পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कालंक to Y তেন । আর র্যাহারা ব্রহ্ম-উপাসক ছিলেন, র্তাহারা যাগ যজ্ঞকে আসার মনে করিয়া এক মাত্র পরব্রহ্মের উপাসনাতেই কৃতকৃতাৰ্থ হইতেন । প্রথমতঃ ব্রহ্মজ্ঞান ,— |

  • দ্বে বিদ্যে বেদিতব্যে পরা অপর চ ।”

দুইটি জ্ঞাতব্য বিদ্যা আছে, একটি । পর অপরট অপরা। অপর ঋগ্বেদ যজুৰ্ব্বেদ সামবেদ অথৰ্ব্ববেদ ইত্যাদি । যে বিদ্যা দ্বারা ব্রহ্মকে জানা যায় সেই পরা : বিদ্যা অথবা ব্রহ্মজ্ঞান । প্রাচীন ঋষির ব্রহ্মনির্ণয়ের দুইটি লক্ষণ নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন । তটস্থ লক্ষণ ও স্বরূপ লক্ষণ । তটস্থ লক্ষণ এই— । অস্থূলমনম্বহ্রস্ব ইত্যাদি । অর্থাৎ তিনি । স্থল নন, তিনি হ্রস্ব নন, তিনি সূক্ষ নন, । ইত্যাদি নেতি নেতি অর্থাৎ ইহা ব্ৰহ্ম নয়, ইহ ব্ৰহ্ম নয়, এই জ্ঞান বা এই লক্ষণকে । তটস্থ লক্ষণ বলিয়া গিয়াছেন । এই তটস্থ । লক্ষণকেই ব্রহ্মজ্ঞান বলা যাইতে পারে । , কোন সমুদ্রের তটে দণ্ডায়মান হইয়া সমুদ্র । সম্বন্ধে যে জ্ঞান জন্মে, সেই জ্ঞান যেমন । সমুদ্রের স্বরূপ উপলব্ধি করিতে অক্ষম, অর্থাৎ সমুদ্র শীতল কি না, সমুদ্র লবণাক্ত । কি না, ইত্যাদির অনুভূতি অসম্ভব, সেইরূপ তটস্থ লক্ষণ দ্বারা ব্রহ্মের অনুভূতি ও অসম্ভব । ‘ব্রহ্মজ্ঞান’ বলিতে গেলে শুদ্ধ যে পূৰ্ব্বোক্ত কয়টা কথা বুঝাইবে, তাহাও নয় । ব্রহ্মবাদীরা বলেন— “যতে বা ইমানি ভূতানি জায়ন্তে যেন জাতানি औदखि श९ यशखाडिनशदिनखि छन् उक्र उत्रिजि- | জ্ঞাসস্ব ।” র্যাহা হইতে ভূত সকল অর্থাৎ প্রাণী । সকল উৎপন্ন হইয়াছে, র্যাহাতে স্থিতি । করিতেছে, ও র্যাহাতে প্রবেশ করিবে, ' তিনিই ব্রহ্ম । তাহাকে জানিবার জন্য | | উৎপন্ন হওয়া অসম্ভব। প্রাচীন ব্রহ্ম চেষ্টা কর । ব্ৰহ্মপূজা বলিয়া স্বীকার করিতেন । $వ “স তপোতপাত স তপস্তপ্ত ইদং সৰ্ব্বমস্থজত যদিদং কিঞ্চ ।” তিনি ইচ্ছা করিলেন, ইচ্ছা করিয়া এই সকল স্থষ্টি করিলেন, যাহা কিছু তোমরা দেখিতেছ। e “ইদং বা অগ্ৰে নৈব কিঞ্চিদাসীৎ । সদেব সৌম্যে দমগ্রআসৗৎ একমেবাদ্বিতীয়ম।” এই জগৎ পুর্বে ছিল না । হে সৌম্য! স্বষ্টির পূর্বে এক মাক্স সত্যই ছিলেন । তিনি এক ও অদ্বিতীয় । উপনিষদের এই সকল শ্লোক দ্বারা প্রতিপন্ন হইতেছে যে, প্রাচীন ব্রহ্মবাদী বা ব্রহ্মজ্ঞানীরা ঈশ্বরকে সৰ্ব্বমূলাধার, স্বষ্টিকৰ্ত্তা, অদ্বিতীয় এবং নিত্য-আশ্রয় তিনি জড় পদার্থ নহেন, নিত্য ও চেতন, ইহাতেও র্তাহাদের একান্ত প্রতীতি ছিল । অনেকেই জিজ্ঞাসা করিবেন যে, ব্রহ্মজ্ঞানীরা যে যজ্ঞাদি করিতেন, তাহার প্রমাণ কি ? প্রমাণ অনেক আছে। তাহার মধ্যে বৃহদারণ্যক উপনিষদে দেখিতে পাওয়া যায়— *জনকে বৈ বৈদেহে বহুদক্ষিণেন যজ্ঞেন ইজে তত্ৰহ কুর পাঞ্চালানাং ব্রাহ্মণাঅভিসমেতাং বভুবুঃ ।” বিদেহাধিপতি জনক বহুদক্ষিণাযুক্ত একটা যজ্ঞ করিয়াছিলেন। তাহাতে কুরু পঞ্চালদেশীয় ব্রাহ্মণগণ উপস্থিত ছিলেন । জনক একজন ব্রহ্মজ্ঞানী ছিলেন, তথাপি তিনি যজ্ঞাদি ক্রিয়া কাণ্ডের অনুষ্ঠান করিতেন । সুতরাংই আমরা বলিতে বাধ্য হইব, ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্ম-উপাসনা স্বতন্ত্র পদার্থ। জনকাদি ঋষির ব্রহ্মজ্ঞানী ছিলেন, কিন্তু ব্ৰহ্ম-উপাসক ছিলেন না । নেতি নেতি করিয়া আমরা ইতিতে উপস্থিত হইতে পারি। ‘নেতি’ এই কথার মূলে বিশ্বাস আছে। বিশ্বাসকে পরিত্যাগ করিয়া নেতি নেতি ভাবের