পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चर्चिनः s४ s s প্রকৃতির পরিচায়ক লক্ষণ জীবই করে—বৃক্ষ সে রসে বঞ্চিত ; বৃক্ষেরও প্রাণ অাছে—জীবেরও প্রাণ আছে, কিন্তু প্রাণের প্রতি আসক্তি (অর্থাৎ প্রাণের প্রতি মনের টান) জীবেরই আছে— বৃক্ষের নাই। শুধু কেবল প্রাণ থাকিলেই জীব হয় না—বৃক্ষেরও প্রাণ অাছে ; জীব হইতে গেলে—প্রাণ এবং প্রাণে প্রতি টান—দুইই পরস্পরের সাহত মাখামাখি ভাবে বর্তমান থাকা চাই ; কেননা, জীবের জীবত্ব = প্রাণ × প্রাণের প্রতি টান। দৃশ্যমান বিষয়ের সহিত দর্শন ক্রিয়া— ভোজ্যমান অন্নের সহিত ক্ষুন্নিবৃত্তির পরিতোম—ক্রিয়মান কার্য্যের সহিত यहूडिब সুখ অথবা শ্রমের কষ্ট, এক কথায়— বৈষয়িক (objective) ব্যাপারের সহিত অণশয়িক (subjective) ব্যাপার, যাহা যখন লাগিয়। থাকিতে দেখা যায়, তাহ কেবল জীবরাজ্যেই দেখা যায়—উদ্ভিদ-রাজ্যে নহে । অাশয়িক ব্যাপার-গুলি কোনো প্রকার ভৌতিক ব্যাপার নহে—কোনো প্রকার গতি নহে, স্পন্দন বা কম্পন বা নড়ন-চড়ন নহে ; নড়ন-চড়ন বা কম্পন বৃক্ষের পরমাণুগণের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে আছে –কিন্তু ক্ষুৎপিপাসা-প্রভৃতি আশ- , য়িক ব্যাপার-গুলি জীব-রাজ্য ভিন্ন আর কোনো রাজ্যেই দেখিতে পাওয়া যায় না। কোনো ব্যক্তি যখন আনন্দে নৃত্য করে, তখন শুদ্ধ কেবল নৃত্যের সম্বন্ধেই বলিতে পার যে, তাহা এক প্রকার গতি-ব্যাপার— তাহা দৈহিক অঙ্গ-চালনা ; কিন্তু আনন্দটির সম্বন্ধে ওরূপ কথা বলিতে পার না ;– এমন বলিতে পার না যে, আনন্দ একপ্রকার শারীরিক অঙ্গ-চালনা । আনন্দ যদি নৃত্যের ন্যায় অঙ্গ-চালনা হইত, তবে নৃত্যের যেমন তাল আছে আনন্দেরও তে । কত ; তাহ হইলে—আমরা মনি তাল থ যেমন বলি “অমুক তালের নৃত্য,” তেমনি আমরা বলিতাম “অমুক তালের আনন্দ !” কাব্যের অলঙ্কার প্রসঙ্গে কেহ যদি বলে যে, “চৌতাল আনন্দ” বা “আড়াঠেক আনন্দ” তবে সে কথ। স্বতন্ত্র ; লোকে বলে “কি মিষ্ট কণ্ঠস্বর” কিন্তু তাহ বলিয়া কণ্ঠ-স্বর সত্য সত্যই কিছু আর চিনি বা গুড় বা মধু ইত্য.কার সামগ্রী-সকলের দল-ভুক্ত নহে । নৃত্যকেওঁ আনন্দ বলিতে পারা যায় না, চাক্ষুষ-স্নায়ুর নৃত্যকেও দর্শন-ক্রিয়া বলিতে পারা যায় না। আনন্দ এক ব্যাপার,—আনন্দের নৃত্য আরএক ব্যাপার ; দর্শন এক ব্যাপার— দর্শন-কালীন স্নায়ু-নৃত্য আর-এক ব্যাপার ; একটি—মানসিক ব্যাপার, আর-একটি— ভে ব্যাপার। উপরি-উক্ত স্থলে এরূপ কথা বলিতে পার যে, ভৌতিক ব্যাপার এবং মানসিক ব্যাপার দোহে দোহার সহিত মাখামাখি ভাবে অবস্থিতি করিতেছে ; কিন্তু এরূপ কথা বলিতে পার না যে, ও-দুই ব্যাপার একই ব্যাপার । ফলে, ও দুয়ের—মাখামাখি ভাবে অবস্থিলি কারবারই কথা ; কেন না, প্রকৃতি সৰ্ব্বত্রই নাচের সোপান মাড়াইয়া—নীচের সোপানের সহিত যোগ রক্ষা করিয়া—উপরের সোপানে পদ নিক্ষেপ করে ; পৰ্ব্বতের উপত্যক হইতে এক লম্বে পর্বতের চড়ায় খান করে না ;—গায়ক গম্ভীর খাদের স্বর হইতে এক লম্ফে তীব্র জিলের স্বরে উত্থান করে না । প্রকৃতির সমস্ত ব্যাপারই যোগের ব্যাপার । আমরা যদি কিঞ্চিম্মাত্র প্রণিধান করিয়া দেখি, তবে ভৌতিক রাজ্য হইতে মানসিক রাজ্য পর্য্যন্ত স্পষ্ট একটি উন্নতির সোপন ধারাবাহিক ক্ৰম-পরম্পরায় প্রসারিত দেখিতে পাই । প্রথম সোপান-পংক্তি;—ভৌতিক ' তক