পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

كم يوجد ت" - دانست د سb তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা । অভ্যন্তরে মৌলিক জীবোৎপাদিক-শক্তি নিরন্তর কার্য্য করিতেছে—এবং সেই মৌলিক জীবোৎপাদক-শক্তিই ক্রমাভিব্যক্তির নিয়মের বশবৰ্ত্তী হইয়া বিভিন্ন জাতীয় বিভিন্ন জীবে পরিণত হইতেছে । স্থাবর এবং জঙ্গম জীবের মধ্যে (অর্থাৎ অচেতন বৃক্ষাদির এবং সচেতন পশ্বাদির মধ্যে) যত কিছু সাজাত্য এবং বৈজাত্য (অর্থাৎ সমজাতীয় ভাব এবং ভিন্ন জাতীয় ভাব) দৃষ্টিগোচর হয়—সমস্তই ক্রমাভিব্যক্তির ফল । বৈজ্ঞানিক পণ্ডিতেরা ক্রমাভিব্যক্তির নিয়মকে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন (১) সন্ততির নিয়ম (law of heredity)—ইহাই সাজাত্যের মূল প্রবর্তক; go (s) offså fåån (Law of adaptation) -- ইহাই বৈজাত্যের মূল প্রবর্তক। প্রচলিত প্রবাদ এই যে, “বাপ-কা বেট সেপাই-কা ঘোড়া” ইহাই সন্ততির নিয়ম (law of herdity); এবং শাস্ত্রে অাছে “সংসর্গজ দোষগুণ ভবন্তি” অথবা “যস্মিন দেশে যদাচারঃ” ইহাই সঙ্গতির নিয়ম (law of adaptation) || Hgfsă firgs a? যে, যেমন পিতামাতা তেমনি সন্তানসন্ততি ; সঙ্গতির নিয়ম এই যে, যেমন সঙ্গ তেমনি পাত্র । সন্ততি এবং সঙ্গতির নিয়মের উপর সাজাত্য এবং বৈজাত্য কিরূপ নির্ভর করে,তাহার একটি উদাহরণ;— মনে কর একজন বাঙ্গালির জ্যেষ্ঠ পুত্র ভারতবর্ষে ভূমিষ্ঠ হইয়াছে ; তাহার পরে পিতামাত কতিপয় বৎসর ইংলণ্ডে অবস্থিতি-কালীন সেই স্থানে তাহাদের দ্বিতীয় পুত্র ভূমিষ্ঠ হইল ;–প্রথমতঃ দুই পুত্রই এক পিতা-মাতার সন্তান সুতরাং দুই পুত্রেরই এরূপ কতকগুলি গুণ অবশ্যই আছে — যাহা পৈতৃক-লক্ষণাক্রান্ত ; ইহা २२ कब्र, ७ ङtण য়তঃ, খুবই সম্ভব যে, দ্বিতীয় পুত্রে এরূপ কতক-গুলি লক্ষণ বৰ্ত্তিয়াছে—যাহা ইংলণ্ডের জল-বায়ু মৃত্তিকার ফল ; যেমন— কটা চুল—ধৰ্বধোবে শ্বেত বর্ণ—ইত্যাদি । এ গুলি পৈতৃক গুণ নহে—এমন কি, এই গুণ-গুলি দেখিয়া দ্বিতীয় পুত্রকে লোকে সহসা ইংরাজ ঠাওরাইতে পারে। ইহাতেই সঙ্গতির নিয়ম সূচিত হয়। সন্ততির নিয়মে সাজাত্য সংঘটিত হয়— বাঙ্গালির পুত্র বাঙ্গালি লক্ষণাক্রান্ত হয়—ইংরাজের পুত্র ইংরাজি লক্ষণাক্রান্ত হয়—ইত্যাদি ; সঙ্গতির নিয়মে বৈজাত্য সংঘটিত হয়— বাঙ্গালির পুত্র ইংরাজি লক্ষণাক্রান্ত হয়— ইংরাজের পুত্র আমেরিকীয় লক্ষণাক্রান্ত হয়—ইত্যাদি। সাধারণতঃ বলা যাইতে পারে যে একই পিতামাতার কোনো দুই ত্রই সর্বাংশে সমান নহে ; কিন্তু আবার এটাও ঠিক যে, কোনো না কোনো ংশে একই পিতামাতার সকল পুত্রই সমান, কেননা পৈতৃকগুণ সকল পুত্রেই কোনো না কোনো অংশে বৰ্ত্তিতেছে । আধুনিক জীবতত্ত্বজ্ঞদিগের সিদ্ধান্ত এই যে, নানা জাতীয় জীবগণের মধ্যে ষেখানে যত সাজাত্য দেখিতে পাওয়া যায় সমস্তই সন্ততির নিয়মাধীন ; আর, যেখানে যত বৈজাত্য দেখিতে পাওয়া যায়—সমস্তই সঙ্গতির নিয়মাধীন । ইহাতে এইরূপ দাড়াইতেছে যে, একই মৌলিক বৃক্ষোৎপাদিকা শক্তি (অর্থাৎ আদিম জাতীয় বৃক্ষোৎপাদিকা শক্তি) কাল ক্রমে বিশেষ বিশেষ নানা জাতীয় বৃক্ষোৎপাদিক-শক্তিতে পরিণত হইয়াছে । এবং এযাহা হইয়াছে—তাহ শুদ্ধ কেবল দুইটি নিয়মের প্রসাদাৎ (১) সন্ততির নিয়ম এবং (২) সঙ্গতির নিয়ম ;–সন্ততির নিয়ম সা তেই সন্ততির নিয়ম সূচিত হয় । দ্বিতী- জাত্যের ভিত্তি-মূল ; সঙ্গতির নিয়ম বৈজt