পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

י כשב ל"השי . чвлычмя ч но и и нынь и на ны - দের স্বদেশের প্রতি অনুরাগ দেখিতে পাওয়া যায় না । ইহঁারা বৈলাতিক অনুকরণেই তৎপর। কিন্তু অনুকরণ মাত্রই উন্নতি নহে—একথ। ই হারা বুঝিতে পা রেন না । বিশুদ্ধ জাতীয়ভাব গুলি পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সংস্কারের স্রোতে ভাসিয়া যায়, এই আমাদের আশঙ্কা । শঙ্কা অমূলক নহে । আমরা অনেক সময় সংস্কারোৎসাহী ব্যক্তিগণকে উত্তেজিত ভাবে কাৰ্য্য করিতে দেখি । কোন জিনিস একবার মন্দ বলিয়া জানিলে, এবং মন্দ জানিয়া পরিত্যাগ করিলে, উত্তরোত্তর তাহা বিদ্বিষ্টই হইয়া থাকে। তাহা আমরা তার ফিরিয়| দেখিতেই মাত্রই মন্দ বলিয়া মনে হয় । আমাদের দেশে যুবকেরা যখন সৰ্ব্বপ্রথমে ইংরাজি শিক্ষা লাভ করিয়া হিন্দু সমাজের । প্রাচীন রীতি নীতির উপর বিরক্ত হইয় | উঠিলেন ; শুনিতে পাই তখন র্তাহারা উদ্ধত ও উচ্ছ স্থল ভাবে, সংস্কারের নামে অনেক হাস্যকর ব্যবহার করিয়াছিলেন । এই প্রকার সংস্কার আমরা অন্যায় মনে করি । মাদের অন্তর্নিহিত সদ্ভাবগুলি প্রস্ফুটিত হয় ও দোষগুলি নিৰ্ম্মল হয়,সেই শিক্ষা ও সভ্যতা প্রবর্তন করাই আমাদের কর্তব্য। যে সকল সামাজিক রীতি পদ্ধতির দোষে আমাদের অনিষ্ট হইতেছে তাহ দূর করিতে প্রাণপণে চেষ্টা কর, কিন্তু সংস্কারের নামে বিকৃত পাশ্চাত্য সভ্যতার অনুকরণে সমাজ গঠন করিতে গিয়া আমাদের জাতীয় প্রকৃতির বিরুদ্ধাচারী জীবস্থিতি হইও না। প্রাচীন ভারতের গুণ গৌরবে, অামাদের অণ- | ফেলি । তাহার : ভিতরে কোন ভাল ভাব আছে কি না, । - তির যতদূর অনুকূল ইহাই যেন সকলে ইচ্ছা করি না । নৃতনের উজ্জ্বলতায় তখন : স্থিরচিত্তে বিবেচনা করিয়া সংস্কার কাৰ্য্যে ७डन्त्व भू% इङ्ग्रेच्चा गा३, 6ब धूत्वाङम যে শিক্ষা ও সভ্যতাতে অ|- | ના so- - *:- = -- - আমরা বঞ্চিত হইয়াছি বটে, কিন্তু ভারতীয় হৃদয় আমরা বিসর্জন দিই নাই । দয়া, স্নেহ, মমতা শ্রদ্ধাভক্তি প্রভৃতি কোমল গুণগুলি আমাদের জাতীয় সম্পত্তি। বিশেষতঃ হিন্দু মহিলার স্নেহপ্রবণ হৃদয় জগৎপ্রসিদ্ধ। আমরা যেন পরিবর্তন। স্রোতে এই দশ ল সদগুণ হারাইয়া না উপসংহারে বক্তব্য এই যে স্বদেশ বিদেশের জ্ঞানালোচনা করিয়া জাতীয় উন্নতি সাধনেই যেন আমরা যত্ন করি । বিলাতে এই প্রথা আছে, আমাদের দেশে কেন থাকিবে না, ইহার পরিবর্তে উক্ত প্রথা রীতি নীতি আমাদের জাতীয় প্রকৃ হস্তক্ষেপ করেন । জীবস্থিতি । কুলার্ণব তন্ত্রোক্ত । ধামান ব্যক্তি সমস্ত শাস্ত্র অভ্যাস পূর্বক তত্ত্ব জানিয়া ধ্যান্যার্থী যেমন পলাল (খড়) পরিত্যাগ করে সেইরূপ সকল শাস্ত্র পরিত্যাগ করিবে । যে ব্যক্তি অমৃতে পরিতৃপ্ত তাহার আহারে প্রয়োজন হয় না ; যে ব্যক্তি তত্ত্বজ্ঞ তাহার শাস্ত্রে আর প্রয়োজন থাকে না । বেদাধ্যয়নে মুক্তি নাই শাস্ত্র পাঠেও মুক্তি নাই কেবল জ্ঞানেই মুক্তি হয় । আশ্রম সকল মুক্তির কারণ নয় দর্শন শাস্ত্র সকল মুক্তির কারণ নয় জ্ঞানই মুক্তির একমাত্র কারণ, তদ্ভিন্ন ইহা অন্যরূপ কোন উপায়ে হয় না। অদ্বৈত জ্ঞানই মঙ্গলজনক, ইহাতে যাগ যজ্ঞাদি ক্রিয়ার কোন সংশ্লব নাই । সেই অদ্বৈত জ্ঞান গুরুমুখ হইতে গ্রহণ করিবে, ইহা