পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক १२ कछ ७ ●ण যথা—শিশু যদৃচ্ছাক্রমে দীপশিখায় হাত দিল—তাহার হস্তে তাপ লাগিল—তাহাতে তাহার দুঃখ হইল—শিশু জানিল, আগুণ হাত পোড়ায় । আগুণের অন্যসন্নিবেশের নাম দীপ, ইহা সে বৃদ্ধদিগের নিকট পূর্বে শিখিয়াছিল। সুখদুঃখের সংস্রব ও বৃদ্ধ ব্যবহারের ভূয়োদর্শন এ উভয় অধিকস্থলেই বিদ্যমান পদার্থের শিক্ষক। কেন-না, অতীত ও অনাগত বস্তুর জ্ঞান দেখিয়া ও ভোগ করিয়া আহরণ করা যায় না । সে সকল জ্ঞান কার্যকারণসম্বন্ধমূলক এবং কার্য্যকারণ সম্বন্ধজ্ঞান অনেক স্থানেই উপদেশ সাপেক্ষ । স্বতঃসিদ্ধ অনুমান শক্তি ও বিশ্বাসের সহিত দ্বোধন করে । আমরা পরিণত বয়স্ক যুবর কথা বলিতেছি না,শিশুর কথাই বলিতেছি । তুমি যখন ভূমিষ্ঠ হইয়াছিলে, তখন তোমাকে-কে কি শিখাইয়াছিল, তাহাই বলিতেছি । যখন তুমি কতক দেখিয়া, কতক শুনিয়া কতক নিজের অনুমানশক্তি ও বিশ্বাস অবলম্বন করিয়া পৃথিবীর জিনিশ চিনিতে ছিলে তখনকার কথাই ললিতেছি । নাসিকা, জিহবা,ত্বক ও অন্তঃকরণ তোমাকে অনেক বিষয় দেখাইয়াছে,তথাপি মানিতে হইবেক, স্বীকার করিতে হইবেক যে, তোমার কাণ তোমাকে বিশেষ করিয়া অনেক বিময় শিখাইয়াছে । যে সকল বিষয় অতীত, ভবিষ্যৎ ও অলৌকিক,তোমার জ্ঞানী গুরু তোমাকে না বুঝাইয়া দিলে তুমি সে সকল বুঝিতে না—আজ জ্ঞানী বলিয়া অভিমান ও খ্যাতিলাভ করিতে পারিতে না । মনে কর,শিশু মিষ্টান্ন | श्रीड़ा झंझेल । বৃদ্ধ ব্যবহারের যে অঙ্গের নাম | উপদেশ–সেই অঙ্গ হৃদয়শায়ী পুরুষের মূল হইলেও তাহাতে উপদেশের বিশেষ যদিও তোমার চক্ষু, কর্ণ, । খাইল—খাইতে ভাল লাগিল—সে-সুখ । তাহার চিত্তকে আকর্ষণ করিল – সে তাহ। আবার খাইল । কিছু দিন পরে তাহার এই পীড়ার সহিত শিশুর সেই মিষ্টান্ন ভোজনের যে কার্য্যকারণ সম্বন্ধ আছে তাহা শিশু তখন জানিতে পারিল না । যখন তাহাকে বুঝাইয়৷ দেওয়া হইল তখন জানিতে পারিল । বুঝাইয়া দিলে পারে, নচেৎ পারে না, এইরূপ স্থলই অধিক। যতক্ষণ না বুঝাইয়া দেওয়া যায় শিশু ততক্ষণ জানিতে পারে না, বুঝিতে পারে না, এই নিদর্শনের দ্বারা স্থির হয়, বৃদ্ধব্যবহারের ভূয়োদর্শন ও সুখদুঃখভোগ, এতদুভয় জ্ঞানসঞ্চারের সহায়ত ভাছে । ফল, অনেক সময়ে ও মিলিত হইয়া ভবিষ্যবিষয়ক জ্ঞানের উ- অনেক স্থলে কেবল মাত্র উপদেশের দ্বারা জ্ঞানবিশেষের আবির্ভাব হইতে দেখা যায়। শিশু যে বুঝাইয়া দিলে বুঝে, অদৃশ্য বা অবিদ্যমান বিষয়ের জ্ঞান লাভ করে, তাহার অন্যতর কারণ তাহার বিশ্বাস । সুখ দুঃখের সংস্রব ও ব্যবহারের তুয়োদর্শন, এ ছএর কোনটাই তাহার কারণ নহে । সুখ দুঃখের ভোগ ও হৃদয়শায়ী পুরুষের অভু্যথান বা স্বভাবসিদ্ধ অনুমান শক্তি (সম্বন্ধজ্ঞান), এ দুএর দ্বারাও কোন কোন ভবি ম্যৎ জ্ঞান উদিত হইয়া থাকে । শিশুর ক্ষুদ্বোধ হইল,—জননী তাহাকে স্তন্যপান করাইলেন,—তাহাতে তাহার ক্ষুদ্বাধা নিবারিত হইল। পরদিন আবার ক্ষুদ্বোধ হইল—শিশু স্তন্য পাইবার জন্য র্ক দিতে লাগিল । কেমন এক অনিৰ্ব্বচনীয় শক্তিতে সে জানিয়াছে, স্তন্য পানে আমার ক্ষুদ্‌ যন্ত্রণা নিবারিত হইবে । ইহাতেও স্থির হয়, যে, ব্যবহারের ভূয়োদর্শন ও স্থখ দুঃখের সংস্রব, এই দুই মূল বিভাগের অ