পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

د د vد rf۹۹ه ه٠ صني বান্তর বিভাগ উপদেশপ্রবণ, হৃদয়শায়ী আত্মার স্বতঃসিদ্ধ অনুমানশক্তি ও তাহার স্বতঃসিদ্ধ সরল বিশ্বাস। এই চারি প্রকার বিভাগই মনুষ্যকে প্রসূতাবস্থা হইতে মরণাবস্থার পূর্বপর্য্যন্ত নিত্য নূতন জ্ঞান শিক্ষা করায় । উপদেশও জ্ঞান সঞ্চারের কারণ, এতই প্রসঙ্গে একটী সাময়িক ব্যবস্থা ও আন্দোলন মনে আসিল । ইংরাজী শিক্ষার প্রাবল্যে আজকাল নব্যদলের মধ্যে এইরূপ আন্দোলন শুনিতে পাওয়া যায় যে, ছেলেকে বিধি-নিষেধের দ্বারা অর্থাৎ উপদেশ দান দ্বারা কিছু না শিখাইয়া ছেলে যাহাতে ঠেকিয়া শেখে তাহার ব্যবস্থা করা উচিত । ছেলেকে যদি পরকীয় ভাষা শিখাইতে চাও—তবে ছেলেকে ছেলের জন্য তদেশীয় চাকর চাকরাণী রাখ—ছেলে তাহাদের কথা শুনিতে শুনিতে ও তাহাদের সহিত কথা কহিতে কহিতে তাহাদের ভাষা শিখিয়া লইবে । কোন দ্রব্যের গুণ, ধৰ্ম্ম ও ব্যবহারাদি শিখাইতে হইলে কেবল কথায় বলিয়া দিলে হইবে না, সেই সেই দ্রব্য তাহাদিগকে আনিয়া দিতে হইবে । সে ব্যবহারে আনিয়। সে সকলের গুণাদি বুঝিয়া লইবে। ইহাই ভাষা ও বাহপদার্থ শিক্ষার অত্যুৎকৃষ্ট উপায়। নব্যের এইরূপে ૭૧ ভোগ দ্বারা শিক্ষা করারই অন্য নাম ঠেকে । শেখা। যদি পৃথিবীর সমুদায় ব্যাপারে সেই মূহূর্তেই সুখদুঃখভোগ হইত তাহ হইলে অবশ্যই উপদেশ অগ্রাহ্য করিয়া সুখদুঃখ সংস্রবকেই জ্ঞানশিক্ষার ভিত্তি বলিতে পারিতে। কিন্তু পৃথিবীর অধিক ব্যাপারই অতিক্রান্ত কালে সুখ দুঃখ জন্মায়। অর্থাৎ অ,.মক স্থলেই সুখ দুঃখ কাল-ব্যবধানে সংঘটিত হইয়া থাকে। যাহা কাল-ব্যবধানে ঘটে, তাহার সহিত পূর্ববর্তী কাৰ্য্যের যে সম্বন্ধ, সে সম্বন্ধ বিনা উপদেশে জ্ঞানগম্য হইতে প্লারে না । সেই কারণে অনেক বিষয়ে যুবাকে ও বুঝাইয়া দিতে হয় এবং বৃদ্ধকেও তাহার ভবিষ্যৎ সুখ দুঃখের মূল বুঝাইবার জন্য আবহমান কাল হইতে অনাদি বিধি ং দ্যtষাজ্ঞ লোকের সহবাস করাও— | ঠেকিয়া শেখাকে বলবৎ ও উপদেশকে । দুর্বল করিতে ইচ্ছুক। স্বীকার করি, ব্যবহারের ভূয়োদর্শনে ও ঠেকিয়া শেখায় । জ্ঞান বদ্ধমূল হয় সত্য ; কিন্তু তাই বলিয়া উপদেশের মহিমা অস্বীকার করিতে পারি না। পূর্বেই বলিয়াছি, উপদেশ বৃদ্ধব্যবহারেরই অপর অঙ্গ । অপিচ, ঠেকে শেখা এ কথার অর্থ কি ? তাৎপৰ্য্য কি ? নিষেধ বাক্য উপস্থিত আছে । যাহারা । উপদেশের উপর জ্ঞান-ভিত্তি স্থাপন করিতে অনিচছুক, তাহাদের ব্যবস্থিত শিক্ষণপ্রণালী যে অঙ্গভঙ্গবিশিষ্ট, তাহাতে আর সংশয় নাই । অতএব বিধিনিষেধের দ্বারাও জ্ঞানের প্রাকট্য অবস্থা আইসে, এ তত্ত্ব অবশ্য স্বীকার্ষ্য । কেবল সুখ দুঃখ ভোগের উপর জ্ঞানভিত্তি ও শিক্ষাভিত্তি স্থাপন করিলে কাৰ্য্য কালে তাহা দৃঢ় থাকে না । নিষ্কামধৰ্ম্ম প্রবৃত্তিও হইতে পারে না । বিধি প্রতিপালন করা যে পরম ধৰ্ম্ম ও শান্তিলাভের উপায়—সে ধৰ্ম্ম ও সে উপায়ে পরিভ্রষ্ট হইতে হয় । অতএব, জ্ঞানসঞ্চারের মূল খুজিতে গেলে তাহা কেবল সুখ দুঃখ বিচারের মধ্যে পাওয়া যাইবে না । জ্ঞানের প্রকৃত মূল অনাদি—সেই কারণে ঋষিরা ইহার সহিত পূর্ব জন্মের সংস্রব দেখিতে পাইতেন । * আমরা যদি খুব অনুসন্ধান কথা ঋষি-বাক্য বটে কিন্তু ইহার প্রমাণ সম্পাদক ।

  • ՎԶ

কি রূপে সম্ভবে ?