পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ולשל זקfזהס মন্বয্যের স্বাধীনতা । ఫి& SSAAAS S S C CCTT MMS MAAAA মনুষ্যমেতঃ” শ্রেয় ও প্রেয় আসিয়া তাহার সম্মুখে উপস্থিত হয়। উভয়েই আপনার দিকে মনুষ্যকে আকর্ষণ করিতে থাকে। মনুষ্য কোন পথের পথিক হইবেন, শ্রেয় অপেক্ষ প্রেয় বা অকল্যাণ সামান্যত মনুষ্যের পক্ষে আপাতমধুর । মনুষ্য নিজে দুর্বল, তাহার ভবিষ্যৎদৃষ্টি প্রখর নহে, ভবিষ্যৎনিহিত শান্তিকল্যাণের জন্য স্থির ভাবে অপেক্ষা করা সাধারণ মনুষ্যের অদৃষ্টে ঘটে না। পাপের আপাতমধুরতা অন্যদিকে পুণ্যের পরিণামমধুরতা ও স্বৰ্গীয় সুষমা । যত্ন । চেষ্টা বলে চিত্তের দৃঢ়তা সম্পাদিত না । হইলে কার সাধ্য মনুষ্যকে পুণ্যপথে ধরিয়া রাখিতে পারে। চিত্তের দৃঢ়তা সম্পাদন কঠোর সাধন সাপেক্ষ, ইহাতে । এক দিকে মনুষ্যের সাধনা চাই, অপর- । চিত্তস্থৈৰ্য্য চিরকালই পরিলক্ষিত হইবে। কিন্তু ইহাই এ প্রশ্নের সদুত্তর নহে। অপূর্ণ এই দুইটি ফলত একই কথা । মনুষ্য অপূর্ণ বা দুর্বল কেন ? ইহার উত্তরে কেহ কেহ বলেন, যে দুর্বল বা অপূর্ণজীব দিকে দেবপ্রসাদ চাই । শিক্ষা সময়ে স্বগীয় আত্মপ্রসাদ হৃদয়ে আবিভূত না হইলে, এ শিক্ষা মনুষ্যের অসাধ্য হইয়া পড়িত। নিকৃষ্ট ইন্দ্রিয়ের ঘোর আবর্তনে পতিত হইয়া সকলকেই বিনাশের পর বিনাশ প্রাপ্ত হইতে হইত। কেহই তাহাকে রক্ষা করিতে পারিত না । পাপ পুণ্য এই দুই কথার মধ্যে অনেক অর্থ প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে। পাপের অর্থ অাত্বার অশান্তি জড়তা বা অবনতি, অসৎ কার্য্যের অনুষ্ঠান এবং উহা হইতে পারিবারিক বা সাধারণের অমঙ্গল । পুণ্যের অর্থ আত্মার সুখ ও উন্নতি, সৎকার্য্যের অনুষ্ঠান ও তাহা হইতে সাধারণের মঙ্গল । পাপে নিকৃষ্ট ইন্দ্রিয়সুখের চরিতার্থতা, পুণ্যে আন্তরিক সাধু ভাবের স্ফ রণ ও সংপ্রবৃত্তি নিচয়ের অব্যাহত ভাবে চরি শেষ সীমায় আনয়ন করেন। কোন মীমাংসা নাই । মনুষ্য কোন দিকে যাইবেন, একদিকে । তাৰ্থত । পুণ্যে মনুষ্যের মনুষ্যত্ব, পাপে মনুষ্যের পশুত্ব । এক্ষণে জিজ্ঞাস্য হইতে পারে যে মঙ্গলময় পরমেশ্বর মনুষ্যকে ধৰ্ম্মপ্রবণ করিয়া স্বষ্টি করিয়াও কেন তাহাকে অসৎ প্রবৃত্তির দ্বারা নীয়মান হইতে দেন, পাপামুষ্ঠানে সাধারণের অমঙ্গল কেন সংঘটিত হইতে দেন, কেন বা তাহাকে দুৰ্গতির s ইহার কি ইহাতে র্তাহার মঙ্গলস্বরূপ কিরূপে রক্ষিত হইতে পারে ? কেমন করিয়াই বা আমরা তাহাকে পূর্ণমঙ্গলময় পিতা বলিতে পারি ? নাস্তিকগণ যে সকল তর্কতরঙ্গ লইয়া ক্ষেত্রে উপস্থিত হন, এই প্রশ্ন তাহার অন্যতম। এই প্রশ্নের উত্তরে কেহ বলেন যে মনুষ্য অপূর্ণ জীব, অপূর্ণ জীবের অপূর্ণত। চিরকালই থাকিবে, তাহার কার্য্যে ক্রটি মনুষ্য দুর্বল ও ভিন্ন কিছুই স্বস্ট হইতে পারে না। তিনিই একমাত্র পূর্ণ, তাহার স্বস্টপদার্থগুলি অল্প ব৷ অধিক পরিমাণে অপূর্ণ, ফলত তিনি যে কি উদ্দেশ্যে কাহাকে স্বষ্টি করিয়াছেন তাহ। তিনিই বলিতে পারেন, তাহার স্বষ্টির মৰ্ম্মভেদ করা অামারদের ক্ষুদ্রশক্তির সাধ্য নহে । আমারদের অন্তরে সৎ ও অসৎ উভয় প্রবৃত্তিই বৰ্ত্তমান, অামারদের ইচ্ছাও স্বাধীন । মনুষ্যের সৎ ও অসৎ কাৰ্য্য এই স্বাধীন ইচ্ছা প্রসূত। যখন এই স্বাধীনতা ঈশ্বরের অধীনতার ছায়ায় থাকে তখন ইহা নিরবচ্ছিন্ন কল্যাণ উদগীরণ করে । ফলত ঈশ্বরের অধীনততে