পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છે8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিক_ १२ कक्ल; ७ छोण” নিজ নিজ কাৰ্য্যকলাপ নিয়মিত করিতে পারে, আপনার চেষ্টা উদ্যম ও সাধনার গুণে দেবপদবীতে আরোহণ করিতে পারে, আবার নিশ্চেষ্টতা ও নিরুদ্যমের দোষে দুষ্প্রবৃত্তির দুৰ্দ্দম্য তেজ সহ করিতে না পারিয়া পৃথিবীতে পাপের স্রোত বহমান করিতে পারে। একদিকে ঈশ্বরের আদেশ, র্তাহারই নির্দিষ্ট নিয়মাবলী, অন্যদিকে ভৌতিক বা ইতর প্রাণী জগতের একমাত্র । ঐ সকল নিয়মেরই অধীনতা । ইহার মধ্যে স্বাতন্ত্রের ভাব নাই । কিন্তু মনুষ্যের পক্ষে সেরূপ নহে। যদিও ঈশ্বর সুনিৰ্ম্মল। শান্তির নিমিত্ত ধৰ্ম্মের প্রবর্তক, যদিও তিনি পুণ্যের সমান পুরস্কার, পাপের সমান দণ্ড বিধান করিতেছেন, যদিও তিনি পাপীকে নরক-যন্ত্রণায় বিদগ্ধ করিয়া পরিশেষে তাহাকে আপনার উদার ও পবিত্র ক্রোড়ে আহবান করিতেছেন, পুণ্যাত্মাকে সংসারাতপের বহির্দেশে—অপার শান্তিসলিলে নিমজ্জিত করিয়া রাখিতেছেন, তথাপি তিনি বাধ্য করিয়া কাহাকেও কোন সময়ে সৎকৰ্ম্মে প্রবৃত্ত করেন না, বা পাপের কুটিল হ্রদে নিক্ষিপ্ত করেন না । তিনি চান, র্তাহার স্বষ্টির ভূষণ প্রত্যেক নরনারী স্বীয় ইচ্ছা প্রণোদিত হইয়। তাহার পদতলে শ্রদ্ধাভক্তি প্রীতি পবিত্রতার বিমল কুস্তম । বিক্ষিপ্ত করে, তাহার পূজাৰ্চনা করে, । র্তাহার প্রিয়কাৰ্য্য সাধন করে । ঈশ্বর র্তাহাকে প্রীতি করা, তাচাকে ধ্যান ধারণা করা ও র্তাহার প্রিয় কার্য্য সাধন করাই মনুষ্যের প্রকৃতি করিয়া দিয়াছেন, তাহার বিকৃতিতে অনুতাপ ও অশান্তির নিদারুণ যন্ত্রণ মনুষ্যকে বুঝিতে দিবার অবসর দিয়াছেন, কার্য্যাকাৰ্য্য অনুষ্ঠান মন্তয্যের ইচ্ছার অনুগত করিয়া দিয়াছেন । অমিত.তেজ রাজা শক্রকে পরাভবান্তে নিজ রাজ ধানীতে আনয়ন করিয়া যেমন তাহাকে । চক্ষের সম্মুখে রক্ষা করেন, আপনার বিশ্বস্ত অনুচরে তাহাকে পরিবেষ্টিত করিয়া রাখেন, সামান্য বন্দীর ন্যায় তাহাকে নিগড়বদ্ধ না করিয়াও তাহার প্রতি সদয় ব্যবহার করেন, ভোজন ভ্রমণ বিলাস বা তৃপ্তিসাধনে স্বাধীনতা দেন, তবে বন্দীর সে-স্বাধীনতা ও মনুষ্যের স্বাভাবিক স্বাধীনতায় বড় অধিক ইতর বিশেষ লক্ষিত হয় না । মনুষ্যকে ধৰ্ম্মভূষণে অলঙ্কত করিয়া, সুদৃঢ় কর্তব্য জ্ঞানে দীপ্তিমান করিয়া এবং আপনার চক্ষের সম্মুখে রাখিয়া তবে তিনি তাহাকে স্বাধীনতা দিয়াছেন । তিনি চান যে র্তাহার প্রত্যেক পুত্র কন্যা সংসারের মোহ আবরণ ভেদ করিয়া তাহার সত্যসুন্দর মঙ্গলমূৰ্ত্তি দর্শন করে, আত্মার অভ্যন্তরে হৃদয়ের অধিষ্ঠাত্রী দেবতাকে দেখিয়া তাহাকে শ্রদ্ধা ভক্তি অপণ করে । তাহাকে জানিবার তাহাকে পুজাৰ্চনা করিবার অধিকার আর কাহারও নাই, এই উচ্চ অধিকার কেবল মনুষ্যেরই আছে, ইহাই মনুষ্যের মনুষ্যত্ব, তাহার শ্রেষ্ঠত্ব । ইহারই জন্য মনুষ্য স্বষ্টির ভূষণ, এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ঈশ্বর তাহাকে স্বাধীন ভাবে, নিজ নিজ বলবুদ্ধির উপর নির্ভর করিয়া তাহাকে সংসারে বিচরণ করিতে দিলেন । অন্তরালে থাকিয় তাহার কাৰ্য্যকলাপ সন্দর্শন করিতে লাগিলেন, অবসর ক্রমে আত্মায় শান্তিবারি সেচন করিতে লাগিলেন, অনুতাপের তুষানলে পাপ তাপকে ভক্ষ্মীভূত করিতে থাকিলেন । মনুষ্যের পক্ষে ইহা অপেক্ষা ঈশ্বরের মঙ্গলভাবের পরিচয় আর অধিক কি হইতে পারে । মনুষ্য যখন স্বাধীন ভাবে সংসারে বিচরণ করে, তখন “শ্রেয়শ্চ প্রেয়শ্চ