পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S$8. তত্ত্ববোধিনী পত্রিক १२ कब्र, ७ छाण প্রিয়কাৰ্য্য সাধনে তৎপর রহিব,কিন্তু আমরা নিকৃষ্ট নশ্বর সুখে নশ্বর আমোদে লিপ্ত থাকিয় তাহাতেই ঐ সকল উৎকৃষ্ট বৃত্তির সার্থকতা সম্পাদনে প্রয়াসী হই, মায়। মমতার দুশেছদ্য বন্ধনে আপনাকে বিজড়িত করিয়া ফেলি। । আমরা ক্ষুদ্র জীব, আমারদের আশা, ভরসা, আমোদ প্রমোদ, স্থখ সম্পত্তি সকলকেই আমরা ক্ষুদ্র করিতে চাই ; আমরা যে অনন্ত ধামের যাত্রী, আমরা যে অপার অনন্ত শাশ্বত সুখ উপভোগ করিবার অধিকারী তাহা সম্যক ধারণা করিবার সময় আমারদের ক্ষুদ্রতা আসিয়া বাধা দিতে থাকে"। এই দীন হীন ক্ষীণ মলিন দেহের । মধ্যে শমীতরুর ন্যায় যে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ । মলিন, বাহ্যজগতে চাহিয়া ত পরিবর্তনশীল বিদ্যমান রহিয়াছে, তাহা আমরা সহজে অনুভব করিতে পারি না । ব্রহ্মজ্ঞানকে হৃদয়ে উদ্দীপ্ত করিতে হইলে যেমন জড় জগতের রচনা-চাতুরীর মধ্যে র্তাহার হস্ত সন্দর্শন করা আবশ্যক, তেমনি আবার আত্মার মধ্যে সকল আবরণ ভেদ করিয়া, পার্থিব সুখ সম্পত্তির অসারতা অনুভব করিয়া তাহাকে উপলব্ধি করা যার পর নাই প্রয়োজনীয় । শিশু ভূমিষ্ঠ হইলে ক্ৰন্দন করিয়া উঠে, এই ক্ৰন্দনের সঙ্গে সঙ্গে শ্বাস প্রশ্বাস ক্রিয়ার প্রথম সূচনা হইলেও এই যে ক্ৰন্দন ইহা তামারদের বাহিরের অভাবের—পাহির হইতে সাহায্য লাভের ইচ্ছার পরিচায়ক । যতদিন না শিশু আপনার অভাব আপনি । ব তক পরিমাণে মোচন করিতে শিক্ষা : করে, ক্ৰন্দন ততদিন তাহার স্বাভাবিক ; বকে উজ্জ্বল করিতে হইলে, অধ্যয়ন আব সঙ্গী । মনুষ্য ভূমিষ্ঠ হইবার পর হইতে | কিছুকাল শুদ্ধ বাহিরের বস্তুর সঙ্গে তাহার যোগ, কেবল মাত্র বাহিরের বস্তু দিয়া নিজ অভাব মোচন করিবার জন্য সে বিব্রত। ক্রমে জ্ঞান স্ফ ਚਿੰ নাgাইলে অন্তরের মধ্যে যে একটা সুগভীর অভাব আছে, তাহা সে বুঝে না । যতদিন শিশু পরের মুখাপেক্ষী, আপনার হস্ত পদ সত্বেও নিজে । যারপর নাই দুর্বল, ক্ৰন্দনের বলে সে আপনার অভাব বিমোচন করিয়া লয়। ক্রমে শরীরে বলাধান হইলে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কৰ্ম্মিষ্ঠ হইলে পরকীয় সাহায্য তাহার আর আবশ্যক হয় না, নিজ যত্ব চেষ্টা উদ্যম ও পরিশ্রমে ক্রমে সে স্বাধীন হইয়া উঠে । ক্রমে অন্তরের উন্নত ভাব মনে জাগরূক হইতে থাকে,যে অভিপ্রায় ও উদ্দেশ্য সাধনে তাহার এখানে আগমন, কথঞ্চিৎ তাহা তাহার সম্মুখে দীপ্তি পায় । অন্তরে ঈশ্বরের অস্তিত্বের ভাব অঙ্কিত দেখে, কিন্তু তাহা ও নৈসর্গিক ব্যাপার নিরীক্ষণ করিয়া, চন্দ্র সূর্য্যের একই রূপ উদয়াস্ত দেখিয়া নিত্য পরিচয় বশত মধ্যে ঈশ্বরকে ধরিতে পারে না । স্বষ্টি তাহার কার্য্যের মধ্যে অনুসূৰ্যত, প্রাকৃতিক ঘটনার মধ্যে চির নিহিত অপরিবর্তনশীল প্রাকৃতিক নিয়মই তাহার চিন্তার বিময় হয় । নিয়ম হইতে নেতার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে মন সহজে স্বাকৃত হয় না । হুতরাং ঈশ্বরকে দর্শন করিবার পক্ষে বাহ্য জগত তাহার নিকটে মলিন দপণ বলিয়া বোধ হয় । ঈশ্বরের পথের পথিক হইতে হইলে, হৃদয়ের জড়তা অপ সারিত করিতে গেলে প্রথমতঃ নিম্নলিখিত উপায় পরম্পরায় অগ্রসর হইতে হইবে । ১ । অধ্যয়ন । অন্তনিহিত ঈশ্বরের ভা শ্যক। অধ্যয়ন দুই প্রকার, শাস্ত্র পাঠ ও বিজ্ঞান পাঠ ৷ শাস্ত্রে পুণ্যাত্মা সাধুদিগের হৃদয়ের ভাব বিকশিত রহিয়াছে । শ্রদ্ধাভক্তি পরিপূরিত র্তাহারদের আন্তরিক কম