পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

" و ۶ و st۹ জ্ঞান-সঞ্চার ২৩৩ ৷ Εθμη কারণ ভারাকর্ষণ । অতএব তাল-ফলের ভূপতন সম্বন্ধে বিজ্ঞানের সিদ্ধান্ত এই যে, যে শক্তি দ্বারা সাধারণতঃ সমস্ত ভৌতিক জগতের স্থিতি-গতি নির্বাহিত হয়, সেই শক্তি দ্বারাই তাল-ফল ভূপতিত হয় । এইরূপ, এক অদ্বিতীয় মূল শক্তি যাহ। সাধারণতঃ সকল জগতের অভ্যন্তরে কার্য্য করে -- এবং কাজে কাজেই প্রত্যেক বস্থ: অভ্যন্তরে কার্য্য করে, বিজ্ঞানের পদবী অনুসরণ করিয়া তাহাকেই আমরা বলি— ভৌতিক জগতের প্রকৃতি । আমরা তাই বলি ষে, আকর্ষণ বিকর্ষণ অথবা তাহারই প্রকারান্তর কেন্দ্রানুগ (centripetal) এবং কেন্দ্রাতিগ (centrifugal) বিচেষ্টা—ইহাই প্রাণ-শূন্য ভৌতিক জগতের প্রকৃতি ; এবং প্রাণ-শূন্য ভৌতিক রাজ্যে যেখানে যেকোন প্রকার স্থিতি-গতি সংঘটিত হয়— তাবতেরই তাহা সাক্ষাৎ কারণ। গেল ভৌতিক প্রকৃতি তাহার পরে আসি তছে জৈবিক প্রকৃতি। ভৌতিক প্রকৃতি, জৈবিক প্রকৃতি, মানসিক প্রকৃতি ইত্যাদি । পূর্বাবস্থা দেখিয় তাহার কতকটা তুলনার প্রকার নানাবিধ প্রকৃতির মূলে যে এক অদ্বিতীয় প্রকৃতি কার্য্যে বিচেষ্টিত হইতেছে—তাছাই সৰ্ব্ব-জগতের প্রকৃতি— তাহা সকলের শেষে আসিবে ; আপাতত জৈবিক প্রকৃতি কিরূপ তাহাই অতঃপর দেখা যাইবে । ঐদ্ধি ] ক্রমশঃ শ্ৰী প্রভাতচন্দ্র সেন । জ্ঞান-সঞ্চার । পঞ্চাশ বৎসর বয়স্ পূর্ণ হইতে আঠারে। হাজার দিন লাগিয়াছে। এই আঠার হাজার দিনে পৃথিবীর অনেক জিনিশ চেনা হইয়াছে, এখনও অনেক অবশিষ্ট এই ' ர-த- க আছে। কত আছে তাহার ইয়ত্তা নাই । ফল, আজ পর্যন্ত যে-কিছু জ্ঞান উপার্জন করিয়াছি, পার্থিব পদার্থ চিনিয়াছি (পদার্থবোধ ও জ্ঞান-উপার্জন সমান কথা) সে সকল, ক্রমপরিবত্তিত আঠার হাজার দিনেই চিনিয়াছি, এক দিনে চিনি নাই । কিন্তু কো দিন কি চিনিয়াছি—কোন দিন কোন জ্ঞান অজন করিয়াছি – তাহা স্মরণ হয় না। অনেক চন্তা করিয়া দেখিলাম, কিছুতেই ঈশ্বরবিষয়ক পরোক্ষ-জ্ঞান গ্রু উপার্জনের দিনটা মনে পড়িল না। কোন বৎসরের কোন দিনে কি উপলক্ষ্যে যে আমার অন্তরে “ঈশ্বরোহস্তি’ জ্ঞান উদিত হইয়াছিল তাহা এখন মনে করিতে অসমর্থ। এখন এই মাত্ৰ মনে হয়, তিন চার বৎসর বয়সের পূর্বে এ সমস্তই অপরিচিত ছিল, তৎপরে অল্পে অল্পে এক একটা করিয়া অসংখ্য লৌকিক অলৌকিক জ্ঞান উপার্জন করিয়াছি । তিন চার বৎসরের পূর্বে কিরূপ ছিলাম, যদিও তাহা স্মরণ করিয়া বলিতে পারি না, তথাপি, অন্যের দ্বারা স্থির করিতে পারি। প্রতিদিনই দেখিতে পাই, মানব প্রথমে স্পন্দায়মান মাংস খণ্ডপ্রায় হইয়া জন্মগ্রহণ করে । পরে অবিচ্ছিন্ন প্রবাহে এ জিনিশ ও জিনিশ সে জিনিশ-ক্রমে পৃথিবীর অসংখ্য জিনিশ চিনিয়া থাকে । এই ব্যাপার কি কৌশলে বা কি প্রণালীতে সাধিত হইতেছে—সম্পন্ন হইতেছে—তাহা ভাবিতে গেলে চিত্ত বিকল ও বিস্ময় সাগরে নিমগ্ন হয় । যে মানব এক দিন ঘোর অজ্ঞান

  • পরোক্ষ জ্ঞান “আছে’ এতদ্রুপ জ্ঞান । মাক্ত। দেখা যায় না অথাৎ সাক্ষাৎ সম্বন্ধে ইন্দ্রিয়গোচবে আইসে না, অথচ "আছে” বলিয়। জ্ঞান হয়, সেই জ্ঞান। এই জ্ঞান বিশ্বাসাত্মক ।