পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• داد gTiح

  • mm=–

প্রস্থান করিয়া কিছুকাল আমরা মৃত্যুরূপ সজ্জাগৃহে বিশ্রাম করি ও পুনর্বার নবসাজে সজ্জিত হইয়া জীবন-রঙ্গভূমিতে পুনঃপ্রবেশ করি ও নব উদ্যমে পূর্ণ হইয়৷ জীবনের নূতন অঙ্ক অভিনয়ে প্রবৃত্ত হই । বলিতে বলিতে ঐ দেখ পূর্বদিকের যবনিক অল্পে অল্পে উদঘাটিত করিয়া শুভ্ৰভূসা অকলুস উশ ধার পদক্ষেপে প্রবেশ করিতেছেন । সুকুমার শিশুর পবিত্র হাসির রেখা দিগন্তের-রক্তিম অধরে দেখা দিয়াছে । সুখম্পর্শ প্রভাত সমীরণ মন্দ মন্দ বহিতেছে । উষার চুম্বনে কুসুম 5།ས་ যে শাখায় উপবেশন সেই শাখার মূলচ্ছেদন রাশি জাগ্রত হইয়। কেমন পবিত্র সৌরভ । বিস্তার করিতেছে । কলরবে আকাশ ছাইয়া গেল । জীবন সুখে পুনর্বার পূর্ণ হইল। এ সেই পবিত্র স্বরূপ, আনন্দ-স্বরূপ, মঙ্গল-স্বরূপেরই মহিমা । আইস এই নব-বর্ষের বিহঙ্গকুলের মধুর । জগৎ . উৎসবে, আমরা তাহারই মহিমা ঘোষণা । করি, বর্ষের এই প্রথম দিনে সেই সৰ্ব্ব- | সিদ্ধিদাতার নাম উচ্চারণ করিয়া অামাদের রসনাকে পবিত্র করি—এই পবিত্র দিবসে এই পবিত্র প্রাতঃকালে র্তাহারই জীবনের সার্থকতা সম্পাদন করি । ও শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ হরিঃ ওঁ যে শাখায় উপবেশন সেই শাখার মূলোচ্ছেদন। ইতি পূর্বে বেদান্ত দর্শনের নূতন প্রকাশ নামক আমার রচিত যে একটি প্রবন্ধ ভারতীতে প্রকাশিত হইয়াছিল, সম্প্রতি খ্ৰীযুক্ত বাবু বিপিনবিহারী সেন তাহার প্রতিবাদ করিয়া “আত্মা ও অহং বৃত্তি” নামক একটা প্রবন্ধ নব্য ভারতে প্রকাশ २१ করিয়াছেন । আমাদের স্বপক্ষের যাহা বলিবার কথা তাহা আমরা তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ও ভারতীতে এতলার এত রকমে বলিয়াছি যে আবার সেই সকল পুরাতন কথা এখানে নুতন করিয়া বলা এক প্রকার যন্ত্রণা-বিশেস । হাম গ্রী রসালো হইলে কি হয় –একই সামগ্রীকে বারংবার ক্রমাগত কচলাচলে অমৃত ও তিক্ত হইয় উঠে। এ জন্য এখানে তামর। তাবশ্যক মত তাহার কিঞ্চিৎ মা'র উল্লেখ করিয়া শুদ্ধ কেবল এইটি দেখাইব যে, বিপিন বাবু আমাদের কথা খণ্ডন করিতে গিয়া তাহার আপনার কণাই আপনি খণ্ডন করিয়াছেন ও আমাদের কথাই সপ্রমাণ করিয়াছেন । বিজ্ঞান-ভিক্ষু তাহার সাংখ্য-সার গ্রন্থে বলিয়াছেন “দ্রষ্টা সামান্যতঃ সিদ্ধে। জানেইচং ইতি ধী বলাং ।" অর্থাৎ “সামান্যতঃ তামি জানি” এইবুদ্ধিবলে দ্রষ্টার (অর্থাৎ আত্মার) প্রতিপন্ন হয়। ফরাসী দেশীয় দে কৰ্ত্ত। বলিয়াছেন "I think therefore I am” ofts off: fs gi affa. রূপ অস্তিত্ব তত্ত্ববিং তেছি ইহাই আমার আপনার ভাস্তিত্বের কার্য্যে আমাদের জীবনকে উৎসগ করিয়া । প্রমাণ । এই দুইটি প্রসিদ্ধ বচনের পরস্পর তুলনা-প্রসঙ্গে, আমি সাংখ্য-সারের উপরি-উক্ত বচনটির মধ্য হইতে “সামান্যত” এই শব্দটি বাদ দিয়া অবশিষ্ট অং শের ব্যাখ্যা করিয়াছিলাম ; এতদুপলক্ষে বিপিন বাবু বলিতেছেন যে, “দ্বিজেন্দ্র বাবু ইহার এই মত অর্থ করেন, যথা, আমি জানি এইরূপ বুদ্ধি-বলেই (এক কথায় অহংবৃত্তি বলেই) আত্মা সিদ্ধ হয়েন ; উপরোক্ত বচনের মধ্যে যে সামান্যতঃ পদ আছে, তাহা তিনি ধর্তব্যের মধ্যেই গণ্য করেন নাই।” বিপিন বাবুর মতে “সামান্য” এ কথাটি সামান্য কথা..