পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

د ده د چRér * úm= নীয় ভাব অঙ্কিত রহিয়াছে । ঈশ্বরের ংমোহন মূর্তি সন্দর্শন করিয়া তাহার পৃথিবীর শোক তাপ জ্বালা যন্ত্রণার হস্ত হইতে অব্যাহতি পাইয়া যে স্বগীয় সুখে সুখী হইয়াছিলেন, তাহা জ্বলন্ত অক্ষরে কেন কল্পনাজড়িত বৃথা জল্পনাতে পূর্ণ হউক না, তাহার মধ্যে তথাপি এত অমৃত রস নিহিত রহিয়াছে, যে তাহাতে দীপ্ত শীর সুশীতল হইতে পারে ; হৃদয়ে বৈরাগ্যের সঞ্চার হইতে পারে । এই যে শাস্ত্র পাঠ ইহাতে মনোযোগ সহকারে একান্তমনে অগ্রসর হইতে পারিলে, হৃদয়গ্রন্থি উন্মুক্ত হইয়া যায়, সকল সংশয় তিরোহিত হইয় পড়ে । ধৰ্ম্ম গ্রন্থ নিৰ্ম্মল হৃদয়ের ছবি, আপনার হৃদয়কে পরিচ্ছন্ন করিলে, উহাতেই শাস্ত্রের কঠিন বিষয়ের মীমাংসা দেখি । ধৰ্ম্ম ও ঈশ্বর কিছুই নহে এই মনে করিয়া শাস্ত্রের ও ধৰ্ম্ম গ্রন্থের উপর প্রথম হইতে বীতরাগ হইলে হৃদয় উত্তরোত্তর লৌহসম কঠিন হইয়া উঠে । শাস্ত্র পাঠে ধাৰ্ম্মিক গণের আন্তরিক সাধুভাব নিঃশব্দে আমার- | দের মনে সংক্রমিত হয় । ঈশ্বরকে দশন করিবার দুইটি দর্পণ, এক অন্তর্দেশ, অন্য বহির্জগত । অন্তরে র্যাহাকে দেখি বাছ জগতে র্তাহার উজ্জ্বলতম সত্তার বিকাশ দেখি, শাস্ত্র বা সাধুজীবন পাঠে ধাৰ্ম্মিকগণের অন্তরের ছবি দেখি, ঈশ্বর যে আমারদের প্রত্যেকের নিজস্ব ধন তাহা বুঝিতে পারি। বিজ্ঞান পাঠে প্রকৃতিপটে ঈশ্বরের ভূয়সী ক্ষমতা অনুপম রচনা চাতুরী, তাহার মঙ্গল ভা:বর সুন্দর পরি চয় প্রাপ্ত হই । বিজ্ঞান প্রকৃতির মৰ্ম্মভেদ করিয়া পদার্থ নিচয়ের গঠন প্রণালী, রচনা কৌশল, উহারদের উপকারিতা, ঈশ্বরের পথ । ১২৫ حيت يصعد خميسكي صك= কাহা হইতে ঈশ্বরের কি शगशन नका সংসিদ্ধ হইতেছে, তাহার পরিচয় দেয়। বিজ্ঞান পাঠে এক নরশরীরের অনুপম রচনা চাতুৰ্য্য দেখিয়া ঘোর পাপীরও হৃদয়কে দ্রবীভূত হইতে দেখা গিয়াছে। শাস্ত্রে বিদ্যমান রহিয়াছে । ধৰ্ম্মগ্রন্থ যতই । | | শাস্ত্র পাঠ আন্তরিক ধৰ্ম্মভাব সকলকে জাগ্রত করে, ঈশ্বরের দিকে উন্নমিত করে, বিজ্ঞান পাঠ অনন্ত অনাদি ঈশ্বরের উপর বিশ্বাসকে দৃঢ় করে, তাহার স্বরূপ সম্বন্ধে আমাদিগের সকল সংশয় তিরোহিত ক রিয়া দেয় । কিন্তু কোন কোন বিজ্ঞান যেরূপ কঠিন ও যন্ত্রসাপেক্ষ তাহাতে ইহা সকলের ভাগ্যে ঘটিয়া উঠে না । যিনি সহজে ঈশ্বরকে আত্মস্থ করিতে পারেন, তাহার পক্ষে কি শাস্ত্র কি বিজ্ঞান কিছুরই আবশ্যক নাই । ২ । আলোচনা ও অধ্যাপন | ঈশ্বর বিষয়ক তত্ত্বসমূহের আলোচনায় এত প্রীতি জন্মে, ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে জটিল বিষয় সকলের এমন সুন্দর অচিন্তিতপূর্ব মীমাংসা আপন৷ হইতেই মনে স্থান পায়, ঈশ্বরের মঙ্গলভাব সম্বন্ধে এমন শত সহস্ৰ জাজ্বল্যতর প্রমাণ সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হয়, যে এ রসের রসা স্বাদক ভিন্ন অপর ব্যক্তিকে তাহ। বুঝাইবার সম্ভাবনা নাই। সত্যস্বরূপ ঈশ্বরের আলোচনায় এত নূতন সত্য উপাজ্জিত হয়, যে যখন আমরা তাহা অামারদের ক্ষুদ্র জ্ঞান বুদ্ধির সহিত তুলনা করি তখন আমরা নিজেই স্তম্ভিত হইয়া যাই । ঐশ্বরিক তত্ত্ব আলোচনায় হৃদয় প্রশস্ত হয়, ও ভক্তিপ্রবণ হইয়। উঠে । উপসন্ন ও প্রশান্তচিন্তু শিষ্যকে ঈশ্বর বিষয়ক উপদেশ প্রদান করিবার কালে বা তাহার সহিত আলোচনা সময়ে অথবা নিজ জীবনে ঈশ্বরের করুণার পরিচয় দিবার সময়ে মন এরূপ উদার ও উদাস ভাব ধারণ করে যে