পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

  • २ कछ, e. छीन

মার্থ সম্বন্ধে কিছু কথা বার্তা কহিবেন। আরও বলিও রাজা যেন কোন চিন্তা না করেন র্তাহার কোন ভয় নাই । আমি কিছু যাচঞা করিতে আসি নাই কেবল র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিবার আমার প্রয়োজন আছে। দ্বারবান বলিল তোর মতন কাঙ্গাল কত জন আসিতেছে যাইতেছে, কতজনের খপর আমি লইয়া যাইব । যে ব্যক্তি খপর লইয়া যায় সে ব্যক্তি এখানে নাই । আমি খপর লইয়া যাই না। সে আসিলে খপর দিতে পারে । তখন সকাল হইতে তিন প্রহর পর্য্যন্ত । সেখানে শিবনারায়ণ বসিয়া রহিলেন,কেহ রাজাকে খপর দিল না ও শিবনারায়ণকেও কিছু খপর দিল না। তখন রাজার একজন খাননামা আসিল । তাহাকে শিবনারায়ণ এই সকল কথা বলিলেন ও রাজাকে সংবাদ । দিতে বলিলেন এবং দিলেন রাজা ধাহা বলেন তাহ। আমাকে আসিয়া বলিও । রাজার নিকট খানসামা যাইয়া সংবাদ দিল । রাজা জিজ্ঞাসা করিলেন সে ব্যক্তি গৃহস্থ, পণ্ডিত না সাধু। ভূত্য কহিল ইহার কোন চিহ্ন তাহার দেখা যায় না, সে অতি দরিদ্রের ন্যায়, তাহার গয়ে এক ছেড়া চাদর অাছে। রাজা বলিলেন তাহাকে জিজ্ঞাসা কর যে তুমি কে এবং তুমি কোন শাস্ত্র পড়িয়াছ এবং রাজার কাছে তোমার প্রয়োজন কি খানসামা আসিয়া শিবনারায়ণকে এই সকল কথা জিজ্ঞাসা করিল। শিবনারায়ণ বলিলেন দেখিতেছ অামি মনুষ্য, আমি শাস্ত্র পড়িয়াছি কি না পড়িয়াছি তাহা তুমি কেমন করিয়া বুঝিবে। রাজার কাছে যাইলে তিনি জানিতে পরিবেন এবং আমার অন্য কোন প্রয়োজন নাই কেবল স্বষ্টির কল্যাণ নিমিত্ত ঈশ্বর সম্বন্ধে কিছু কথা বার্তা আছে। খান র্তাহাকে বলিয়া । সামা যাইয়া রাজাকে সমস্ত বিবরণ জানাইলে রাজা বলিলেন আমার একজন পণ্ডিত যাইয় তাহার সহিত শাস্ত্রালোচনা করি- , বেন । যদি তিনি শাস্ত্রে পারগ হন ও অামার পণ্ডিত যদি তাহাকে এখানে আসিতে আজ্ঞা করেন তাহা হইলে আসিতে পারিবেন নচেৎ নহে। সেই কথা খানসাম৷ আসিয়া শিবনারায়ণকে কহিল এবং একটু পরে পণ্ডিত আসিয়া শিবনারায়ণের কাছে উপস্থিত হইলেন। পণ্ডিত জিজ্ঞাসা করিলেন আপনি কোন ধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়াছেন । শিবনারায়ণ পণ্ডিতকে জিজ্ঞাসা করিলেন ধৰ্ম্মের স্বরূপ কি, ধৰ্ম্ম কাহাকে বলে, পৃথিবীতে কয়টা ধৰ্ম্ম আছে। পণ্ডিত বলিলেন গৃহস্থ ব্রহ্মচারী এবং বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস এই চারি ধৰ্ম্ম আছে । এই সকল ধৰ্ম্মের কথা জিজ্ঞাসা করিতেছি । শিবনারায়ণ বলিলেন এই চারি ধৰ্ম্মের ক্রিয়। কি । পণ্ডিত এই চারি ধৰ্ম্মের ক্রিয়। বলিয়। শুনাইয়া দিলেন । শিবনারায়ণ বলিলেন এই তো চারি ধৰ্ম্ম তুমি মুখস্থ করিয়৷ বলিয়া দিলে আমি ও চারি ধৰ্ম্মের কথা শিখিয়া মুখস্থ করিয়া রাখিয়াছি। যদ্যপি আমি সেই ধৰ্ম্ম করি আর নাই করি আপনি কিরূপে জানিবেন । যদি আমি গেরুয়া বসন পরিয়া বলি যে আমি এই ধৰ্ম্ম করি আমার গায়েতে তো কোন ধৰ্ম্মের চিহ্ন লেখা নাই । আমি যদি বলি যে আমার হাড় চামড়ার নাম সন্ন্যাসী তাহা হইলে তো সকল গৃহস্থের শরীরে হাড় চামড়া অাছে আর যদি ইন্দ্রিয়ের নাম সন্ন্যাসী হয় তাহা হইলে তো সকল মনুম্যের ইন্দ্রিয় আছে আর যদি বাক্যের নাম সন্ন্যাসী হয় তাহা হইলে সকলেই তো বাক্য বলিতেছে তবে সন্ন্যাসী কা- ৷ হাকে বলে। পণ্ডিত বলিলেন সন্ন্যাসী