পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डॉाश्विनं ***: ७*** জীবন রত্র :ృSఏ ബ= =ഇമ്മ = --ബ=== - -- নারায়ণ মনে মনে বিবেচনা করিয়া দেখি- | লেন যে, “এ মাতাপিত ত আমাকে বনে । যাইতে অজ্ঞ দিবেন না কিন্তু ইহাতে । অন্তৰ্বামী মাতাপিত পূর্ণ পরব্রহ্মের আজ্ঞা আছে, তাহার আজ্ঞায় বাহির হইয়া যাইব তাহা হইলে উভয়েরই আজ্ঞা পালন হইবে ।” তখন মাতা পিতাকে নমস্কার করিয়া শিবনারায়ণ নিজের অভিপ্রায় মনে মনে রাখিলেন এবং দুই চারি দিবস পরে গভীর রাত্রে গৃহত্যাগ করিয়া পূর্বাভিমুখে চলিলেন । তখন ইহঁর বয়স দ্বাদশ কি ত্রয়োদশ বৎসর হইবে । মনে মনে ভাবিতে লাগিল যে, প্রথমে কোন দিকে যাইব । কোন কোন দেশে কোন দ্বীপ, কাহার রাজ্যে কোন অভাবে প্রজা কষ্ট পাইতেছে এবং কি করিলে তাহার অভাব নিবারণ হইবে ও কষ্ট যাইবে । কি করিলে দেশের রাজা পণ্ডিত জ্ঞানী সমদূষ্টিতে সকলের উপর দয়া করেন এবং কোন দেশের পণ্ডিত ও রাজা এরূপ মুখ যে আপনার কষ্ট বুঝেন—অপরের কষ্ট বুঝে না। কি করিলে পণ্ডিত রাজা প্রজা সকলে ব্যবহার কার্য্য এবং পরমার্থ বিষয় বুঝিয়া আনন্দে থাকিতে পারেন । যাহা করিলে এই সকল বিষয় সম্পন্ন হয় তাহাই আমার করা কর্তব্য । জ্ঞানবান পুরুষের কর্তব্য । শিবনারায়ণ এই ভাবিতে ভাবিতে দেশে দেশে দ্বীপে দ্বীপে পৃথিবীর উপর পর্য্যটন করিতে লাগিলেন এবং পূর্ণ পরব্রহ্ম জ্যোতিঃস্বরূপ গুরু মাতা পিতার কাছে সৰ্ব্বদা এই প্রার্থনা করিতে লাগিলেন যে, হে অন্তৰ্য্যামি গুরু ! এই মুখ অজ্ঞানি ব্যক্তিদিগের অন্তর হইতে অজ্ঞানতা লয় করিয়া ইহাদিগকে জ্ঞান প্রদান করুন যাহাতে ইহারা বুঝিয়া সকল বিষয়ে সৰ্ব্বদা আনন্দরূপ থাকিতে পারে, যাহাতে কাহারও সহিত ইহাদের দ্বেষ এবং বৈরভাব না থাকে। এই শিবনারায়ণের সহিত কাহারো দেখা-সাক্ষাৎ হইলে তাহার জিজ্ঞাসা করিত যে, “তুমি গৃহস্থ না সাধু, তুমি কি জাতি, তুমি কিছু লেখা পড়া জান, তুমি বেদ পড়িয়াছ ?” শিবনারায়ণ বলিলেন আমি লেখা পড়৷ জানি না, বেদ ও পড়ি নাই ; আমি গৃহস্থ কি সাধু তাহা আমি জানি না ; গৃহস্থ এবং সাধু কাহাকে বলে তাহাও আমি জানি না; দ্বাদশ বৎসরের বালক গৃহত্যাগ করিয়া । আমি এই মাত্র জানি যে তোমরাও মনুষ্য; আমিও মনুষ্য, তোমাদেরও হাত পা আছে আমারও হাত পা আছে। আমি যে কি জাতি তাহা জানি না; আমি শরীরের মধ্যে অন্বেষণ করিতেছি কিন্তু হাড় চামড়ার মধ্যে তো কোন জাতির ঠিকান পাইতেছি না; আমি অম্বেষণ করিতেছি—যদি হাড় চামড়া মাসের মধ্যে জাতি পাই তাহা হইলে বলিব ।” তাহাতে জিজ্ঞাহ ব্যক্তি বলিল, “তোমার গলায় তো যজ্ঞোপবীত আছে তবে যে তুমি জাতি বলিতেছ না?” তাহা শুনিয়া শিবনারায়ণ বলিতেন, বটে ভাই তুমি ও ত স্থতার কাপড় পরিয়া আছ, আমি না হয় একটা সুতা গলায় দিয়াছি, তাহাতে কি হইল ? স্থতাই কি জাতি ? যাহানে সকলের উপকার হয় তাহাই । পরে শিবনারায়ণ যখন আপনার অন্তরে সূক্ষ শরীরে ত্রিগুণময়ী আত্মা বিষ্ণু মহেশ ব্ৰহ্মা জ্যোতিঃস্বরূপ যজ্ঞোপবীত পাইলেন; নাসিকা দ্বারে প্রাণ স্বরূপ, নেত্র দ্বারে তেজ স্বরূপ,কৰ্ণ দ্বারে তাকাশ স্বরূপ, এবং পঞ্চতত্ত্বরূপী পঞ্চগ্রন্থি শরীরের মধ্যে পাইলেন, তখন স্থতার যজ্ঞোপবীতকে গল। হইতে খুলিয়া গাছে টাঙ্গাইয়া দিলেন। শিবনারায়ণ গ্রামে গ্রামে ভ্রমণ করিয়\