পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

_ so-o: चांचेिब sw > > কথায় যদি শিষ্য এইরূপ বলে, ভগবন আমি কিরূপে মিথ্যা কহিলাম । তখন আচার্ষ্য কহিবেন, সৌম্য, এইমাত্র তুমি | কহিলে আমি ব্রাহ্মণপুত্র অমুক বংশীয় ; এই কথায় একটু দোষ ঘটিয়াছে। জন্ম, ংশ ও উপনয়নাদি সংস্কার এই গুলি সাক্ষাৎসম্বন্ধে শরীরেরই হইয়া থাকে, আত্মার সহিত ইহাদের কোন ও সম্পর্ক নাই । পুত্ৰাদি কথা প্রয়োগ করিয়া মুখ্যত এই শরীরকেই জন্মসংস্কারাদি-বর্জিত কুটস্থ আত্মার স্বরূপবৎ কহিয়াছ, অর্থাৎ তুমি শরীরকেই আত্মা বোধ করিয়াছ সুতরাং তুমি বিপরীতদশী, এই জন্যই আমি তোমাকে মিথ্যাবাদী বলিয়াছি । এই কথা শুনিয়া শিষ্য যদি কহে, গুরো, এই শরীরই ব৷ কেন জন্মসংস্কারাদি বিশিষ্ট আর আত্মাই বা কেন জন্মসংস্কারাদি বজিত, আপনি ইহা সুস্পষ্ট বুঝাইয়। দিন । তখন আচাৰ্য্য কহিবেন, হে সৌম্য শুন । আমি ইতিপূৰ্ব্বে তোমাকে শ্রুতিবাক্যে আত্মৈকত্ব প্রতিপাদক অনেক উপদেশ দিয়াছি, তুমি সে সমস্ত স্মরণ করিয়া দেখ । এক্ষণে এই শরীরের উৎপত্তি প্রকারের কথা তোমাকে বলি শুন । পরমাত্মা অশরীরি, স্কুল কৃশত্বাদি জড়ধৰ্ম্ম তাহাতে কিছুমাত্র নাই । তিনি বাহ্য ও অভ্যন্তরশুন্য বিজ্ঞানঘন ও পরিপূর্ণ। র্তাহার শক্তির পরিচ্ছেদ নাই । তাহা হইতে এই আকাশ ও নামরূপ সমস্তই উৎপন্ন হইয়াছে । যেমন স্বচ্ছ জল হইতে অস্বচ্ছ ফেনের উৎপত্তি হয় এই স্থলসূক্ষস্থষ্টিও সেইরূপ বুঝিও । দেখ ফেন কিছু জল নয় আবার জল ব্যতীত স্বরূপত তাহার পৃথক উপলব্ধি হয় না, কিন্তু স্বচ্ছ জল অস্বচ্ছ ফেন হইতে ভিন্ন । বেদান্তের মত বর্জিত, শুন, তাহাও কহিতেছি । ృc (t STT TASMMGCTAM AA SGGTGSTS STDM AAAA AAAASAAAS يا مما يبا ما يسمصيض سي صحaصطس ساس. س. س. সেইরূপ দেখ এই নামরূপ ফেনস্থানীয়, ইহা হইতে পরমাত্মা ভিন্ন, তিনি স্বচ্ছ ও প্রসন্ন, আর নামরূপ তদ্বিপরীত অর্থাং অস্বচ্ছ ও অপ্রসন্ন । এই নামরূপ অব্যক্ত দশা হইতে ব্যক্ত হইয়াছে ইহাই স্বষ্টি । বস্তুত পরমাত্মা স্বয়ং নামরূপে পরিণত হন নাই । এই নামরূপ আকাশ স্বরূপে অবস্থিত ছিল। যখন আকাশ অপেক্ষ কিন্তু তুমি আত্মপরিচয়ে ব্রাহ্মণ- l স্থল ভাব অর্থাৎ অব্যক্ত অবস্থা হইতে ব্যক্ত অবস্থায় পরিণত হয় তখন প্রথমে আকাশ হইতে বায়ুর উৎপত্তি হইয়াছিল। পরে বায়ু হইতে অগ্নি, অগ্নি হইতে জল ও জল হইতে পৃথিবীর উৎপত্তি হইয়াছে। এই স্বষ্টি প্রক্রিয়ায় পূর্ব পূর্ব মহাভূতের পর পর মহাভূতে অনুপ্রবেশ আছে, স্থত রাং পৃথিবী পঞ্চভূতাত্মক । এই পৃথিলী হইতে পঞ্চভূতাত্মক ব্রাহিযপাদি ফল সশ্য উৎপন্ন হইতেছে। আবার এই ভুক্ত ফলসশ্য হইতে স্ত্রী পুরুষের শুক্র শোণিত জন্মিতেছে। এই শুক্র শোণিত স্ত্রীপুরুষসংযোগে শরীবরূপে পরিণত ও মাসে ভূমিষ্ঠ হয়। পরে এই শরীর জাতকৰ্ম্মাদি সংস্কার ও উপনয়ন সংস্কারযোগে ব্রহ্মচারি সংজ্ঞা লাভ করে । পরে এই শরীর পত্নীযোগ ও সংস্কারযোগে গৃহস্থ সংজ্ঞা পায়, আবার তাহাই বনস্থ সংস্কারে তাপস এবং ক্রিয়ানিবৰ্ত্তক সংস্কারে পরিব্রাজক হয় । সুতরাং দেখ শরীরই জন্মসংস্কারাদি সম্পন্ন । এার মন ও ইন্দ্রিয় সকল অন্নময় স্থতরাং ইহাও এই না মরূপ হইতে ভিন্ন হইতেছে না । বৎস, এই তো শরীরের কথা হইল। এখন আত্মা বা আমি কেন যে জন্মসংস্কারাদি যিনি নামরূপের স্রষ্ট। অথচ যিনি নামরূপ হইতে দশম | পৃথক তিনি এই নামরূপ—এই শরীর স্বষ্টি