পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

۱ ده وfr) ృe 4 മ്മിയമ്മ- *"-w- mæ- *-m - এস্থলে যদি শিষ্য কহে, ভগবন, দেখুন এই দেহ দাহ বা ছেদন করিলে আমার বেদন প্রত্যক্ষ হয়, ক্ষুৎপিপাসায় আমার o দুঃখ ক্লেশ প্রত্যক্ষ হয়, কিন্তু শ্ৰুতি কহিতেছে পরমাত্মার পাপ নাই, জরামুতু্য নাই, শোক দুঃখ নাই, ক্ষুৎপিপাসা নাই । তিনি সমস্ত সংসার-ধৰ্ম্ম-বর্জিত ৷ শীত ও উত্তাপ যেমন পরস্পর বিরুদ্ধধৰ্ম্মী সেইরূপ জীব ও পরমাত্মা পরস্পর বিরুদ্ধধৰ্ম্মী, সুতরাং উভয়ে যে অভিন্ন ইহা আমি কিরূপে বুঝিব। আর আমি সংসারী এবং অভু্যদয় ও নিঃশ্ৰেয়স সাধনে অধিকারী, সুতরাং অভু্যদয় উপবীতাদি কিরূপে পরিত্যাগ করিব । এইরূপ প্রশ্নে আচাৰ্য্য শিষ্যকে বলি বেন, সৌম্য, তুমি যে কহিলে দেহ দাহ বা ছেদন করিলে বেদনা অামার প্রত্যক্ষ മ്മബ-- ப_ _ o যে যে স্থানে দাহুছেদাদি হইতেছে তৎতৎ স্থানেই বেদনা নির্দেশ করিয়া থাকে। যদি বেদনাদির উপলব্ধ আত্মাতে বেদনার নির্দেশ হইত তাহা হইলে বেদনার আশ্রয় বলিয়া দেহের নায় আত্মাতেও বেদনার হেতু দাহাদি উদ্দিষ্ট হইত। কিন্তু অামার আত্মা দগ্ধ বা ছিন্ন হইতেছে এরূপ বলিতে তো কৈ ... হাকেও কখন শুনি না । অত এল ইহাই স্থির যে, দাহাদি জন্য বেদন দাহাদির সহিত এক আশ্রয়ে থাকে অর্থাৎ দহাদি কাৰ্য্য দেহে এবং দেহেরই বেদন । চক্ষুর্গত রূপকে যেমন চক্ষু গ্রহণ ও নিঃশ্রেয়স সাধন কৰ্ম্ম এবং কৰ্ম্মসাধন । হয় ইহা ঠিক নয়। যখন দেহ বৃক্ষবৎ । দহ্যমান বা ছিদ্যমান হয় তখন এই দাহ ছেদজন্য বেদনা দেহেই উপলব্ধি হইয়। থাকে। এই হেতু আমি বলিব দাহাদি জন্য বেদন দাহাদির সহিত তুল্য আশ্রয়ে । আছে, অর্থাৎ যে দেহে দাহাদি ঘটতেছে বেদনা সেই দেহেরই। এই দাহছেদ একটি কার্য্যবিশেষ। এই কার্য বিশেষ যাহা দেহে ঘটিতেছে আত্মা কেবল । তাহার উপলব্ধা, এই হেতু দাহাদি জন্য বেদনা আমার বলিতে পার না, উহা দেহেরই। এস্থলে একটা দৃষ্টান্ত দিলেই ইহা বেশ বিষদ হইবে । দেখ, যথায় দাহ বা ছেদাদি কৃত হয় লোকে সেই খানেই তৎজন্য বেদনা নির্দেশ করে,কিন্তু বেদনা দাহাদির উপলব্ধা যে আত্মা,তাহাতে কদাচ তাহ নির্দেশ করে না । কেহ যদি জিজ্ঞাসিত হয় কোথায় তোমার বেদন । সে তখন অবশ্যই বলে আমার মস্তকে বক্ষে বা উদরে। করিতে পারে না সেইরূপ আত্মগত বেদনাকে আত্মা গ্রহণ করিতে পারে না। এস্থলে এই উপলব্ধি ক্রিয়ার কর্তা কে হয় ইহাই বিরোধ। এই বেদনাও আবার দাহাদির ন্যায় একটা কার্য্য । যদি বল বেদন। কিনা দুঃখ । সেই বে না বা দুঃখ আচে তন দেহে সম্ভব নয়, কারণ সুখদঃখাদি ধৰ্ম্ম কেবল চেতনেই আছে । যদি আত্মা স্বয়ং চেতন হইয়া ও বেদনার আশ্রয় না হন তবে অচেতন যে দেহ সে কিরূপে তাহার আশ্রয় হইবে ? সুতরাং বেদনা বস্তুটি নিরাশ্রয় হইয়া যাক ? না,এরূপ অপত্তি করিতে পার না। বেদন যখন একটি কার্য্য তখন তণ্ডুলপাকাদির ন্যায় অবশ্যই আশ্রয় অপেক্ষা করে। আর ও বুঝিয়া দেখ, দাহাদির সহিত বেদনা এক আশ্রয়ে থাকে এই জন্য ইহার ংস্কার থাকিয়া যায়। যদিচ তুমি বেদনাকে নিপাখ্রয় বল তবে ইহার নাশে অর্থাৎ যখন ইহা না থাকে তখন ইহার সংস্কারও থাকিতে পারে না । এই সংস্কার না থাকিলে কালান্তরে ইহার স্মরণও হইতে পারে না । স্বতরাং ইহা সাশ্রয়। আর যদি তুমি বেদনাকে কার্য্য না বল তবে ইহার সংস্কার ও স্মৃতি কৈ থাকে। এই সংস্কার ও স্মৃতির অ- '