পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼSb~ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

  • 帶頓,s @情

-- তাহা নহে ;–কথাটি শুধু এই যে, মনুষ্য যখন যে কার্য্যে সর্বাপেক্ষ অধিক আগ্রহের সহিত প্রবৃত্ত হয়, তখন সে কেবল । সেই কার্য্যে সিদ্ধি লাভ করিয়াই ক্ষান্ত থাকে না, কিন্তু তাহার সঙ্গে সঙ্গে তজ্জাতীয় আর আর কার্যেও পটুতা লাভ করে। বাবুই পাখী বাসা নিৰ্ম্মাণ করে—বাসাই নিৰ্ম্মাণ করে, তাহার সঙ্গে সঙ্গে আর কোনো কার্য্যেই পটুতা লাভ করে না ; কিন্তু মনুষ্যের মধ্যে এইরূপ দেখা যায় । যে, যে ব্যক্তি ভাল করির কুটার নির্মাণ । শিক্ষা করে, সে ব্যক্তি তাহার সঙ্গে সঙ্গে । অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণের জন্য প্রস্তুত হইতে থাকে ; যে ব্যক্তি ভাল করিয়া জেলে ডিঙ্গি নিৰ্ম্মাণ করে, সে ব্যক্তি জাহাজ । নিৰ্ম্মাণের সামর্থ-লাভে এক ধাপ অগ্র র । হয় । ইহার কারণ শুদ্ধ কেবল এই যে, কোনো পরিমিত কার্য্যে সিদ্ধি-লাভ মনুষ্যের চরম লক্ষ্য হইতে পারে না—সিদ্ধির উপরেও সিদ্ধি আছে—তাহার উপরেও সিদ্ধি আছে । সেই অনন্ত সিদ্ধির পথ উন্মুক্ত রাখিয়া—এবং সেই অনন্ত সিদ্ধির সহিত উপস্থিত সিদ্ধির যোগ রক্ষা করিয়া —মনুষ্য যে কোনো কাৰ্য্য সাধন করে, তাহাতে শুদ্ধ কেবল সেই কার্য্যেই পটুতা লাভ করে না, কিন্তু অনন্ত উন্নতির জন্য যোগ্যতা লাভ করে । পরিমিত বিষয়ের প্রতি এবং পরিমিত সিদ্ধির প্রতি অযোগ্য পরিমাণে আসক্তিই অনন্ত উন্নতি-পথের প্রতিবন্ধক । কিন্তু মনুষ্য যদি সেই প্রতি- : ছিলেন । বন্ধক অতিক্রম না করিবে—তবে তাহার সংযম-শক্তি কিসের জন্য ? অতঃপর মনু- ক্ৰী স্যের সংযম শক্তি এবং ইতর জীবের সংস্বার শক্তি এদুয়ের মধ্যে কতখানি প্রভেদ তাহ সবিস্তরে পর্য্যালোচিত হইবে। [শ্ৰীদ্বি ব্ৰহ্মপূজা। যদিও অামাদের দেশ এখন নানা প্রকার কুসংস্কারজালে জড়িত, জ্ঞানের স্বাধীন চর্চ। নাই, নীতির পূর্ণ বিকাশ নাই, এবং জ্ঞানের সঙ্গে ভাবের সামঞ্জস্য নাই, তথাপি একদিন এমন গিয়াছে যে দিন আমাদের দেশের ধৰ্ম্মপরায়ণ ঋষিরা জ্ঞানের অগম্য, ভাবের অতীত অনন্ত ঈশ্বরকে হস্তমিল কবৎ দর্শন করিয়াছেন । সে দিন অনেক দিনের কথা, স্থতরাং সে কথা অনেকেই ভুলিয়া গিয়াছেন । এখন আমাদিগকে আবার ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মোপাসনার বিষয় অালোচনা করিবার জন্য চেষ্টা করিতে হইতেছে । অন্টপঞ্চাশ ৎ বৎসর তাতীত হইল, তম সাচ্ছন্ন ভারতে মচালু রাজ রামমোহন রায় ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মোপাসনা প্রচারার্থ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ব্রহ্মজ্ঞান সম্বন্ধে নানাবিধ শাস্ত্র সমালোচনা করিয়া ব্রহ্ম-জ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপন্ন করিয়া যান। তৎপর পূজ্যপাদ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় বাক্যে, জীবনে ও অনুষ্ঠানে ব্রহ্ম-উপাসনার জ্বলন্ত চিত্র ও জীবন্ত দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিয়াছেন। অনেকেই মনে করিতে পারেন, ব্ৰহ্মজ্ঞান ও ব্ৰহ্ম-উপাসনা, এই দুইটী বিষয় স্বতন্ত্ররূপে উল্লিখিত হইল কেন ? বাস্তব পক্ষে ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্ম-উপাসনা, দুইটী স্বতন্ত্র বস্তু । প্রাচীন ঋষিদের মধ্যে দুই শ্রেণীর লোক এক শ্রেণীর লোকেরা ব্ৰহ্মজ্ঞানী, অপর শ্রেণী ব্রহ্ম-উপাসক। র্যাহারা ব্রহ্মজ্ঞানী ছিলেন, তাহারা বেদবিহিত যাগ যজ্ঞাদি করিতেন, অথচ ব্রহ্মজ্ঞানকে শ্রেষ্ঠতর জ্ঞান বলিয়া, ব্রহ্ম-বি ক্রমশঃ { দ্যাকে শ্রেষ্ঠ বিদ্যা বলিয়া ব্যাখ্যা করি