পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిబి সকল ব্যাপার কেবল সামাজিক নিয়মের একটি চিতুমাত্র। যেমন এক একটী সাধু আপন আপন সমাজের এক একটা চিহ্ন রাখে যাহাতে জানা যায় যে এই সমাজের এই সাধু। কিন্তু যদি উপরের নানা সাজ ফেলিয়। স্বরূপতঃ স্কুল এবং সূক্ষ শরীরের প্রতি দৃষ্টি করা যায়, তাহ হইলে একই দাড়ায়।” এই সমস্ত বিষয় শিবনারায়ণ মনে মনে বুঝিয়া আপন অন্তরেতেই গোপন রাখিলেন কাহাকেও প্রকাশ করিলেন না, কেন না অবোধ ব্যক্তিদের নিকট বলিলে তাহারা না বুঝিয়া উপহাস করিবে এবং মনে মনে কষ্ট অনুভব করিবে । শিবনারায়ণ বিবেচনা করিয়া দেখিলেন যে, “এখন যজ্ঞোপবীত থাকুক না কেন, পরে দেখা যাইবে ; আসল সার যে পরমার্থ বিষয়ের কার্য্য তাহ করা যাউক । এই ভাবিয়া তিনি সদা সৰ্ব্বদা পরমার্থ বিষয়ক কার্য্য করিতে লাগিলেন, এবং যখন এদিক ওদিক কোন স্থানে শুনিতেন যে সে স্থানে এক মহাত্মা বা সন্ন্যাসী আসিয়াছেন তখন মনে মনে বিচার করিতেন যে “বড় মহাত্মা সন্ন্যাসী কাহাকে বলে, তাহার স্বরূপ কি ?” ষে স্থানে সাধু মহাত্মার কথা শুনিতেন সেই স্থানেই তিনি যাইয়৷ চুপ করিয়া বসিয়। দেখিতেন যে, “মহাত্মা সাধুটা কি, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যে সমস্ত সাধুদের দেখা যায় সে সকল ত গৃহস্থদেরও আছে। যদ্যপি শরীরের নাম বা ইন্দ্রিয়ের নাম সাধু মহাত্মা হয় তাহা হইলে সে সকলও গৃহস্থদের আছে ; তাহারাও কেন সাধু না হয় ? কিম্বা যদি হাড় মাংস রক্ত সাধু হয় তাহা হইলে তাহাও তো গৃহস্থদের মধ্যে আছে কিম্বা যদি বাক্য সাধু হয় তাহা হইলে গৃহস্থেরা ও তো বাক্য বলিতেছে। যদ্যপি বিভূতি তত্ত্ববোধিনী পত্রিক | | ३२ कछ, ७ डांत्र (অর্থাৎ ছাই) গায়ে মাখিলে সাধু হয় তাহা হইলে তো শূকর মহিষ সকল কত ছাই কাদা মাখিয়া থাকে, তাহা হইলে তো উহারাও সাধু সন্ন্যাসী হইতে পারে। কিম্বা যদি মস্তকে জটা থাকিলে সাধু হয় তাহা হইলে তো বট বৃক্ষের বড় বড় জটা বাড়িতেছে—সে ও তবে মহাত্মা সন্ন্যাসী । তবে যাহাকে যে বলে মহাত্মা সাধু তাহা কি লাল, কালো, পীত, না সাদা?” ইহার কিছুই স্থির করিতে না পারিয়া কোন এক সৰ্ব্বজ্ঞ মহাত্মা সাধুর নিকট চুপ করিয়া কেবল বসিয়া ভাবিতে লাগিলেন । যখন সকলে সাধুর নিকট হইতে আপন আপন বাটি চলিয়া যাইত তখন শিবনারায়ণ প্রীতিপূর্বক করযোড়ে সাধুকে জিজ্ঞাসা করিতেন যে, “হে মহাত্মা আপনি আমার প্রতি কৃপা করিয়া অামার মনের যে নানা প্রকার ভ্রম ও সংশয় উঠিতেছে তাহা আমাকে ভাল করিয়া বুঝাইয়া দিন। আপনাকে সকলেই সন্ন্যাসী মহা য়া বলে,কিন্তু কেন বলে এবং মহাত্মা কি বস্তু ?’ মহাত্মা ক্রোধ-প্রযুক্ত বালক শিবনারায়ণকে লাঠি লইয়া মারিতে উঠিলেন এবং গালি দিয়া ২১ চড় মারিয়া বলিলেন যে, তিন দিনের বালক গৃহস্থ হইয়া আমার সহিত ঠাট্টা করিতেছিস্ ? শিবনারায়ণ র্তাহাকে কত বুঝাইলেন তাহ শুনিয়া শিবনারায়ণকে ২১ কিল মারিয়া দূর দূর করিয়া তাড়াইয়া দিলেন এবং শিব নারায়ণের পিতার কাছে মহাত্মা যাইয়া বলিলেন যে আমাকে আপনার পুত্র শিব নারায়ণ বড়ই অন্যায় কথা বলিয়াছে । পিতাও শিবনারায়ণকে ২১ কিল মারিয়া বলিলেন, “তুমি এমন মহাত্মাকে অন্যায় কথা বলিয়াছ তুমি দূর হইয়া যাও তোমার মরণ ভাল । শিবনারায়ণ এইরূপ অবস্থা ।