পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৩ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক মনুষ্যের ভাষা ইঙ্গিতে বুঝিতে পারে ;– | শক্তিই মনুষ্যের অন্তরতম শক্তি-সংস্কার কিন্তু ভাষার বহিরাবরণ হইতে ভাষার নিয়ম-পদ্ধতি গুলিকে বিবিত্ত করিয়া সে গুলি জ্ঞানায়ত্ত করা শুদ্ধ কেবল মনুষ্যেরই ৷ কার্য্য—তাহা কোনো ইতর জীবেরই কাৰ্য্য নহে। ইতর জীবের এবং মনুষ্যের চেতনকে পরস্পরের সহিত মিলাইয়া দেখিলেই উভয়ের মধ্যে সুস্পষ্ট প্রভেদ দেখিতে পাওয়া যায় ; আর, প্রভেদ যাহা দৃষ্ট হয়, তাহ শুধু কেবল মাত্রা-গত প্রভেদ নহে কিন্তু জাতিগত প্রভেদ । অতঃপর আমরা সেই প্রভেদ প্রদর্শনে প্রবৃত্ত হইতেছি। প্রকৃতির প্রথম দুইটি সোপান-পংক্তিতে আমরা যে রূপ দুই দুই বিরোধী পক্ষের প্রতিদ্বন্দিতা-অথচ-আবশ্যকতা দেখিয়াছি—চেতন রাজ্যের অভ্যন্তরেও আমরা আর-এক উচ্চতর প্রকারে নেই ভাব-টিই দেখিতে পাইব— এবং তাহার পরে প্রকৃতির উচ্চ-নীচ সমস্ত সোপান-পংক্তি আদ্যোপান্ত পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া—সমগ্র প্রকৃতির পরিচায়ক লক্ষণ কি তাহার মীমাংসায় প্রবৃন্ত হইব । মনুষ্যের বিবেকাত্মক জ্ঞান এবং পশু i| শক্তিই নিকৃষ্ট জীবের অন্তরতম-শক্তি । ইহার পরেই প্রকাশ পাইবে যে, সংযম শক্তির আশয় অর্থাৎ আধার-বস্তু আত্মা এবং সংযম-শক্তির চরম লক্ষ্য অনন্ত পরব্রহ্ম ; ংস্কার-শক্তির আশয় মন এবং তাহার চরম-লক্ষ্য পরিমিত বাহ্যবস্তু সকল । ইতর জীবদিগের অভ্যন্তরে যত প্রকার কার্য্যসাধিক শক্তি আছে, তাহার মধ্যে নৈসগিক সংস্কারই সৰ্ব্বোচ্চ স্থানীয়। কিন্তু মনুষ্যের অভ্যন্তরে সংস্কার-শক্তি তো অাছেই ; তা ছাড়া—সমস্ত মানসিক বৃত্তির নিয়ামক-স্বরূপ সংযম শক্তি বর্তমান । মনুষ্যেতে সংস্কার শক্তি এবং সংযম শক্তি দুইই যদিচ বর্তমান, কিন্তু মনুষ্যের সংস্বার-শক্তি সংযম শক্তির অধীনে থাকিয়৷ থাকিয় তাহার তেজ অনেকট নরম প ড়িয়া আসিয়াছে। মনুষ্য কুকরের ন্যায় দিগের অনুভবাত্মক জ্ঞান এ দুয়ের মধ্যে : প্রভেদ স্পষ্টরূপে হৃদয়ঙ্গম করিতে হইলে দুয়েরই কেন্দ্র স্থলে দৃষ্টিপাত করা আবশ্যক। অনুভবাত্মক জ্ঞানের কেন্দ্র কি ? না সংস্কার ; পশুরা নৈসর্গিক সংস্কার । অনুসারেই ইন্দ্রিয়গত উপরাগ-সকল এবং সুখ দুঃখ ভয়-লোভাদির উত্তেজনা সকল অনুভব করে । বিবেকাত্মক জ্ঞানের কেন্দ্র কি ? না সংযম-শক্তি । দ্বারা ইন্দ্রিয়াদির উত্তেজনা হইতে উপরে উঠিয়া উচ্চ ভূমিতে দণ্ডায়মান না হইলে সত্যাসত্য, ভালমন্দ, প্রভৃতির বিবেক রীতিমত স্ফৰ্ত্তি পাইতে পারে না । সংযম ংযম । নৈসর্গিক সংস্কারের উত্তেজনায় চোর ডাকাত চিনিতে পারে না ; মাকড়সা'র ন্যায় আকাশের ভাব-গতিক পূর্বাহ্নে বুঝিতে পারে না ; বস্ত্রাবৃত চক্ষে অপরিচিত দূর দেশে নীত হইলে বিড়ালের ন্যায় পথ চিনিয়া স্বস্থানে ফিরিয়া আসিতে পারে না। আফিকা দেশের কাফিরা বিজন প্রান্তর দিয়া গমনাগমনের সময় কোনো প্রকার অপরিচিত উদ্ভিদ দেখিলে অগ্রে তাহার ফল বা মূল বানরকে দিয়া পরখ করে ; বানর যদি তাহা না খায়—তবে তাহার বিষাক্ত রোধে তাহা ফেলিয়া দেয় ; কিন্তু বানর যদি তাহ ভক্ষণ করে তবে তাহার নিৰ্ভয়ে তাহার প্রদর্শিত দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে—“মহাজনো(?)যেন গতঃ স পস্থা !” ইহাতে এইরূপ প্রতিপন্ন হইতেছে যে, ংস্কার-শক্তির পরিস্ফুটনই যদি জীবের । শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় হয়, তবে মনুষ্য অপেক্ষা

  • १ बङ्गघ्न, & ९ठा' ,