পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা १२ कझ, ७ छाँ* - চরিত্রে, কি সামাজিক চরিত্রে, যতদিন | জিক জ্ঞান ও উন্নতিস্রোত প্রবাহিত থাকে, যতদিন তাহার আত্ম সংশোধনের স্পৃহা ও ক্ষমতা থাকে, তত দিনই তাহ নিরন্তর । উন্নতির পথে অগ্রসর হইতে থাকে। । যাহাদের ীিकछूमाऊँ বিবেচনাশক্তি ও উন্নতিলাভের ইচ্ছা আছে তাহারা একথার স্বার্থকতা হৃদয়ঙ্গম করিতে সমর্থ হইবেন । কিন্তু যাহারা য়ুরোপীয় সমাজের অনুকরণে সমাজ সংস্কার করিতে চান, বিলাতে ইহা আছে, অতএব এখানেও না হইবে কেন, এরূপ যুক্তি অবলম্বন করিয়া যাহারা সংস্কার কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হন, তাহাদিগকে আমরা ভ্রান্ত মনে করি । অনুকরণ প্রিয়তা সৰ্ব্বথা দূষণীয় নহে–কিন্তু অনুকরণ মাত্রেই প্রার্থনীয় নহে। দেশ কীলের প্রকৃতির সঙ্গে মিলাইয়া অনুকরণ করিলেই উপকারের সম্ভাবনা । কিন্তু সমাজ সংস্কারের উদ্দেশ্য । প্রথা-গুলিকে পদদলিত করিয়া সমাজ সংস্কারে অগ্রসর হই। ইহা অামাদের ভয়ানক ভ্ৰম সন্দেহ নাই। যাহা । কিছু দেশীয়, তাহাই অপকৃষ্ট নহে, এবং যাহা কিছু বিলাতী আমদানী তাহাই উৎ কৃষ্ট নহে। দূষণীয় প্রথা পরিত্যাগ করিয়া যথার্থ হিতকর প্রথা প্রবত্তিত করাই কিন্তু হঠকা রিত দোষে এই উদ্দেশ্য অনেক সময় পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রখর অালোকে পড়িয়া । অনেক সময় আমাদের চক্ষু ঝলসিয়া যায়। তখন যাহা কিছু পাশ্চাত্যভাবাপন্ন, বাহ। কিছু বিলাতী ধরণের, তাহাই আমরা তাদশ মনে করি, এবং তদ্বিপরীত যাহ। কিছু দেশীয়, তাহা অামাদের জীবনের

  • Evg

비 71 সিদ্ধ হয় না । আমরা সংস্কারের বিরোধী নহি, কিন্তু নির্দোষ জাতীয়ভাব—যাহা আমরা রক্ষা করিয়া ভারতীয় সভ্যতা স্মৃতিপটে জাগরূক রাখিতে পারি, সেগুলিকে পরিত্যাগ করা আমরা স্বদেশবৎসলতার লক্ষণ মনে করি না । ভারতের তীয়ে প্রতিপালিত হইয়া, ভারতীয় ঋমিদিগের বংশধর হইয়। যদি আমরা জাতীয় ভাব স্মরণ ও রক্ষা না করি, জাতীয় গৌরব, জাতীয় মহত্ত্ব চিন্ত৷ না করি, তবে এ আসার সভ্যতাতে আমাদের আত্মার কি কল্যাণ হইবে ? যে কেবল বেশ ভূষার পারিপাট্য সাধনে তৎপর, যে সভ্যতা মানব চরিত্রের সভ্যতা অন্তস্তলে প্রবিষ্ট না হইয়া কেবল শারী জনক ও নির্দোষ হইলেও আমাদের নিকট । উপেক্ষিত হয়। ফলতঃ, একটি কুসংস্কার পরিত্যাগ করিতে গিয়া আর একটি কুসংস্কারের বশীভূত হওয়া প্রার্থনীয় নহে । of Eqi Atto: “In order to do what is light, we must know what is right softs. কুসংস্কার দূর করিবার পূর্বে কোনট কুসংস্কার জানা আবশ্যক। অনেক সময় বিদেশীয় সভ্যতার বাহ্য শোভা ও চাকচিক্যময় উজ্জ্বল সৌন্দর্য্যে আকৃষ্ট হইয়া আমরা দেশীয় স্নিগ্ধ মনোরম আমাদের প্রকৃতির যথোপযুক্ত অথচ দোষশূন্য সামা আমরা রিক স্থখ লালসার সুবিধা প্রদান করে, সে সভ্যতা প্রার্থনা করি না । বাহিরের শোভা সৌন্দর্ঘ্যের সভ্যতাতে ভারতের উন্নতি হইবে, ইহা মনে করি না। শরীর আমাদের তাবৎ নহে, আত্মার কল্যাণই আমাদের লক্ষ্য । একশ্রেণীর সংস্কারক আছেন, র্যাহার “জাতীয়” “দেশীয়” এই সকল কথা শুনিলেই অগ্নিশৰ্ম্ম হইয়া উঠেন । র্তাহারা বৈদেশিক ভাবে এতই অন্ধ, যে দেশীয় কিছুই ভাল দেখিতে পান না। ভাষা, পরিচ্ছদ অtহার ব্যবহারাদি বিষয়ে ইহঁা