পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৩৭

s२ कल्ल, ७ छण ఏbr তত্ত্ববোধিনী পত্রিক .** -. م. -اس-اشته است. مت রাজ্যে শুধু কেবল বিকর্ষণ এবং আকর্ষণ ইচ্ছা করেন। ইহঁার জগতের --= = S AGSMS S SMMMS SSS SSS SSAAAS " . --ബജ= -l. -- _ _ - همه فه মূল-কারণকে এই দুই শক্তির কার্য্যই আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়; অাকর্ষণ-বিকর্ষণের একটির অভাবে আর একটি চলে না—অথচ দুয়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা বর্তমান রহিয়াছে; কা জেই বলিতে হয় যে, সে প্রতিদ্বন্দিতা ৷ প্রকৃত-পক্ষে প্রতিদ্বন্দিতা নহে—তাহা এক প্রকার প্রেমের কলহ; কেন না, আকর্ষণও ভৌতিক করিয়া গড়িয়া তুলিতে কিছু মাত্র সঙ্কুচিত হন না অথচ ইহঁারাই আবার এই বলিয়া শ্লাঘ। করেন যে, “আমরা ঈশ্বরকে মনুষ্যের মতো করিয়া গড়িয়া তুলিতে লজ্জা-বোধ করি!” ঈশ্বরকে ইহঁারা মনুষ্যের মতো করিয়া গড়িয়া তুলিতেই লজ্জা বোধ করেন কিন্তু মৃত্তিকার মতো বিকর্ষণকে চায় এবং বিকর্ষণও আকর্ষ- , গড়িয়া তুলিতে ঘুণাক্ষরে ও লজ্জা বোধ ণকে চায়। যদি একটি জড় পিণ্ড হইতে বিকর্ষণ সমূলে উন্মলিত হয়, তবে সে জড়-পিণ্ড নিতান্তই একটি নিরবয়ব জ্যামিতিক বিন্দুতে পর্য্যবসিত হয়—কাজেই বিকর্ষণ, উন্মলিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে অাকর্ষণও ਚੋਸ਼ਿੱਚ হইয়া যায় ; আবার যদি কোন একটি জড় পিণ্ড হইতে আকর্যণ সমূলে উন্মলিত হয়—তবে তাহার পরমাণু-সকল বহুধা—অসংখ্যধা—বিচ্ছিন্ন করেন না ! হইয়া শূন্য তাকাশ মাত্রে পর্য্যবসিত হয়, , কাজেই, তাকর্ষণ উন্মলিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে বিকর্ষণ ও উন্মলিত হইয়া যায়— । কেননা শূন্যকে শূন্য বিকর্ষণ করিতে পারে না । এইরূপ দেখা যাইতেছে যে অাকর্ষণ এবং বিকর্ষণ উভয়ই পরস্পরকে চায়—একটির বিহনে আর-একটি বঁাচে না, এইজনা রূপকচ্ছলে বলা যাইতে পারে যে, দুয়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিত। যাহা দৃষ্টিগোচর হয় তাহা এক প্রকার প্রেমের কলহ। প্রাণ-শূন্য ভৌতিক বস্তু, যাহা শুদ্ধ কেবল আকর্ষণ-বিকর্ষণ-শক্তির ক্রীড়া ক্ষেত্র, তাহা প্রকৃতির কার্য্য-সোপানের সবে-মাত্র প্রথম পংক্তি ; এই প্রথম পংক্তিটিকে স্থলাভিষিক্ত করিতে ইচ্ছা করেন ; তাহান্তে ও সন্তুষ্ট না থাকিয় কেহ বা সেই প্রথম করিয়া অথবা অন্ধ শক্তির মতো করিয়া এ কথাটি ইহঁারা একেবারেই বিস্মৃত যে, ভৌতিক বস্তু প্রকৃতির প্রথম সোপান—মনুষ্য প্রকৃতির চতুর্থ সোপান ; এই চতুর্থ-সোপানে এমন অনেক-গুলি ব্যাপার আছে যাহা প্রথম সোপানের ধ্যানের ও অগোচর । অাকর্ষণবিকর্ষণের উপর সন্ততি-বাহিনী এবং সঙ্গতি পন্থিনী শক্তি—তাহার উপর সংস্কারশক্তি এবং বিষয়-গ্রহণী শক্তি—তাহার উপর সংযম শক্তি এবং প্রবৃত্তি-অনুশীলনী শক্তি—এতগুলি শক্তিকে চতুর্থ-সোপানে কাৰ্য্য করিতে দেখা যায় ; কাজেই প্রথম সোপান অপেক্ষ। চতুর্থ-সোপান সত্তা-ধনে চতুগুণ ধনী । এই জন্য, যদিচ আমরা বলি যে, জড়ীকরণ এবং মানবীকরণ দুইই দূষণীয় তথাপি জড়াকরণ অপেক্ষ মানবীকরণকে আমরা সমগ্ৰ সত্যের চতুগুণ নিকটবৰ্ত্তী মনে করি—জড়ত্ব অপেক্ষা মনুষ্যত্বকে আমরা চতুগুণ সারবান বস্তু মনে করি। কিন্তু হাজার হো’কৃ—মনুষ্যও খণ্ড সত্য,পরব্রহ্ম অনন্ত সত্য,—কাজেই দুয়ের মধ্যে ছায়াতপের প্রভেদ । অনেকে মূল প্রকৃতির—সমগ্র প্রকৃতির— ! | | “ছায়াতপের প্রভেদ”—এই কথাটির সহজ অর্থ উল্টা ইয়া দিয়া অনেকে তাহার পরিবর্তে একটা কিন্তুত কিমাকার স্বষ্টি-ছাড়া অর্থের পংক্তিটিকে স্বয়ং ঈশ্বরের স্থলাভিষিক্ত করিতে | অবতারণা করেন ;—ইহঁারা বলেন যে,