পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S२२ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক २२ कछ, e खांa o- or - - - తా- హెడా এখন বিবেচ্য বিষয় এই যে, আত্মস্থ শব্দের । প্রকৃত অর্থ কি ? জ্ঞান, প্রীতি, ইচ্ছ; এই ৷ কয়টা আমাদের আত্মার প্রধান বৃত্তি । এই বৃত্তিগুলি সততই নানাস্থানে ভ্রমণ করিয়া বেড়ায়। কখন সাধুতাতে, কখন ভাবুকতার মধ্যে, কখন স্বদেশের হিত- । জমের ন্যায় আকাশে আকাশে ভ্রমণ করে। চিন্তায়, কখন বা বহির্বিষয়ক জ্ঞানালোচনায় নিযুক্ত থাকে ! সাধুতাতে মনোবৃত্তি নিৰ্ম্মল হইতে পারে, ভাবুকতাতে ধৰ্ম্মভাব পরিবৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে, স্বদেশের হিত চিন্তাতে হৃদয় প্রশস্ত ও উদার হইতে | পারে, এবং বহির্বিষয়ক জ্ঞান চিন্তায় জ্ঞান- । বৃত্তি বিকাশের সহায়তা করিতে পারে। কিন্তু ইহার কিছুতেই ব্ৰহ্মদর্শন হইতে পারে না । মনোবৃত্তি আত্মস্থ না হইলে মন স্থির হয় না। তুমি যতই কেন ভক্তি শাস্ত্র পাঠ কর না, জ্ঞানের উচ্চ সীমায় উঠনা, প্রেমের নিগৃঢ় তত্ত্ব আলোচনা কর না, ভাবের উচ্ছাসে মত্ত হও না, কিছুতেই । অপরের জ্ঞান দ্বারা পরিপুষ্ট ও পরিবৰ্দ্ধিত তোমার মন স্থির হইবে না, বরং উত্তরোত্তর তোমার মনকে অস্থিরতার মধ্যে নিরন্তর ভ্রমণ করাইবে , অবশেষে কখন হাসাইবে, কখন কাদাইবে, কখনও বা প্রমত্ত করিয়া ভূতলে লুণ্ঠিত করিবে । ইহাতে কি হয় ? ধৰ্ম্মজীবনের উদেশ্য ব্ৰহ্ম-দৰ্শন, যদি ব্রহ্ম-দৰ্শন হইতেই বঞ্চিত হইতে হইল, তবে জীবনকে ধিক্ শত ধিক্‌! অবশ্যই এই কথা বলিতে হইবে যে, ভাবাদির আলোচনার উপকারিতা আছে । তাহা দ্বারা আত্মবৃত্তি বিশুদ্ধ হয়, চিত্ত নিৰ্ম্মল হয়, হৃদয় উদার হয় । উদারতা ধৰ্ম্মজীবনের লক্ষ্য নয়, নিৰ্ম্মলতা অথবা বিশুদ্ধিতাও লক্ষ্য নয়, লক্ষ্য ব্রহ্ম । সেই ব্রহ্মকে দর্শন করিতে হইলে অগত্বাস্থ আমার প্রীতি অপরের নিকট প্রীতি সঞ্চয় । হইতে হইবে । পূর্বেই বলা হইয়াছে জ্ঞান, প্রীতি ও ইচ্ছ। এই তিনটী বৃত্তিকে কিন্তু , আত্মস্থ করিতে হইলে একনিষ্ঠার প্রয়োজন । জ্ঞান একনিষ্ঠ হইবে, প্রীতি একনিষ্ঠ হইবে, ইচ্ছা একনিষ্ঠ হইবে, জ্ঞান, প্রীতি ও ইচ্ছা আত্মনিষ্ঠ হইবে, আত্মা ব্রহ্মনিষ্ঠ হইবে । জ্ঞান অনেক সময় আত্মা হইতে বাহির হইয়া নীড়-ভ্রষ্ট বিহ প্রীতিও আত্মা হইতে বাহির হইয়া মাতৃহীন বালকের ন্যায় অপরের প্রীতি ও দয়া ভিক্ষা করিয়া ঘুরিয়া বেড়ায় । ইচ্ছা আত্মা হইতে বাহির হইয়া দলভ্রষ্ট হস্তীর ন্যায় স্বেচ্ছাচারে প্রবৃত্ত হয় । অনেক সময়েই প্রত্যক্ষ করা গিয়াছে, ইহারা অার সহজে ফিরিতে চাহে না । ইহার প্রধান কারণ এই, আমাদের একনিষ্ঠ জ্ঞান, প্রীতি, ইচ্ছা ও সাত্মাদরের অভাল । মানবাত্মার স্বভাব এই যে, একের জ্ঞান অপরের জ্ঞান চায়, একের প্রীতি অপরের প্রীতি চায়, একের ইচ্ছা অপরের ইচ্ছা চায় । একের জ্ঞান হইয়। সেই এককে চায় ; একের প্রীতি অপরের প্রীতি দ্বারা পরিপুষ্ট ও পরিবৰ্দ্ধিত হইয়। সেই প্রীতির দিকে ধাবিত হয়, একের ইচ্ছা অপরের ইচ্ছা দ্বারা উত্তেজিত হইয়। সেই ইচ্ছাময়ের ইচ্ছাতেই যুক্ত হইতে চায় । তাহার জন্যই জ্ঞানীর অাদর, প্রেমিকের সম্মান, ও স্বাধীন ইচ্ছার প্রশংসা । কিন্তু এইটা সৰ্ব্বদা দৃষ্টি রাখিতে হইবে, আমার জ্ঞান যেন অপরের জ্ঞানে মিশিয়া না যায়, আমার প্রীতি যেন অপরের প্রীতিতে মিশিয়া না যায়, আমার ইচ্ছা যেন অপরের ইচ্ছাতে মিশিয়া না যায় । আমার জ্ঞান অপরের নিকট জ্ঞান শিক্ষা করিয়া আত্মাতে ফিরিয়া আসিবে, করিয়া অায়াতে ফিরিয়া আসিবে, আমার