পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواهد তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ०९ कल्ल, ७ छाभ m -بیسحصچ ভাবে আমার বক্ষে কি উদরে বেদন হইয়া- একটা বালক, তোমা হইতে কি প্রকারে ছিল ইত্যাকার লোকব্যবহারই বা কিরূপে দাড়ায় । যদি বল, স্বীকার করিলাম বেদনা সাশ্রয়। কিন্তু সেই আশ্রয় আত্মা হউক, কারণ আত্মাতেই তো বেদনার সংস্কার ও স্মৃতির উপলব্ধি হইয়া থাকে ? না, একথাও ঠিক নয়। বেদন তৎসংস্কার ও স্মৃতি এক আশ্রয়েই থাকে। বেদনা উপলব্ধি হয় সেই স্থানেই তজ্জন্য সংস্কার ও স্মৃতি থাকিবে । জাগ্রৎ ও স্বপ্না বীর ভার উদ্ধার করিতে পারি। সুতরাং যেস্থানে । এই স্থষ্টির ভার উদ্ধার হইবে ? তখন শিবনারায়ণ মাতা পিতাকে বলিলেন যে, “আপনারা যাহা বলিতেছেন তাহা সত্য বটে। আমার কি ক্ষমতা যে আমি পৃথিঅামি কেবল নিমিত্ত মাত্র । প্রমাণ ; ঘোর অন্ধকার রাত্রিতে যে ব্যক্তির চক্ষু আছে সে যেমন দেখিতে পায় না (অন্ধ কি প্রকারে দেখিতে পাইবে) এবং অন্ধ ব্যক্তিকে চক্ষু বস্থা স্মৃতির কাল । এই উভয় অবস্থাতেই । বেদনার উপলব্ধি হয় কিন্তু স্বযুপ্তিতে উপলব্ধি হয় না। যখন স্যুপ্তিতে ইহার উপলন্ধি হইতেছে না তখন তুমি ইহাকে আত্মাশ্রয়ী বলিতে পার না । দেহকাশ্যাদির ন্যায় অনাত্মা অর্থাৎ দেহপ্রত্যয় কালেই বেদনার উপলব্ধি হইয়া থাকে। আরও দেপ, যখন দেহ ছিন্ন ও দগ্ধ হয় তখন যে ব্যক্তি দেহকেই আত্মা বলিয়া বুঝে সে আমি দগ্ধ ও ছিন্ন হইলাম এইরূপ প্রতীতি করিয়া সন্তপ্ত হয় । অতএব দেখিতেছি দাহছেদাদি জন্য বেদনা, সংস্কার, স্মৃতি এবং দ্বেষও দেহাভিন্ন আত্মায় উপলব্ধি হয় কিন্তু দেহাভিমান নষ্ট হইলে সে অবস্থায় এ সকল উপলব্ধি হয় না, অতএব ইহাই স্থির, দহিছেদাদি দেহের, বেদনা ও দেহের । পরমহংস শিবনারায়ণদেবের জীবন চরিত্র। ( পূর্বের অনুবৃত্তি ) আমি পৃথিবীর ভার উদ্ধারের জন্য নিমিত্ত মাত্র দাড়াইব । মাতা পিতা বলি লেন যে, হে পুত্র, তুমি আমাদের মারিয়া ফেলিয়। যাইতে পার; তুমি এখন ক্ষুদ্র ম্মান ব্যক্তিও পথ দেখাইতে সমর্থ নহে । যখন সূৰ্য্যদেব প্রকাশ হন তখন নেত্রবান ব্যক্তির দৃষ্টি খোলে এবং তখন তাহার ক্ষমতা জন্মে ও তিনি অন্ধ ব্যক্তিকে হাত ধরিয়া ভাল পথে লইয়া যান কিম্বা কোন উত্তম স্থানে বসাইয়া দেন । অন্ধব্যক্তি শব্দে অজ্ঞান এবং চক্ষুয়ান ব্যক্তি শব্দে জ্ঞান এবং সূৰ্য্যদেবের প্রকাশ শব্দে আত্মবোধ অর্থাৎ স্বরূপ-নিষ্ঠ। আমাকে নিমিত্ত মাত্র দাড় করাইয়। তিনি অন্তর হইতে প্রেরণা করিয়া সকল স্বষ্টির ভার উদ্ধার করিয়া দিবেন। হে মাতা পিতা আমার প্রতি আপনার। আর স্নেহ করিবেন না । আমাকে পরিত্যাগ করুন । তাহাতে মাতা পিতা স্নেহ প্রযুক্ত বলিতে লাগিলেন যে, “হে পুত্র । মাতা পিতা কত কন্টে কত যত্নে পুত্রকে লালন পালন করি য়াছে—সে পুত্রকে তাহার। কেমন করিয়া পরিত্যাগ করিবে ? আরো বলিলেন যে, তুমি তো ভাল করিয়া বিদ্যাভ্যাস করিলে । ন—তুমি মূখ রহিলে তবে কি প্রকারে তোমার কার্য্য-নির্বাহ হইবে।” তাহাতে শিবনারায়ণ বলিলেন যে, অন্তর্যামীরূপ বিদ্যা অামার অন্তরে বাস করিতেছেন—, সেই বিদ্যাতেই আমার প্রয়োজন, আমার বাহিরের বিদ্যার প্রয়োজন নাই।” শিব