পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

_তত্ত্ববোধিনী পত্রিক_ १२ कन्न, १ छान সর্বদা এই ভাব উদয় হইতে লাগিল যে আমি কে ? আমার স্বরূপ কি ? এবং— শুনিতে পাই সকলে বলেন পূর্ণ পরব্রহ্ম গুরু আছেন—ৰ্তাহাকে ভজনা করিতে হয়; তাহার স্বরূপ কি ? আমি কি স্বরূপ হইয়। র্তার কি স্বরূপের ভাবনা এবং উপাসনা করিব ? তার উপাসনা করিলে কি হয় এবং না করিলেই বা কি श्य ? আমি এতদিন কোথা ছিলাম কোথা হইতে আসিয়াছি এবং কোথা যাইতে হইবে ? আমার কি করা কর্তব্য ? এবং র্যাহার গৃহে আমি শরীর ধারণ করিয়াছি সেই মাতা পিতা আমার এই শরীর (অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ইত্যাদি) নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন না অন্য কেহ নিৰ্ম্মাণ করিয়া झेल । দিলেন । ছেন ? কিম্বা আমি নিজে আপনার শরী- | রকে নিৰ্ম্মাণ করিয়া শরীর ধারণ করিয়াছি ? যদি আমি নিজে এই শরীর এবং ड्रेडिप्लग्नांদিকে রচনা করিয়া থাকিতাম তাহা হইলে আমার মনে থাকিত কিন্তু আমার তো মনে নাই যে আমি রচিয়াছি। যদ্যপি অামি এই সকল রচিতাম তাহা হইলে আমিই নষ্ট করিতে পারিতাম। তবে আমার ভ্রম হয় কেন ? তিনি এই ভাবিতে ভাবিতে যে মাতার উদরে শরীর ধারণ করিয়াছেন, সেই মাতা— যাহার নাম গঙ্গাদেবি—তাহার কাছে যাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন যে হে মাতঃ আপনি আমার এই শরীর ইন্দ্রিয়াদি নিৰ্ম্মাণ করিয়া উদরে ধারণ করিয়াছেন না অপর কেহ নিৰ্ম্মাণ করিয়া আপনার উদরে রাখিয় দিয়াছেন ? যদি অপর কেহ রাখিয়া থাকেন তবে সে ব্যক্তি কোথায় ? অামি আপনার নিকট অtমার মনের কোন কপটতা প্রযুক্ত জিজ্ঞাসা করিতেছি না । কেন যে আমার মনের ভাব এরূপ হইতেছে তাহা আমি বলিতে পারিতেছি না। কোন ব্যক্তি যে আমার করিয়াছ ? অন্তর হইতে এরূপ ভাব উদয় করাইয়াছেন, হে মাতঃ তাহ। আমি বলিতে পারিতেছি না । মাতা বিচার না করিয়া বলিলেন যে আমার কুলে এই বয়সে পাগল পুত্র জন্মাতখন র্তাহার নিকট র্তাহার মধ্যম পুত্র বসিয়াছিলেন । তাহার নাম লক্ষীনারায়ণ । তাহাকে মাতা বলিলেন যে,“হে পুত্ৰ তুমি তোমার পিতাকে বাহির হইতে ডাকিয়া আন। তিনি আসিয়া দেখুন যে র্তা হার পুত্রের কি দুর্দশা হইয়াছে। পিতার নাম ব্যাসদেব । তিনি বাটীতে আসিয়া কি হইয়াছে জিজ্ঞাসা করিলেন ও গঙ্গাদেবী তাহাকে সকল অবস্থা বলিয়া পিতা ব্যাসদেব ভাবিলেন যে, পুত্রের অবস্থা বড় ভালও দেখিতেছি না বড় মন্দ ও দেখিতেছি না”—এইরূপ ভাবিয়া তাহার পুত্র শিবনারায়ণকে ধমকাইয়া দুই এক চড় দিয়া বলিলেন যে, “এখন হইতে তুমি কি পাগলামি আরম্ভ এখন হইতে তোমাকে প্র ত্যহ পাঠশালায় পড়িতে যাইতে হইবে এবং ওঁ সৎ গুরু এই মন্ত্র জপ করিতে হ হইবে । ইবে এবং অগ্নিতে নিত্য অহিতি দিতে এবং প্রাতে ও সায়ং কালে উঠিয়া চন্দ্রমা এবং সূৰ্য্যনারায়ণ ঈশ্বর জ্যোতিঃস্বরূপের সম্মুখে সাষ্টাঙ্গ নমস্কার করিবে ও হাত জুড়িয়। নম্র ভাবে জ্যোতিঃস্বরূপের সম্মুখে বলিবে যে হে জ্যোতিঃ- , স্বরূপ গুরু মাতা পিতা আত্মা আমার সকল অজ্ঞানতা দুঃখ মোচন করিয়া জ্ঞান প্রদান করুন যাহাতে আমি সৰ্ব্বদা আত্মা পরমাত্মাতে অভেদ জ্ঞান করিয়া সদা পরমানন্দে থাকি। এই সকল কথা শিবনারায়ণ পিতার কাছে শুনিয়া পিতার আজ্ঞা পালন করিতে লাগিলেন । ওঁঙ্কার জপিতে এবং আহুতি দিতে ও জ্যোতিঃস্বরূপের সম্মুখে