পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ജ== حد سمي - আর পরিলক্ষিত হয় না। ইহা হইতে যে ফল লাভ হয় সে ফল আন্তঃম্পশাঁ । ১২৭ SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS লেখা নাই । অম্লত্যাগ করিয়া জলপান করিতেছ, মরিয়া যাইবে, বাচিবে না; তুমি ধৰ্ম্ম প্রচারকের বক্ততার স্রোত বা তর্ক । আহার কর তো আমরা অন্ন আনিয়া তরঙ্গ তাহার শতাংশের একাংশ ফল দিতে ; দিই কিম্বা আমাদের বাটীতে চল । পারে না । যে ধৰ্ম্ম আমরা পরিবারের | শিবনারায়ণ তাহাতে সম্মত হইলেন না । মধ্যগত হইয়। শিক্ষা করি, তাহতে আমরা | এই ঘটনার কিছু দিন পরেই দেবিদাস সহজে অনুপ্রাণিত হই । প্রচারে প্রত্যেক অভিভাবকই ধৰ্ম্মপ্রচারক, প্রত্যেক পরিবারই তাহার পক্ষে এক একটি ক্ষুদ্র সমাজ হইয়া পড়ে । উল্লিখিত কয়েকটি পথ অবলম্বন করিয়! : করিয়া দেখিলেন যে গ্রামে গ্রামে ঘুরিলে ও সামান্য ব্যক্তির কাছে গেলে রাজা অগ্রসর হইতে পারিলে আমারদের মনে ঈশ্বরের ভাব দীপ্তি পাইতে থাকে, এইরূপ উপায়ে অন্তরের মলিনতা বিদূরিত হইলে সাধুভাব উজ্জ্বলতার সহিত স্মৃত্তি পাইতে । থাকে । ইহাই ঈশ্বরকে অন্তরে বাহিরে দেদীপ্যমান দেখিবার পথ । পথিক হও, তবে তাহাকে দেখিয়া কৃতার্থমন্য হইবে, ও পরে তাহার সহিত যোগ যুক্ত হইয়া মনুষ্যজন্ম সকল করিয়া দেবপদবীতে আরোহণ করিতে পারিবে । পরমহংস শিবনারায়ণ দেবের জীবন চরিত্র। ( পূর্বের অনুবৃত্তি ) এই ঘটনার ১০ । ১২ দিন পরে ক্রমে ক্রমে অনেক লোক শুনিলেন যে, শিবনারায়ণ অtহার করেন না, কেবল জল পান করিয়া প্রাণ ধারণ করিতেছেন ; যে বাবুর নিকট শিবনারায়ণ চাকর ছিলেন সেই দেবিদাস বাৰু এবং কয়েকজন পণ্ডিত আসিয়া শিবনারায়ণকে বুঝাইতে লাগিলেন যে, অন্ন পরিত্যাগ করিয়া এমন ঘোর তপস্যার প্রয়োজন কি ? শাস্ত্রে তো এমন কিছুই এইরূপ ধৰ্ম্ম- | এই পথের । বাবুর মৃত্যু হওয়ানে সকলে মনে করিতে লাগিল শিবনারায়ণ অভিচার করিযা দেবিদাস বাবুকে মারিয়াছে। শিবনারায়ণ দেব তখন দেখিলেন এই স্থান পরিত্যাগ করাই শ্রেয় এবং আপনার মনে বিচার প্রজাদের আধ্যাত্মিক অথবা ব্যবহার কার্য্যের বিষয় কোন উপকার হবে না। কোন সমর্থ রাজা অথবা পণ্ডিত ব্যক্তিকে সৎউপদেশ দিলে উপকার হইতে পারে কিন্তু আজ কালকার রাজা পণ্ডিত ও মূখ সকলের মত একই রকম হইয়াছে। সত্য কথা ও সৎপথ বলিলে উহাদের অসৎ বিবেচনা হয় । সতের দিকে প্রবৃত্তি যায় না । যাহা হউক যখন অন্তর্যামী অামাকে আজ্ঞা দিয়াছেন তখন প্রথমে আমি কাশির রাজাকে উত্তমরূপে বুঝাই। র্তাহার বশেতে অনেক পণ্ডিতগণ আছেন । র্তাহাদিগকে ডাকাইয়া উত্তমরূপে বুঝাইবার জন্য মনে মনে স্থির করিয়া শিবনারায়ণ কাশির রাজার কাছে রামনগরে রাজবাটির দ্বারেতে গেলেন। র্তাহার গায়েতে একটী মাত্র ছেড়া চাদর ছিল ও তিনি ধূলায় পড়িয়া থাকি তন বলিয়া তাহার গায়ে ধূলি ও চাদর জীর্ণ ও মলিন ছিল । র্তাহার পাগলের মতন বেশ হইয়াছিল । তিনি দ্বারবানকে বলিলেন যে রাজাকে খপর দাও এবং বলি ও একজন মনুষ্য আসিয়াছেন তিনি আপনার সহিত সাক্ষাৎ করিবেন ও পর