পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অখিল ১৮১১ বেদান্ত মত । $ృo\రి ــنــاسـتحـــنــےـے যে, তাহার এক-পক্ষে জীবনী-শক্তি এবং আর এক পক্ষে ভৌতিক এবং রাসায়নিক । শক্তি—এই দুই শক্তিই এখানকার যোদ্ধপক্ষ । যেখানকার ভৌতিক এবং রাসায়নিক ভাব-গতি যেরূপ—সেখানকার উদ্ভি


I w দের জীবনী-শক্তি সেইরূপ দেশ-কাল । অবস্থোচিত নিয়মে নিয়মিত হয় । এক দেশের উদ্ভিদ যদি ঘটনা-ক্রমে নিতান্তই ভিন্ন দেশে নিপতিত হয়, তবে কাল-ক্রমে সেই উদ্ভিদটির কিয়ৎ পরিমাণে জাত্যন্তর ঘটনা অনিবাৰ্য্য হইয় উঠে। জীবনী-শক্তি ! পারৎ-পক্ষে উদ্ভিদের বা জীবের সাজাত্য । রক্ষা করিতে চেষ্টাব ক্রটি করে না ; কিন্তু । হইলে হইবে কি—জগৎ ক্রমাগতই পরি- ; বন্তিত হইতেছে ; সাজাত্যকে অপরিবর্তিত । এবং অবিচলিত ভাবে একই স্থানে বধিয়া রাখা জীবের সাধ্যায়ত্তও নহে প্রার্থনীয়ও ৷ নহে ; বদ্ধ-বায়ু, বদ্ধ-জল, এবং নবোদ্যমশূন্যতা জীবনের নিতান্তই শক্রপক্ষ । প্রতিদ্বন্দিতার উপরেই সমস্ত জগৎ দণ্ডায়মান – প্রতিদ্বন্দিতাই জগতের প্রাণ । প্রতিদ্বন্দিতাই জীবনের উৎস । শৈত্য উত্তাপের প্রতিদ্বন্দিতা না থাকিলে বায়ুর চলাচলি বন্ধ হইয়। গিয়া জীবের শ্বাসরোধ হইত ;—রাত্ৰি-দিনের প্রতিদ্বন্দিতা না থাকিলে পৃথিবীতে শৈত্য ঔষ্ণ্যের প্রতিদ্বন্দিত। অনেক পরিমাণে লোপ পাইত ;–সেীর আকর্ষণ-বিকর্ষণের প্রতি- ; দ্বন্দিতা না থাকিলে রাত্ৰি-দিনের প্রতি- { দ্বন্দিত থাকিতে পারিত না ; – এইরূপ, গোড়। হইতে শেষ পর্য্যন্ত প্রতিদ্বন্দি তার তরঙ্গ নৃত্য করিতে করিতে চলিয়ছে— এবং তাহারই উপরে সমস্ত জগতের জীবন প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে। অতএব যদি জিজ্ঞাসা কর যে, জীবন কি ? তবে তাহার উত্তর এই যে, ভৌতিক শক্তির সহিত =ബ് -- - निद्रखव्र बन्नबूएक ऊँौदनैौ भङिद्र बिब्रखब्र জয় প্রাপ্তিই জীবন শব্দের বাচ্য—এবং ঐ সংগ্রামে জীবনী-শক্তির পরাজয়-প্রাপ্তিই মরণ-শব্দের বাচ্য । অপ্রাণ ভৌতিক জ গতে আকর্ষণ-বিকর্ষণের প্রতিদ্বন্দিতা— সপ্রাণ ঔদ্ভিদ জগতে সন্ততি-রক্ষিণী এবং সঙ্গতি-রক্ষিণী শক্তির প্রতিদ্বন্দিতা—আগ । গোড়া প্রতিদ্বন্দিতা ; অতঃপর, প্রকৃতি— চেতন-জগতে কিরূপ প্রতিদ্বন্দিতা লইয়া বভিয়া রহিয়াছে তাহার প্রতি প্রণিধান করা যাইবে । — ঐদ্বি] - ক্রমশঃ । বেদান্তের মত | যে ব্যক্তি অনিত্য যাগ যজ্ঞাদি সাধন ত্যাগ করিয়াছে, যে ঐহিক ও পারত্রিক সকল প্রকার ভোগ্য বস্তুতে বিরক্ত হইয়াছে, যাহার বাহ্য ইন্দ্রিয় নিগৃহীত এবং অন্তঃকরণ অনাত্ম বহির্বিষয় হইতে ব্যাবৃত্ত, যে দয়াবান ও শুদ্ধস্বভাব, যে জাতি চরিত্র বিদ্যা ও আভিজাত্যে পরীক্ষিত, যাহার পুত্র ও বিন্তৈষণা নাই, এইরূপ ও অন্যান্য রূপ গুণসম্পন্ন শিষ্য বিধিবৎ উপস্থিত হইলে গুরু তাহাকে মোক্ষসাধন জ্ঞান উপদেশ করিবেন। যাবৎ বিশেষ রূপ ধারণা না হয় তাবৎ পুনঃ পুনঃ বুঝাইয়। দিবেন। যদি শিষ্যকে কোনও রূপ বাহ্য চিহ্লে ধাবণায় অসক্ত বোধ হয় তবে তাহার হেতু নিরাসে যত্ন করিবেন । প্রথমত শিষ্যের কোন ও রূপ সঞ্চিত অধৰ্ম্ম যদি কিছু থাকে যাহাতে তাহ দূর হয় তদ্বিষয়ে দৃষ্টি রাখা আবশ্যক। পরে লৌকিক প্রমাদ অর্থাৎ ত্যজ্য ও অত্যজ্য বিষয়ে বুদ্ধিভ্রম যাহাতে নষ্ট হয় তদ্বিষয়ে দৃষ্টি রাখা অবশ্যক। পরে যুক্তিবিশেষ দ্বারা নিত্যানিত্য বস্তু বিবেক যাহাতে সুদৃঢ় হয়