পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । २९ कब्र, ० छानं এই তত্ত্বটি যদি কেবল পৃথিবীতেই খাটিত—সূৰ্য্য-লোকে না খাটিত—তবেই বলিতে পারিতাম যে, পৃথিবী যে জগতের অন্তর্গত—সূৰ্য্য-লোক সে জগতের অন্তগত নহে ; কিন্তু জ্ঞানের ঐ মূল নিয়মটি যখন সৰ্ব্ব জগতেই সমান বলবৎ—তখন সমস্ত জগৎ যে একই জগৎ একই মূল-শক্তির বিস্তীর্ণ ক্রীড়া-ক্ষেত্র, ও একই মূল-নিয়মের অধীন, তাহাতে আর কাহারো সংশয় হইতে পারে না । অতএব দুইটি স্বতঃসিদ্ধ তত্ত্ব জগতের একত্বের প্রতিপাদক ; সে দুইটি তত্ত্ব এই যে, (১) জ্ঞানের মূলস্থিত একত্ব ; এবং (২) । সেই একত্ব-সূত্রে সমস্ত জগতের বন্ধন- । জগতের অভ্যন্তরে কার্য্য যোগ্যতা । যখনই নানাবিধ বিচিত্র গুণ আমাদের জ্ঞানের একত্ব-সূত্রে গ্রথিত হয়, তখনই তামরা সেই সকল গুণের মূলস্থিত প্রভাত বাবুর প্রস্তাবটির আদ্যোপান্ত সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অামার জ্ঞানের একত্বসূত্রে গ্রথিত হয়, তখনই আমার মনে এই বিশ্বাসটি উৎপন্ন হয় যে, সে ঐক্য-সূত্রটি প্রভাত বাবুর মনের অভ্যন্তরে বর্তমান ছিল । অতএব জ্ঞানের মূল-গত একত্বই জগতের একত্বের স্বতঃসিদ্ধ প্রমাণ । জগতের একত্ব স্বীকার করিলে চ প্রকার! স্তরে স্বীকার করা হয় যে, সমস্ত জগৎ একই মূল-শক্তির অভিব্যক্তি । কেননা এরূপ যদি হয় যে, পৃথিবীর পরিবর্তন-ঘটনা এক মূল-শক্তির অভিব্যক্তি ও চন্দ্র-লোকের পরিবর্তন-ঘটনা আর-এক মূল-শক্তির অভিব্যক্তি, তাহা হইলে দাড়ায় যে, পৃথিবী এক জগতের বস্তু-চন্দ্রলোক আর-এক জগতের বস্তু। এইরূপ দেখা যাইতেছে যে, জ্ঞানের মূল-গত একত্ব একটি স্বতঃসিদ্ধ তত্ত্ব—আর, এই স্বতঃসিদ্ধ তত্ত্বটিই এই যে, পরীক্ষা । জগতের একত্বের মুখ্য প্রমাণ । পূর্বে বলিয়াছি যে, জ্ঞানই অস্তিত্বের প্রমাণ ; এক্ষণে দেখাইলাম যে, জ্ঞানের একত্বই জগতের একত্বের প্রমাণ ; আর জগতের একত্ব হইতেই এইটি প্রতিপন্ন হয় যে, সমস্ত জগতের ঘটনা একই মূল-শক্তির অভিব্যক্তি । এই গেল, স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞানমূলক প্রমাণ ; তা ছাড়া—প্রকৃতির অস্তিত্বের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ কিরূপ—অতঃপর তাহাই দেখা যাইতেছে । “প্রকৃতি বৃক্ষোৎপত্তির সাক্ষাৎ কারণ” এই যে একটি কথা, ইহার বৈজ্ঞানিক অর্থ কি—দেখা যা’কৃ। ইহার বৈজ্ঞানিক অর্থ এই যে,যে এক মূল-শক্তি সাধারণতঃ সকল করে—তাহা প্রত্যেক বস্তুর অভ্যন্তরেই কার্য্য করে ; যথ! ;—ইহা যদি সত্য হয় যে, ভারাকর্ষণ বস্তুর একত্বে বিশ্বাস স্থাপন করি ; যখনই । সমস্ত ভৌতিক জগতের অভ্যন্তরে কার্য্য করে, তবে ইহা অকাট্য যে, তাল-ফল যখন বৃক্ষ-চু্যত হইয়া ভূপতিত হয়, তখন সে ঘটনাটির সাক্ষাৎ কারণ ভারাকর্ষণ; যদি জিজ্ঞাসা কর যে, সকল ভৌতিক বস্তুই যে, ঐরূপ আকর্ষণের অধীন তাহার প্রমাণ কি ? তবে তাহার উত্তর অতীব সংক্ষেপে ভূতল-স্থিত যে সে বস্তু— এবং আকাশ-স্থিত গ্ৰহ চন্দ্র—তাবতেরই ভৌতিক স্থিতি-গতি শুদ্ধ কেবল এক আকর্ষণ দ্বারাই প্রতিপাদিত হইতে পারে । যে প্রকার স্থিতি গতি আকর্ষণদ্বারা প্রতিপাদন-সাধ্য, সেই প্রকার স্থিতি গতি সৰ্ব্বত্রই পরীক্ষাতে পাওয়া যায়— ইহাতেই প্রতিপন্ন হয় যে, ভারাকর্ষণ সকল ভৌতিক জগতেরই সাধারণ কাৰ্য্যপ্রবর্তক ; তাহা যখন হইল, তখন কাজেই মানিতে হয় যে, তাল-ফল যখন বৃক্ষচু্যত হইয়। ভূপতিত হয়, তখন তাহার সাক্ষাৎ