পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয়ত অ Նsրծ Уw У о રજે, ■ পারে “সামান্য বিশ্বাসের বলে ;” মূলের সহিত সম্পর্ক ছাড়িয়া যাহার যাহা ইচ্ছা সে তাহা বলিতে পারে সুতরাং সেরূপ বলা'র কোন মূল্য নাই। যদি এরূপ হইত যে ‘সামান্য এই কথাটির উল্লেখ মাত্রেই অনুমান ছাড়া আর কিছুই বুঝাইতে পারে না, তবে বিপিন বাবুর স্বপক্ষে সেই যা এক বলিবার কথা ছিল ; কিন্তু বাস্তবিক তাহা তো অার নহে " মনে যে শাখায় উপবেশন সেই শাখার মুলোচ্ছেদন কর, প্রথমত আমি প্রদীপ দেখিতেছি, : তাহার সঙ্গে ইহা ও দেখিতেছি যে উভয়েরই সামান্য লক্ষণ ঔজ্জ্বল্য—র মশালেৰ বিশেষ লক্ষণ শ্বেতবর্ণের তালোক; এখানে অনুমান কোনখানটায় ? অামি ঘটি জানিতেছি – বাটি জানিতেছি —ইত্যাদি ; এবং তাহার সঙ্গে সামান্যত যে ‘আমি জানিতেছি ; অনুমান ইহার কোনখামটায় ? “আমি জানিতেছি? ইহা কি অনুমান—না সাক্ষাৎ জ্ঞান ? বিপিন বাবু এখানে বলিতে পারেন ঘে যেমন ধূমদৃন্টে বহ্নি অনুমিত হয়, তেমনি ‘আমি জানিতেছি? এই জ্ঞান দ্বারা অামার আপনার অস্তিত্ব অনুমিত হয় ; সাক্ষাৎ সম্বন্ধে উপলব্ধ হয় না । কিন্তু একথা যুক্তিতে স্থান পাইতে পারে না ; কারণ, ইহা ৪ জানিতেছি যখন অগ্নি দৃষ্ট হইতেছে না— শুদ্ধ কেবল । ধূমই দৃষ্ট হইতেছে, তখনই ধূম দৃষ্টে অগ্নির অনুমান সম্ভবে ; কিন্তু যখন ধূমের সঙ্গে অগ্নিও দৃষ্ট হইতেছে তখন অগ্নি ও প্রত্যক্ষে বিরাজমান, ধূমও প্রত্যক্ষ বিরাজমান, এবং দুএর যোগ ও প্রত্যক্ষে বিরাজমান । যখন আমি একটা ঘট দেখিতেছি, তখন ঘটপদার্থ আমার বাহিরে বর্তমান ঘটজ্ঞান আমার অন্ত: বৰ্ত্তমান; কিন্তু যখন আমি আপনাকে জানিতেছি তখন অহং { জ্ঞান তেছি—সাহাকে অনুমান দ্বারা উপলব্ধি মি রংমশাল দেখিতেছি এব” । বিষয় ও ত৷. পদার্থও আমার অন্তরে বর্তমান, অহংজ্ঞান ও আমার অন্তরে বর্তমান, এবং দুয়ের মধ্যবৰ্ত্তা অভেদ-সম্বন্ধ ও অামার তান্তরে বর্তমান । বিষয়-জন্তানের বেলায় – জ্ঞানের বিষয় এবং জ্ঞান এ দুএর মধ্যে প্রভেদ দেখিতে পাওয়া যায়, কিন্তু আত্ম-জ্ঞানের বেলা জ্ঞানের বিসয় (আমি) এবং জ্ঞান (আমি জানিতেছি) এর মধ্যে কিছুমাত্র প্রভেদ দেখিতে । ওয়৷ ঘ - না । অন্ত্রিাক্তানের ও য', তিনিই এক । এই জন্য তাত্মি জ্ঞানের বেলায় এ কথা শোভা পায় না। মে, তামি জ্ঞানকেই সাক্ষাৎ উপলব্ধি কর の一 করিতেছি ; কেন না এখানে জ্ঞান ও যী— আহ্বা ও সাক্ষাৎ উপলব্ধি করিলে দুইকেই সাক্ষাৎ উপলব্ধি করা হয় । অতএব ‘আমি জানিতেছি ইহা অাত্মার অস্তিত্বের আনুমানিক ত—একই,—সুতরাং এককে প্রমাণ নহে, কিন্তু সাক্ষাৎ প্রমাণ | এরূপ সাক্ষাৎ প্রমাণের উপর বিপিন বাবুর কেন যে এত বিরাগ, তা হা বুঝিতে পারি না । বিপিন বাবু বলেন যে “ এখন ও শ্রদ্ধেয় দ্বিজেন্দ্র বাবু ‘আমি জানি’ এই কি প্রমাণের উপর নির্ভর করিতে চাহেন ৷ ” বিপিন বাবুকে জিজ্ঞাসা করি —তিনি কি তামোদিগকে “আমি জানি ন৷” এই প্রমাণের উপর নির্ভর করিতে বলেন ? মনে কর একজন আসিয়া বলিলেন “বিন্ধ্যগিরিতে একটা আশ্চর্য্য দেবালয় আছে” ও তাহার প্রমাণ তিনি এই দিলেন যে তিনি নিজেও তাহা দেখেন নাই এবং আর কেহও তাহা দেখে নাই । বিপিন বাবু কি ইহার এই প্রমাণের উপর নির্ভর করিতে পারেন ? “আমি জানি’ এভিন্ন প্রিল – সত্যের প্রমাণ আর যে রুি