পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৩ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

  • रे कw, e-डांत्र

তাহার আর অন্যত্র তুলনা নাই । ঘোর অজ্ঞানান্ধ সময়ে নিরক্ষর সাধু ধৰ্ম্মাত্মা বা ধৰ্ম্ম সংস্থাপকগণ ধর্ম ও ঈশ্বর সম্বন্ধে যে সকল সত্য আলোচনায় লাভ করিয়াছিলেন, বা শিষ্যগণের সহিত কথোপকথন সময়ে নিজে অর্জন করিয়াছিলেন এ জ্ঞানোন্নত সময়েও আমরা তাহা দেখিয়া স্তম্ভিত হইয়া পড়ি। সূৰ্য্যকিরণের ন্যায় ঈশ্বর ধনী দরিদ্র সকলেরই নিজস্ব সম্পত্তি বলিয়া মনুষ্য সাধন তপস্যাবলে সমধিক অগ্রসর হইলে তাহার বিষয়ে | | | একই জ্ঞান উপার্জন করে, বিভিন্ন দেশীয় হইলেও তাহারদের মধ্যে ধৰ্ম্ম ও ঈশ্বর সম্বন্ধে সবিশেষ মতদ্বৈধ দৃষ্ট হয় না । ৩ । ভ্রমণ । চিরজীবন একস্থানে তাবস্থান, প্রকৃতির একই রূপ সন্দর্শন মদে জড়তা আনয়ন করে । স্বষ্টির মধ্যে যে তিনি ওতপ্রোত হইয়া রহিয়াছেন তাহ আমাদিগকে বুঝিতে দেয় না। ভ্রমণই ইহার প্রকৃত ঔষধ। ভ্রমণে স্থষ্টির বিচিত্রত দেখিয়া মনের অসাড়তা চূর্ণ হয়। স্বাক্টর অনন্তরূপ দেখিয়া আপনার ক্ষুদ্রত ও হীনতা অনুভূত হয় । সাধুসঙ্গজনগণের সহিত সাক্ষাৎকার লাভ করিয়া তাহারদিগের সহিত ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে আলাপনে, তাকারদের নিঃস্বার্থ ভাব ও সংযম দর্শনে আপনার মনে বৈরাগ্য উদ্দীপ্ত হয় ও ঈশ্বরের প্রতি দৃষ্টি পড়ে। ভ্রমণে দুইটি ফল, ১ম মনের অসাড়তা অপগমন, ২য় সাধুগণের সহিত সহবাস লাভ । ইহা অপেক্ষা সাধা রণ মনুষ্যহৃদয়ের সাধুভাবের উদ্দীপক আর | কি হইতে পারে ? ৪ । শ্রবণ । যেখানে ঈশ্বরের সুমধূর নাম পরিকীৰ্ত্তিত হয়, যেখানে ভক্ত সাধুগণ র্তাহার প্রেমে নিমগ্ন হন, যেখানে প্রেমের তরঙ্গ ভক্তির _o বহমান হয়, সেখানে তাহার নাম গান শ্রবণ করিতে গেলে আপনার পাষগুত৷ বিচূর্ণিত হইয়া যায়। উপরোক্ত কয়েকটি উপায়ের মধ্যে ইহাতে সহজেই আমরা সিদ্ধ কাম হইতে পারি। এইরূপ সাধারণ উপাসনায় বা নাম কীৰ্ত্তনে যোগদানে অামরা অনেকগুলি ফললা ভ করি । প্রথমতঃ ইহাতে আমারদের হৃদয়ের জড়তা অপসারিত হয়, ধৰ্ম্মভাব দীপ্তি পায় । দ্বিতীয়তঃ এইরূপ সাধুবিষয়ে উৎসাহ দেখিয়া আমারদের বন্ধুবান্ধবগণের মনে কৌতুহল বৃত্তি জাগরূক হয়, তাহারা ও আমারদের সদৃষ্টান্তে পরিচালিত হন। ধৰ্ম্মের আবার এমন এক মোহিনী ক্ষমত। যে ইহায় সংস্পর্শে আগমন করিয়া হৃদয় একটু আর্দ্র হইলেই, তার কার সাধা উহাকে তাহ। হইতে বিচু্যত করে । তখন মনের এই ভাব হয় “ধনমান চাহি না তোমা হতে, দাও এই অধিকার যেন সহচর অনুচর থাকি তোমারি” । তৃতীয়তঃ আমাদিগকে সাধারণ উপাসনায় যোগদানের পক্ষপাতী দেখিলে আমারদের স্নেহ ও প্রেম অধিকতররূপে আকৃষ্ট করিবার জন্য সন্তান সন্ততি বা অবশ্যপোষ্য অন্যান্য পরিজনবর্গ ধৰ্ম্মশীল হইতে চেষ্টা করেন, অবসর পাইলেই তাহার প্রসঙ্গে কালাতিপাত করিতে সচেষ্টিত হন, ও তাহার নামগান শ্রবণের কোন অবসর বিফলে যাইতে দেন না। পৃথিবীর সকল নর নারী এইরূপে আপনার দৃষ্টান্তে নিঃশব্দে ধৰ্ম্মপ্রচার করিলে অার নাস্তিকতার রাজ্য এখানে স্থান পায় না। চারিদিক হইতেই প্রেমানন্দ ও যোগানন্দের উৎস উৎসারিত হইতে থাকে । ইহা অপেক্ষা ধৰ্ম্ম-প্রচারের আর সহজ উপায় আবিষ্কৃত হইতে পারে না । স্রোত সতেজে { ইহা অপেক্ষ তাহাকে পাইবার মৃগম পথ