পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*१ बलन्त्र, ७ ‘ठं ృృు r—- - - - ப_ _ ബ-l. তত্ত্ববােধিনী পত্রিক দেশের অবস্থা সকল দেখিতে লাগিলেন । লেন। শিবনারায়ণকে কি উৎকৃষ্ট এবং এইরূপ ভ্রমণ ক্রমে শিবনারায়ণ একদিন । কি নিকৃষ্ট যে কাৰ্য্য করিতে বলিতেন বঙ্গদেশে আসিয়া কোন ভদ্র বঙ্গ বাবুর | শিবনারায়ণ বিন ওজরে সেই কাৰ্য্যই । নিকট প্রাণ ধারণার্থ কিঞ্চিৎ আহার যাচ্ঞা করায় বাবু বলিলেন, “তোমার শরীর ত হৃষ্ট পুষ্ট দেখিতেছি, চাকরি করিয়া খাইতে পার না; যাচূঞা করিয়া বেড়াও— তোমার লজ্জা হয় না ?” তখন শিবনারায়ণ বলিলেন, আপনি যাহা বলিতেছেন তাহ ঠিক বটে—শারীরিক পরিশ্রমের দ্বারা উপার্জন করিয়া খাওয়া জ্ঞানবান লোকের কাজ কিন্তু আমি এক জনের চাকরি করি- । তেছি—যাহার এই জগৎ । তবুও যদি আপনি.চাকরি দেন তাহা আমি করতে । স্বীকার আছি, কিছু দিন আপনাদেরও চাকুরি করিয়া লই । डांश्चाण्ड বাবু বলিলেন, “যদি তুই ঈশ্বরের চাকরি করিতেছিস্ তবে বাট বাটা ভিক্ষা করিয়া বেড়াইতেছিস্ কেন—তিনি কি আহার দিতে পারেন না ? শিবনারায়ণ উত্তর করিলেন আপনি যাহা বলিতেছেন তাহ। ঠিক বটে, র্তাহার উপর নিষ্ঠ হইলে অপরের নিকট যাইবার আর প্রয়োজন কি ? তখন বাবু । বলিলেন, তুই খোরাক পোসাক পাইবি আর মাসে দুইটাকা মাহিয়ানা পাইবি দেউড়িতে পড়িয়া থাকৃ। ন৷ থাকিস্ চলিয়। যা ।” শিবনারায়ণ বলিলেন, তামাকে টাকা দিতে হবে না কেবল খোরাক পোসাক দিলেই হবে, আমি থাকিব । বাবু হরনাথ চক্রবর্তী বলিলেন,“তুই টাকা লইবি । না—তোর কি বাড়িতে বাপ মা নাই ?” শিবনারায়ণ বলিলেন,“থাকুক না থাকুক— যাইবার সময় যাহা আপনার বিচারে হয় করিবেন, এখন তো থাকি।” বাবু হরনাথ চক্রবর্তি মহাশয় শিবনারায়ণকে রাখিলেন এবং উহার দ্বারা কাৰ্য্য করাইতে লাগি করিতেন। বাবু কোন কাৰ্য্য করিতে ইঙ্গিত করিবা-মাত্র শিবনারায়ণ সেই কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতেন, পুরাতন চাকরের সেরূপ করিতে পারিত না। বাবু মনে-মনে করি তেন যে, বিনা বেতনে উত্তম চাকর পাইয়াছি—যে কাৰ্য্য করিতে হুকুম করিতেছি সেই কার্য্য উত্তম রূপে করিতেছে । শিবনারায়ণ ২৩ মাস ঐ বাবুর বাটিতে থাকিয়া চুপ করিয়া সেখান হইতে রামপুর বোয়ালিয়াতে চলিয়া গেলেন। রামপুরে যাইয়া কোনো এক মহাজনের বাটীতে পূর্বের মত যাচূঞা করাতে তিনিও হরনাথ বাবুর মতো শিবনারায়ণকে চাকর রাখিলেন । শিবনারায়ণের দ্বারা মহাজনেরও উত্তমরূপ কাৰ্য্য সম্পন্ন হইতে লাগিল । মহাজন সকল চাকরকেই শালা বলিয়। সম্বোধন করিতেন—কাজে কাজেই শিবনারায়ণকে ও শালা বলিতেন । কোনো স্থানে কোনো মাল রওনা করিতে হইলে মহাজন চাকর দ্বারা করাইতেন, তাহাতে পুরাতন চাকরের টাকা অধিক খরচ করিত এবং ইহাতে উহাতে খরচ হইয়াছে বলিয়া মহাজনকে হিসাব দিত । কিন্তু যখন তিনি শিবনারায়ণকে ঐ কার্য্যে নির্দেশ করিতেন তখন খরচ কম লাগিত এবং তিনি কোন মিথ্যা হিসাব দিতেন না, এবং যথাযোগ্য ন্যায্য খরচ করিতেন । শিবনারায়ণ কাহারও সহিত অধিক কথা বার্তা কহিতেন না ; তাহাতে মহাজন বলিতেন, “এ বেটা বোকা, কিছু জানে না কিন্তু ইহার মধ্যে এই গুণ দেখা যাইতেছে যে, যেখানে বৈসে সেইখানেই একল । চুপ করিয়া বসিয়া থাকে, কাহারে সহিত