বুঝায়, প্রভাত বাবু সেই অর্থেই “দ্রব্য-গুণ” এই শব্দটি ব্যরহার নহে-—সুতরাং তাহা জড়াধারকে অবলম্বন করিয়াছেন, আমরাও এখানে তাহাই করিলাম ; সেই অর্থেই আমরা বলি যে, প্রকৃতি বিশেষ কোন একটি দ্রব্যকে (অর্থাৎ কোন জড় পদার্থকে) আশ্রয় করিয়া বর্তমান নাই--কিন্তু পাঠক যেন এরূপ মনে না করেন যে, আমাদের মতে জগতের মূল-শক্তি (প্রকৃতি) একেবারেই নিরাশ্রয়—কেননা আমরা বলি যে, ঐশীশক্তিই প্রকৃতি ; কাজেই ঈশ্বরের আশ্রয় ব্যতিরেকে তাহ থাকিতে পারে না ; তা শুধু নয়—ঈশ্বরকেই আমরা মূল-কারণ বলি, আর, প্রকৃতিকে আমরা সাক্ষাৎ কারণ বলি। আমরা বলি যে, জগতের মূল আত্মা যিনি পরমাত্মা, তিনিই জগতের মূল কারণ ; আর, জগতের মূল-শক্তি যে প্রকৃতি (যাহা ঈশ্বরেরই ঐশী-শক্তি) তা কোন গুণ বিশেষ-কোন-একটি তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা ബ== ബജ്ഞ _ _ _ ബ | | হাই জগতের সাক্ষাৎ কারণ । কেন আমরা এরূপ বলি—তাহ পরে দেখা যাইবে । জগৎ-কার্য্যের একমাত্র মূলশক্তি যদি থাকে, তবে তাহ দ্রব্য-গুণ নহে—উ পরে এইটিই কেবল প্রমাণ করা হইল ; এখন জিজ্ঞাস্য এই যে, তাহ। যদি দ্রব্য-গুণ না হয় তবে তাহা কি ? আর তাহ যে আছে তাহারই বা প্রমাণ জগৎকার্য্যের একমাত্র মূল-ক্রিয়া যদি কিছু তাহা । কি ? ঐ দ্বি ] প্রকৃতি যদি জড়াধার হইতে পৃথক হইতে পারে, তবে দ্বিজেন্দ্র বাবু এই তত্ত্ব । জগতের কোনো ঘটনা হইতেই উপলব্ধি করিয়াছেন ? না, তাহা স্বতঃসিদ্ধ বলিয়াই প্রকাশ করিতেছেন? আর যদি প্রকৃতি দ্রব্যগুণের অতিরিক্ত কিছু হয়, গানে যত দ্ৰব্য-গুণ আছে—সমস্তেরই | অাছে—দ্রব্য-গুণ বলিতে । তবে তাহার পরিচায়ক লক্ষণ কি ? আমরা ইতি পূৰ্ব্বে প্রমাণ করিলাম নে, প্রকৃতি (অর্থাৎ জগতের একমাত্র মূল শক্তি) যদি থাকে, তবে তাহা দ্রব্য-গুণ করিয়া স্থিতি করে না ; এখন জিজ্ঞাস্য এই যে, (১) সেরূপ শক্তি যে, আছে তাহার প্রমাণ কি ? (২) আর, তাহার পরিচায়ক লক্ষণই বা কি ? প্রথম প্রশ্ন এই যে, প্রকৃতি যে আছে তাঙ্গর প্রমাণ কি ? প্রভাত বাবু তাই বলিতেছেন যে, “দ্বিজেন্দ্র বাবু এই তত্ত্ব জগতের কোনো ঘটনা হইতেই উপলব্ধি করিয়াছেন ? না তাহ৷ স্বতঃসিদ্ধ বলিয়াই প্রকাশ করিতেছেন ?” এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য এই যে, জ্ঞানের মূল-তত্ত্ব মাত্রই স্বতঃসিদ্ধ ; যেমন, ঘটনা-মাত্রেরই কারণ আছে—ইহা স্বতঃসিদ্ধ ; কিন্তু যখন মূল-তত্ত্ব হইতে নীচে নাবিয়া জিজ্ঞাসা করা যায় যে, এই বিশেষ ঘটনাটির বিশেষ কারণ কিরূপ ? অার তাহার উত্তরে যখন s३ रूछ, ७ डाण