পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১৭

Գb कूट्ञ्चन्तन्जक তত্ত্ববোধিনী পত্রিক (২) সপ্রাণ জড় বস্তু—যেমন বৃক্ষ লতা গুল্ম ; (৩) সংকীর্ণ চেতন-পদার্থ—যেমন পশু পক্ষী কীট-পতঙ্গ ; (৪) ব্যাপক চেতনপদার্থ—যেমন মনুষ্য । প্রথমতঃ এই সমস্ত বিভিন্ন শ্রেণীর বিভিন্ন প্রকৃতির প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করা ;—দ্বিতীয়তঃ সমস্তের সাধারণ প্রকৃতি কিরূপ তাহার প্রতি প্রণিধান করা ;—ইহাই সহজ উপায় । অপ্রাণ ভৌতিক বস্তু-সকলের আভ্যন্তরিক প্রকৃতি কিরূপ তাহ আমরা ইতিপূর্বে দেখাইয়াছি ; কি ? না আকর্ষণ বিকর্ষণ । ইহাকেই আমরা বলি-ভৌতিক প্রকৃতি । এখন জৈবিক প্রকৃতি কিরূপ তাহা দেখা যা’ক । উদ্ভিদ-রাজ্যেই জৈবিক প্রকৃতির প্রথম স্ত্র-পাত । অতএব, বৃক্ষের উৎপাদনকাৰ্য্য প্রকৃতি দ্বারা কিরূপে সংঘটিত হয় তাহাই সর্বপ্রথমে আলোচিতব্য । “রক্ষৎপাদন” এই যে একটি ক্রিয়া—ইহার মূলে, বীজের প্রকৃতি, জলের প্রকৃতি, বায়ুর প্রকৃতি, মৃত্তিকার প্রকৃতি, এইরূপ বিভিন্ন বস্তুর বিভিন্ন প্রকৃতি একত্র যোটবদ্ধ হইয়া কাৰ্য্য করে ; আর সেই যে বিভিন্ন প্রকৃ তির বিভিন্ন কাৰ্য্য—তাহা একই কার্যোর বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা। কেননা, মুখ্য কার্য্য যাচা—তাহা এক বই দুই নহে— কি ? না রক্ষের উৎপাদন ; সেই একটি মুখ্য-কার্য্যের অভ্যন্তরে অনেক-গুলি শাখা-কাৰ্য্য অন্তভূতি ;–(১) প্রয়োজনীয় ধাতু-সকলের বাহকতা-কাৰ্য্য—ইহা প্রধানতঃ জলের কার্য্য ; (২) ঐ সকল ধাতুর সংশোধন বা সংস্করণ—ইহা প্রধানতঃ আলোক উত্তাপ এবং বায়ুর কার্য্য ; (৩) ঐ সকল ধাতুর উপকরণ-সংস্থান— ইহ প্রধানতঃ মৃত্তিকার কার্য্য ; (৪) সম.স্তের সামঞ্জস্য সাধন—ইহাই প্রধানতঃ বীজের কার্য্য। এখানে মুখ্য কার্ষ্য যেমন এক বই দুই নহে—কি ? না বৃক্ষের উৎপাদন কাৰ্য্য ; আর, সেই একটি-মাত্র মুখ্য-কার্য্যের যেমন অনেক-গুলি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ –(১) জলের কার্য্য, (২) বায়ু প্রভূতির কার্য্য, (৩) মৃত্তিকার কার্য্য,ইত্যাদি— তেমনি, সেই মুখ-কাৰ্য্যটির মৌলিক কারণ এক বই দুই নহে—কি ? না বৃক্ষোৎপাদিক-শক্তি ; বৃক্ষোৎপাদনের আর আর যত প্রকার আনুষঙ্গিক কারণ আছে— যেমন, জলের ধাতু-বাহকতা-শক্তি—বায়ুপ্রভৃতির ধাতু-শোধন-শক্তি –মৃত্তিকার ধাতুপোষণ শক্তি-সমস্তই এক-সেই বৃক্ষোৎপাদিক-শক্তিরই অন্তভূ ত । অঙ্কুরিত হইবার শক্তি যাহা বীজে আছে এবং বীজকে অঙ্কুরিত করিয়া তুলিবার শক্তি যাহা জল বায়ু মৃত্তিকা-প্রভৃতিতে আছে,—এই দুই বিভিন্ন শক্তি একই বৃক্ষোৎপাদি ক-শক্তির দুইটি বিভিন্ন অবয়ব। বাচনিক সুবিধার জন্য—অঙ্কুরিত হইবার শক্তি যাহা বীজে আছে—তাহা কৈন্দ্রিক শক্তি বলিয়া সংজ্ঞিত হউক্‌ ; আর, বীজকে অঙ্কুরিত ক- । রিয়া তুলিবার শক্তি যাহা জল-বায়ু মৃত্তিক। প্রভূতিতে আছে—তাহা পারিধ শক্তি বলিয়া সংজ্ঞিত হউক্‌ ; তাহা হইলেই দাড়াইবে যে, কৈন্দ্রিক এবং পারিধ এই দুইটি শক্তি একই বৃক্ষোৎপাদিকা-শক্তির দুইটি পৃষ্ঠ—বা ছুইটি অপরিহার্য্য অবয়ব; কেননা, বৃক্ষ উৎপাদন করিতে হইলে ঐ দুইটি শক্তির একটিকে ছাড়িয়া আর একটি একাকী কোনো কার্য্যেরই নহে। কৈন্দ্রিক এবং পারিধ এই দুই প্রকার শক্তি যাহা দেখা গেল—দুয়ের মধ্যে বিশেষ একটি প্রভেদ এই যে, বীজকে অঙ্কুরিত করিয়া তুলিবার শক্তি যাহা জল-বায়ুমৃত্তিক প্রভূতিতে অাছে তাহ সাধা १२ कलं, ७ ७ॉन