পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২

  • २ कछ. २ छtन

ജ്ങു o | নির্দেশ করিলে উণ্ট আরও যুষ্মৎ প্রত্যয়ের বিষয় দেহাদি হইতে তাহার পার্থক্য রক্ষণ করা হয় এবং ইহারই নাম বিবেক ; আত্মাকে দেহাদির সহিত জড়াইয়া ফেলার নামই অবিবেক । আমরা তাই বলিয়া তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা η μη আলোচনা করিবার ইচ্ছা রহিল । এখানে কেবল আমাদের বক্তব্যের স্বল্প মাত্র আভাস দিয়াই ক্ষান্ত থাকিতেছি । লোকে কথায় বলে যে “তেলে জলে কিছুতেই মিশ খায় না”—তেলে জলে ছিলাম এবং এখনও বলিতেছি যে “আত্মা | অস্থাৎ প্রত্যয়ের বিময়” শঙ্করাচার্য্যের এই গোড়ার কথাটীকে অবিদ্যাজনিত বলিলে তাহার অধ্যাস-বাদের পাকা ভিভিমূল কাচিয়া যায় । আমার প্রতিবাদিরা বলিতেছেন “না—তাহা কাচিয়া যায় না ; আস্বাকে অস্মাৎ প্রত্যয়ের বিসয় বলিলেই যথেষ্ট খিচুড়ি পাকানো হয়—যুন্মৎ । প্রত্যয়ের বিষয় দেহাদির সহিত তাহাকে । জড়াইবার কোন আবশ্যকতা নাই (শুধু । চালেই খিচুড়ি পাকানো হইতে পারে ডা’লের কোন প্রয়োজন নাই),” শঙ্করাচার্য্য চক্ষে তাঙ্গুলি দিয়া দেখাইতেছেন যে আত্মা এবং দেহাদি এ দুইকে জড়াইয়া একীভূত করিবার নামই খিচুড়ি পাকানে। এখন, শঙ্করাচাদের কথা শুনিব – না ইহাদের কথা শুনিব ? বিপিন বাবু শঙ্করাচার্য্যের নিম্ন-লিখিত প্রসিদ্ধ বচনটি ও উদ্ধত করিতে ক্রটি করেন নাই তথচ ন পুণ্যং ন পাপং ন সোপ্যং ন দুঃখং ! ৮ নগ্নঃ ন তীৰ্থং ন বেদ ন ফু জ্ঞাঃ । অহং ভোজনং নৈব ভোজ্যং ন ভোক্ত । চিদানন্দ রূপঃ শিবোস্তং শিবোহং । এই শ্লোকটির অর্থ প্রকৃত-রূপে হৃদয়ঙ্গম করিতে হইলে পরমাত্মার সহিত জীবাত্মার প্রভেদই বা কোনখানে এবং অভেদই বা কোনখানে তাহাই সৰ্ব্বাগ্রে বিচাৰ্য্য । বিষয়টি অতি গুরুতর, বর্তমান প্রস্তাবে তাহার স্থান-সঙ্কলন হওয়া স্তক- । | | এত যে প্রভেদ, তথাপি, একটা কাচের পাত্রে তেল ও জল রাখিলে উভয়ের সন্ধিস্থলে একটী চক্রাকৃতি অভেদ-স্থান লক্ষিত হয় ; সেই অভেদ-স্থানটিকে তৈলরেখা ও বলা যাইতে পারে—জল-রেখা ও বলা যাইতে পারে । জ্ঞান এবং অজ্ঞানের মধ্যে এত যে প্রভেদ, তথাপি উভয়ের অভেদ-স্থান আছে — যেমন স্যুপ্তি । স্মৃপ্তির যদি জ্ঞানের সহিত তাদলেই কোন সংস্রব না থাকিত – স্মৃপ্তি যদি একেবারেই অজ্ঞেয় হইত—তবে তাহার সম্বন্ধে আমরা এ কথা ও বলিতে পারিতাম না মে ‘আমি সুখে নিদ্র। গিয়াছিলাম’ | সুবৃপ্তির সহিত সে-তাশে জ্ঞানের সন্ত্রব তাছে সেই অ’ শে স্মৃপ্তির | =4 - حيم صيص– - আভ্যন্তরে অহংরক্তি ও অাছে এবং সেই পারি ও না ; কেননা অংশেই তামরা বলি মে, আমি হুখে নি । গিয়াছিলাম; লেপ্তি মে-তাশে তা জ্ঞানাবস্থা সে অংশে তামরা তাহ৷ বলি না- বলিতে একেবারেই মাহ। জ্ঞান-বহির্ভূত তাহার সম্বন্ধে কথা-বাৰ্ত্ত। কহ অনর্থক বাচালতা ভিন্ন আর কিছুই | নহে । নিদ্রার সময় আমি সত্যসত্যই জ্ঞানে সুখ অনুভব করিয়াছিলাম, তাই আমি স্মরণ করিয়া বলি যে, আমি সুখে নিদ্রা গিয়াছিলাম ; তাহ। যদি না হইত, তবে “আমি সুখে নিদ্রা গিয়াছিলাম” এ কথার কোন অর্থই থাকিত না। এই জন্য বিপিন বাবুর এ কথায় i আমরা সায় দিতে পারি না যে, হ্রযুপ্তি ঠিন, এ জন্য বারান্তরে তাহার রীতিমত | কালে আমাদের অহস্কৃত্তি বিলুপ্ত হয়।