পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৮ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

  • २ कन्न, ● डार्ण

করি তাহ হইলে জঠর বাসের শেষ মাসের পূর্বভাগেও উহার মূল দেখিতে পাই । n বৃদ্ধব্যবহার, হৃদয়শায়ী পুরুষের সহিত বহির্বস্তুর সুখ দুঃখ সম্বন্ধ, হৃদয়বাসী আত্মীয় যে স্বতঃসিদ্ধ বোধ-বীজ আছে তাহা ও তদ্বিকাশক উপদেশ, এই কএকটা সমবেত ও পূর্ণ না হইলে জ্ঞানের পূর্ণতা হয় না । ষে-টার অভাব বা ক্রট হইবে সেইটাই জ্ঞানসঞ্চারের বা আত্মার অভু্যথানের বৈগুণ্যসাধন করিবে । যে যত অধিক বৃদ্ধব্যবহার পর্য্যবেক্ষণ করে সে তত অধিক জ্ঞানসম্পন্ন হয় । যে যত অধিক বাহ্যবস্তুর সহিত সম্পর্ক পাতায় সেও তত অধিক সে সকলের গুণাগুণ জানিতে পারে। যে যত অধিক উপদেশ শুনে ও বিশ্বাস করে সে তত অধিক ভূতভবিষ্যদশা হয়, যদি তাহার স্বতঃসিদ্ধ বোধ বীজ অঙ্কুরিত হইবার কোনরূপ আধ্যাত্মিক বাধা না থাকে। (আধ্যাত্মিক বাধা = ইন্দ্রিয়-বৈকল্য) । অনেক মানুষ উপদেশ পায় না ও শুনে না, তাই তাহাদের জ্ঞানের একটী অঙ্গ অপ্রকট থাকে। অনেক মানুষ লোকব্যবহার অল্প দেখে, তাই তাহীদের জ্ঞানের এক অঙ্গ ক্ষীণতা প্রাপ্ত হয় । এইরূপে মানব-জ্ঞানের উত্তমাধম ভাব চলিতেছে ও নিৰ্ব্বাহ পাইতেছে । লোকব্যবহারের আদর্শনে ও উপদেশের অভাবে মানব-জন্ম যে কিরূপ দুররন্থাগ্রস্ত হয় তাহা ব্যাঘ্ৰপালিত মতষ্যের বিবরণ পাঠ করিলেই বুঝিতে পারবেন । ইন্দ্রিয়বিপৰ্য্যয়রূপ আধ্যাত্মিক বাধা মানব জ্ঞানের যেরূপ বিঘ্ন করে তাহাও মূলের জ্ঞান পর্ষ্যালোচন করিলেও বুঝা যাইতে পারে। ক্রমপ্রকাশ্য । | জীবস্থিতি । ( কুলার্ণব তন্ত্রোক্ত ) পাৰ্ব্বতী কহিলেন, দেব, এই দুঃখসস্কুল সংসারে কত জীব জন্মিতেছে ও মরিতেছে ইহার কোন অন্ত নাই। কিন্তু এই সংসারে কেহই তুর্থী নয়। এক্ষণে বল ইহার কোন উপায়ে এই সংসার-বন্ধন মুক্ত হইতে পারে । 暇 শঙ্কর কহিলেন; দেবি, তুমি আমাকে যাহা জিজ্ঞাসিলে কহিতেছি শুন । ইহা শুনিবা মাত্র মনুষ্যের সংসার-বন্ধন ঘুচিয়৷ যায় । দেবি, এক অদ্বিতীয় পরব্রহ্ম আছেন । তিনি সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্বস্রষ্টা সৰ্ব্বেশ্বর নিৰ্ম্মল ও নিষ্কল । তাহার অাদি ও অন্ত নাই । তিনি স্বয়ংজ্যোতি নিত্য নিৰ্ব্বিকার জ্ঞানময় ও আনন্দস্বরূপ । এই সমস্ত জীব তাহারই অংশ । অগ্নির পক্ষে বিস্ফুলিঙ্গ যেরূপ অভিন্ন ব্রহ্মের পক্ষে জীবও সেইরূপ অভিন্ন। কেবল মায়াকৃত উপাধি দ্বারা তাছা হইতে ভিন্ন হইয়। আছে । এবং স্বীয় স্থখদুঃখপ্রদ পুণ্যপাপে নিয়মিত হইয়৷ দেহ আয়ু ও কৰ্ম্মজ ভোগ লাভ করিতেছে। ফলত ইহারা মায়া-প্রভাবে একান্ত হতজ্ঞান। দেখ,অনেক সুকৃতিবলে মনুষ্যজন্ম লাভ হয় । সেই মনুয্যের মধ্যে যে জ্ঞানী মুক্তি তাহারই ঘটিয়া থাকে । ফলত মনুষ্য ব্যতীত তত্ত্বজ্ঞানের অধিকারী আর কেহই নয়। এই মনুষ্য জন্ম অনেক পুণ্যের পুরস্কার। মুক্তির সোপান এই দুর্লভ নৃদেহ লাভ করিয়া যে ব্যক্তি আপনাকে উদ্ধার না করে তদপেক্ষ পাপিষ্ঠ আর কেহই নাই। এই উত্তম মতুল্যজন্ম ও ইন্দ্রিয়সৌষ্ঠব লাভ করিয়া যে আত্মহিত না বুঝে সেই যথার্থ আত্মঘাতী। দেহ ব্যতীত কাহারই পুরুষাৰ্থ