« د ج د پيtf8چ প্রকৃতির পরিচায়ক লক্ষণ ১১৭ ৷ বানর শ্রেষ্ঠ জীব তাহাতে আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। নিকৃষ্ট জীবের তেজস্বী সংস্কার-শক্তির সঙ্গে মনুষ্যের মৃদু সংস্কার শক্তির তুলনাই হয় না । মনুষ্যের সংস্কার শক্তি যে, একেবারেই নাই তাহ নহে, কিন্তু তাহ সংযম শক্তির প্রভাবের অধীনে থাকিয়া থাকিয়া এক-রূপ অকৰ্ম্ম ।্য হইয়া পড়িয়াছে—আজন্ম কাল পিঞ্জরে কারাবদ্ধ থাকিলে পক্ষীর দশা যেরূপ হয় তাহারও দশা সেইরূপ হইয়াছে । সং স্কার শক্তি এবং সংযম-শক্তি এ দুয়ের মধ্যে প্রধান প্রভেদ লক্ষণ দুইটি ; (১) সংস্কার-শক্তি অনুভবাত্মক ; সংযম | শক্তি বিবেকা তুক । (২) সংস্কার শক্তির চরম লক্ষ্য পরি মিত; সংযম-শক্তির চরম লক্ষ্য অপরিমিত । প্রথম প্রভেদ চিহ্ন ;—মৌমাছিরা তা তবে সুকৌশলে চাক নিৰ্ম্মাণ করে ; কিন্তু । তাহাদের চাক-নিৰ্ম্মাণ-কার্য্যে বিবেকের কোনো লক্ষণই দৃষ্টিগোচর হয় না । মধুকোষের জ্যামিতিক অাকার কিরূপ হইলে অল্প আয়তনের মধ্যে অধিক মধু ধরিতে পারে—মৌমাছি ন, অথচ শুদ্ধ কেবল একপ্রকার অান্ত করে যে, এক জন যন্ত্রবিদ্যা-বিশারদ কারিকর তেমন পারে কি না সন্দেহ । শুদ্ধ অনেক সময় একজন আগন্তুক সাধু ব্যক্তিকে কিছু বলে না—কিন্তু চোরকে তাড়াইয়া ধরে, কিন্তু কিসে যে ও-ব্যক্তি সাধু, আর, এ ব্যক্তি চোর—তাহার সে বিন্দুবিসর্গও জানে না ; কাজেই বলিতে হইতেছে যে, শুদ্ধ কেবল-এক অহেতুক অনুভবই তাহার মূল ; তাহা সত্যাসত্য 曲
- - طلعدة ص د ك كعض سـ يد كي
বিবেকের অথবা ভাল-মন্দ বিবেকের কোন ধারই ধারে না । * দ্বিতীয় প্রভেদ লক্ষণ ; সংস্কার-শক্তির লক্ষ্য পরিমিত বিষয়” এ কথাটির তাৎপর্য্য এই যে, মৌমাছির যত কিছু নিৰ্ম্মাণ শক্তি সমস্তই মৌচাক নিৰ্ম্মাণেই ব্যয়িত হয় ; বাবুই পাখীর ধত কিছু নিৰ্ম্মাণ-শক্তি সমস্তই বাবুই-বাসা নিৰ্ম্মাণেই ব্যয়িত হয়; ত৷ ছাড়া—মৌমাছি বোলতা’র চাকের মতো চাক নিৰ্ম্মাণ করিতে পারে না; বাবুই পার্থী কাঠ-বিড়ালীর বাসার মতো বাসা নিৰ্ম্মাণ করিতে পারে না ;–সংস্কারের পরিধি ক্ষেত্র এইরূপ পরিমিত । মনুষ্যের নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্য শুধু কেবল সংস্কার-মূলক - নহে— অধিকন্তু তাহা জ্ঞান-মূলক ; এজন্য এরূপ হওয়া কিছুই বিচিত্র নহে যে, নৌকার নিৰ্ম্মাতা শকট নিৰ্ম্মাণ করিতে ও প্রস্তুত— কুটীরের নিৰ্ম্মাতা অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করিতেও প্রস্তুত। অর্থাৎ এমন কোনো কথা বার্তা নাই যে,মনুষ্যের নিৰ্ম্মাণ-শক্তি বিশেষ একটি-কোনো ব্যাপার লইয়াই ব্যাপৃত থাকিবে—তা ছাড়া তাহা আর কোনো তাহার বাষ্পও জানে । ব্যাপারেই হস্ত-ক্ষেপ করিতে পরিবে না । কাজেই বলিতে হইতেছে যে, পশ্বাদির রিক অনুভবের বশবর্তী হইয়া এরূপ আ- , শ্চর্য বিজ্ঞান-সঙ্গত আকারে মধুকোষ নিৰ্ম্মাণ । ংস্কার-শক্তি পরিমিত ক্ষেত্রেই আবদ্ধ । উপরে দুইটি তত্ত্ব নিৰ্দ্ধারিত হইল—(১) সংস্কার বিবেকাত্মক নহে এবং (২) সংস্কার পরিমিত বিষয়-ক্ষেত্রেই আবদ্ধ । কেবল নৈসর্গিক সংস্কারের প্রভাবে কুকুর । কিন্তু মনুষ্য-জ্ঞানের প্রকৃতি এরূপ নহে যে, তাহা কোনো পরিমিত বিষয়ে সিদ্ধি লাভ করিয়া আপনাকে কৃতকৃতাৰ্থ মনে করিতে পারে। এস্থলে কেহ যেন ভুল না বোঝেন, এরূপ না বোঝেন যে, নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে বদ্ধ না থাকিয়া শুধু কেবল অনিদ্দেশ্য বিষয় (গণিতের x ) হাতড়িয়া বেড়ানোই মনুষ্য-জ্ঞানের একমাত্র কার্য্য। '
