পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

יעילי. ג גשב ffisף প্রকৃতির পরিচায়ক লক্ষণ SS6 حق= سے پ= یـہ -------- জন্যই জ্ঞান-পরিস্ফুটনের অব্যবহিত পূর্বে প্রাণ-পরিস্ফুটনের প্রয়োজন। এখন আ মরা অচেতনের অন্ধকার হইতে চেতনের আলোকে প্রবেশ করিবার উপক্রম করিতেছি;—এই জন্য এখন আর আমাদিগকে বেশী অন্ধকারে হাতড়াইয়া বেড়াইতে হইবে না ; আমাদের অন্বেষ্য তত্ত্ব-গুলি । আমরা অামাদের আপনার আপনার অভ্যস্তরেই জ্ঞানালোকে অন্তদৃষ্টিতে উপলব্ধি করিব । উপরে এই যে একটি কথা বলিলাম যে, জ্ঞান-পরিস্ফুটনের পূর্বে প্রাণ পরিস্ফুটনের প্রয়োজন,এ কথাটি আমরা কোথা হইতে পাইলাম ? অনভিজ্ঞ লোকে মনে করিতে পারে যে, এ তত্ত্বটি আমরা বাহির হইতে সঙ্গ হ করিয়াছি; উদ্ভিদগণকে আমরা জীব অপেক্ষা অনেকাংশে অসহায় দেখিতে পাই, এবং সচেতন জীবদিগকে আমরা তাহা অপেক্ষা অনেক পরিমাণে স্ববশ দেখিতে পাই, এই জন্যই আমরা বলি যে, নীচের ধাপ হইতে উপরের ধাপে পদার্পণ যদি প্রকৃতির সকল কার্য্যেরই প্রচলিত পদ্ধতি হয় তবে অগ্রে উদ্ভিদের অভিব্যক্তি, পরে জীবের অভিব্যক্তি, ইহাই যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু বাস্তবিক কথা এই যে, প্রাণের প্রকাশ্য কাৰ্য্য সকল যত না স্পষ্ট রূপে আমরা বাহিরে প্রত্যক্ষ করি, সাক্ষাৎ প্রাণকে আমরা আপন অপেন অন্তঃকরণের মধ্যে তদপেক্ষ আরো নিগুঢ় রূপে অনুভব করি। প্রাণ চেতনের অাভাসে রঞ্জিত হইয়া সংস্কার-রূপ ধারণ করে এবং মনুষ্যের সংস্কার চেতনের নিয়মে নিয়মিত হইয়া সুসংযত প্রবৃত্তি-রূপ ধারণ করে। প্রথমে আমরা সংস্কার অনুসারে কার্য্য করি, তাহার পরে আমরা সেই সংস্কারকে জ্ঞানে আয়ত্ত করি। ইহার উদাহরণ ; – প্রথমে আমরা সহজ সংস্কারের অনুবর্তী হইয়া মাতৃভাষা শিক্ষা করি, তাহার পরে সেই সহজায়ত্ত ভাষার উপরে জ্ঞান প্রয়োগ করিয়া তাহার মধ্য হইতে ব্যাকরণের নিয়ম সকল টানিয়া বাহির করি এবং সেই সকল নিয়মকে জ্ঞাতসারে ভাষার উপরে প্রয়োগ করিয়া বিশুদ্ধ রূপে ভাষা ব্যবহার করি ; পূর্বেও আমরা কর্তা কৰ্ম্ম ক্রিয়ার স্থানভেদাদির নিয়ম ভাষার উপরে প্রয়োগ করিতাম—কিন্তু তখন তাহ৷ অজ্ঞাতসারে করিতাম ; ব্যাকরণ শিক্ষার পূর্বে যাহ। আমরা অজ্ঞাতসারে করিতাম, ব্যাকরণ শিক্ষার সময় তাহাই আমরা জ্ঞাতসারে করি—এই যা প্রভেদ। বিবেচনা করিয়া দেখিলে এ প্রভেদটি সামান্য প্রভেদ নহে – কেননা এই প্রভেদটিই মনুষ্য এবং ইতর জীবদিগের মধ্যে অলঙ্ঘনীয় প্রাচীর প্রতিষ্ঠিত করিয়া রাখিয়াছে। সৰ্ব্বশুদ্ধ ধরিয়া প্রকৃতির কার্য্য-প্রণালীর চারি-টিসোপান-পংক্তি—(১) আকর্ষণশক্তি, (২) জীবনী-শক্তি, (৩) সংস্কারশক্তি, (৪) সংযম-শক্তি (যাহা মনুষ্য ভিন্ন ইতর কোনো জীবে নাই)। তাহার মধ্যে প্রথম দুইটি পংক্তি অচেতন শ্রেণীভুক্ত ; শেষের দুইটি পংক্তি সচেতন শ্রেণী-ভুক্ত । চেতন-ব্যাপার দুই অবান্তর শ্রেণীতে বিভক্ত—(১) অনুভবাত্মক চেতন এবং (২) বিবেকাত্মক চেতন ; অনুভবাত্মক চেতন ইতর জীব-দিগেরও আছে—ইতর জীবেরাও ক্ষুৎপিপাসাদি অনুভব করে ; কিন্তু বিবেকাত্মক চেতন শুদ্ধ কেবল মনুষ্যেতেই मृझे श्ध्न-श्ऊद्र औरद उांशज्ञ ८कांहना লক্ষণই দেখা যায় না। আত্মানাত্ম-বিবেক, সত্যাসত্য বিবেক, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম বিবেক, ইহার কোনোটিই জীবে সম্ভবে না; একটা কুৰুর '