পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অখিলv : د وینه প্রকৃতির পরিচায়ক লক্ষণ ১০১ S S S S S S S S S AAAAAS S বস্তু সকলকে ভিতরে লইয়া গিয়াই ক্ষান্ত থাকে না, কিন্তু বিশেষ-বিশেষ অঙ্গ প্রত্যঙ্গে বিশেষ বিশেষ দ্রব্য বিশেষ- | - i | বিশেষ পরিমাণে বণ্টন করিয়া দেয় ; তা । উদ্ভিদ রাজ্যে—রাসায়নিক আকর্ষণ-বিকর্ষণ শুধু নয়—যে অঙ্গ যে দ্রব্য প্রাপ্ত হয়, সে অঙ্গ সে দ্রব্যকে আপনার মতো করিয়া গড়িয়া লয়—সে দ্রব্যের আকার-পরিবর্তন করিয়া বা গুণ-পরিবর্তন করিয়া বা বর্ণ পরিবর্তন করিয়া আপনার প্রকৃতির উপযোগী করিয়া গড়িয়া লয় ! রটি শুদ্ধ কেবল রাসায়নিক ব্যাপার নহে —কেননা রাসায়নিক ব্যাপার-সকল ক্রমণগতই বাধা নিয়মে চলে ; বিশুদ্ধ রাসায়নিক ব্যাপার এক প্রদেশে একরূপ— অন্য প্রদেশে অন্যরূপ—হইতে পারে না । দহিকতা-গুণ ইংলণ্ডের অন্নজন বায়ুতেও যেমন—এদেশের অন্নজন বায়ুতেও তেমনি —কোথাও তাহার ইতর-বিশেষ হয় না ; কিন্তু জীবরাজ্যে শরীর-ভেদে একই বস্তুর গুণ-ভেদ প্রচুর পরিমাণে দেখিতে পাওয়া যায় । মৎস্যাদির শোণিত শীতল—পশ্বাদির শোণিত উষ্ণ, অথচ উভয়ই শো ণিত ; এমন কি—ভৌতিক হিসাবে মনুন্যের এবং নিকৃষ্ট জীবের রেতের মধ্যে তিল-মাত্রও প্রভেদ দেখিতে পাওয়া যায় না, কিন্তু জৈবিক হিসাবে উভয়ের মধ্যে আকাশ-পাতাল প্রভেদ । জৈবিক ব্যাপার যদি শুদ্ধ কেবল রাসায়নিক ব্যাপার হইত, তবে সকল জীবেরই রেত সর্বত্রই একই প্রকার জীব উৎপাদন করিত—কেননা রেতের ভৌতিক উপাদান সর্বত্রই একই প্রকার । পুনশ্চ, রাসায়নিক রাজ্যে আয়জন সৰ্ব্বকালেই অন্নজন ; কিন্তু জীব-রাজ্যে বিষ সৰ্ব্বকালেই বিষ নহে ; অভ্যাস-গুণে বিষও অনেক সময়ে নিৰ্ব্বিষ হইয়া পড়ে। অত এই ব্যাপা- ৷ - ==--ജ്ജമ്മ-l.-- এব কি উদ্ভিদরাজ্য—কি জীব-রাজ্য—যাহারই মধ্যে যতকিছু প্রাণের ব্যাপার দেখা যায় তাহা শুদ্ধ কেবল রাসায়নিক অাকর্ষণ বিকর্ষণের ব্যাপার নহে ; জীবরাজ্যে এবং শক্তি আর এক উচ্চতর শক্তির অধীনে নিয়মিন হয়, কি ? না জীবনী শক্তি ; আর, সন্ততি-প্রবৰ্ত্তিনা শক্তি এবং সঙ্গতিপস্থিনী শক্তি যাহা কৈন্দ্রিক এবং পারিধ শক্তি বলিয়া ইতিপূর্ব আমরা উল্লেখ করিয়াছি তাহা জীবনী-শক্তিরই দুইটি অবিচ্ছেদ্য অবয়ব । . প্রসঙ্গাধীন আমরা এই একটি কথা বলিতে চাই যে, বিজ্ঞানের আলোচনা কালে মন-হইতে দুইরূপ পক্ষপাতের ভাব উঠাইয়া দেওয়া আবশ্যক ;—(১) “কিছুই মানিব ন৷” এই একরূপ পক্ষপাত ; (২) “সবই মানিব” এই আর একরূপ পক্ষ পাত। এ উপলক্ষে আমরা অধিক বাক্যবাহুল্য শ্রেয় বোধ করি না—সঁাটে সোটে দুই একটি কথা বলিয়াই আমরা ক্ষান্ত হইব—কেননা আমাদের গন্তব্য পথ এখনো ঢের বাকি । নেই-মানতা'র উদাহরণ ;– জীবনীশক্তি মূলেই নাই--জীবের সমস্ত ব্যাপারই আকর্ষণ-বিকর্ষণ দ্বারা সমর্থিত হইতে পারে । সৰ্ব-মান্তা’র উদাহরণ ;–পরিপাক শক্তির অধিষ্ঠাত্রী দেবতা অগ্নি-দক্ষিণ চক্ষুর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা সূৰ্য্য—বাম চক্ষুর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা চন্দ্র, ইত্যাদি । এই দুই ভাব—নেই মানত ভাব এবং সৰ্বমানত ভাব—দুইই সমান পরিবর্জনীয়। সৰ্ব মানত ভাবের দোষের প্রতি নব্যসম্প্রদায়ের চক্ষু যে পরিমাণে বিস্ফারিত— নেই-মান্ত ভাবের দোষের প্রতি তাহা ।