পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१३ कब्र, • ,זילי ృNరిం তত্ত্ববোধিনী পত্রিক আছেন কিন্তু কাশীর মধ্যে প্রত্যক্ষ বিরাজ ; ভ্রম এবং কষ্ট নিবারণ করিয়া আনন্দরূপ মান আছেন । শিবনারায়ণ বলিলেন যে ! থাকিবেন। আর ভ্রমে পতিত হইও না ও কাশী কাহাকে বলে এবং কাশী বস্তুত কি | রাজা প্রজাকে ভ্রমেতে পাতিত করিও এবং স্বরূপ কি এবং কি রূপে কাশীতে না । বিচার করিয়া আপনার ইষ্টকে শিব বিরাজমান আছেন। মনুষ্য রূপে কিথা চেন। পণ্ডিত আপনার মনে মনে ভামৃত্তিক কাষ্ঠ প্রস্তর রূপে বিরাজমান আ- বিতে লাগিলেন যে এ লোকটা কেরে যে ছেন। যদ্যপি মনুষ্য রূপে থাকেন তাহা ; সকলকে উড়াইয়া দিতেছে। যদ্যপি এ হইলে আমাকে দেখাইয়া দাও নতুবা | লোকটাকে রাজার কাছে লইয়। যাই তাহ বুঝাইয়া দাও । কিম্ব। যদি বল যে মৃত্তিক ; হইলে এ সকল বিষয় খুলিয়া বলিবে ও কাষ্ঠ ও প্রস্তর রূপে বিরাজমান আছেন | তাহাতে আমরা যেরূপে রাজা প্রজাদিগকে তাহা হইলে তো পৃথিবীতে নানা দেশে বুঝাইয়। রাখিয়াছি তাহাতে এই সকল নানা স্থামে মৃত্তিক কাষ্ঠ প্রস্তর পড়িয়া বিষয় প্রকাশ করিলে আমাদের অন্ন মারা আছে তাহ হইলে তো সকল স্থানেই । যাইবে এবং মানও থাকিবে না । পণ্ডিত শিব বিরাজমান আছেন । যদ্যপি তোমরা মৃত্তিক কাষ্ঠ প্রস্তর ইত্যাদি ধাতুকে শিব বল তাহা হইলে তো তাহাদিগকে অগ্নিতে নিক্ষেপ করিলে পুড়িয়া ভস্ম হইয়৷ যাইবে, তবে শিবের কি নাশ আছে তাহা আমাকে বুঝাইয়া দেন। শিব দেবতা রূপে কি চন্দ্রমা সূৰ্য্যনারায়ণ রূপে, কি রূপে বিরাজমান আছেন তাহা অামাকে বুঝাইয়া দে ও । যদি এইরূপে বিরাজমান থাকেন তাহা হইলে তো সকল স্থানেই র্তাহারা বিরাজমান আছেন তবে এখানে ওখানে যাইবার প্রয়োজন কি । শিবনারায়ণ আরও বলিলেন যে হে পণ্ডিত তর্ক বিতর্ক এবং মান অপমান জয় পরাজয় পরিত্যাগ করিয়া গম্ভীরভাবে বিচার পূর্বক আপনার ইষ্ট পরমাত্মা আন্তর্যামীকে চিন অথবা ত্রিগুণ আত্মা সাকার ব্রহ্ম জ্যোতিঃ স্বরূপকে চেন র্যাহার ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর নাম কল্পনা করা হইয়াছে । এই জ্যোতিঃস্বরূপ আত্মাকে জানিলে ভ্রমেতে পতিত হইতে হইবে না । ইনি তোমাদের সকল মনে মনে এই বিচার করিলেন এলোকটাকে কোন উপায়ে এখান হইতে তাড়াইলে ভাল হয়। পণ্ডিত এই বুঝিয়া শিবনারায়ণকে বলিলেন তুমি এখন এখানে বসিয়া থাক আমি রাজাকে জানাই । তিনি হুকুম দিলে তবে তুমি সেখানে যাইতে পাইবে। শিবদেবী কি বস্তু কি বস্তু হইয়া বিরাজমান । নারায়ণ সেইখানে বসিয়া রহিলেন। সেই আছেন, জল রূপে কিম্বা অগ্নি রূপে, বায়ু । সময় দ্বারের দ্বারবানের পরস্পর বলাবলি করিতেছিল যে মহারাজ এক দিবস বলি তেছিলেন যে আমার কাশী রাজ্য মধ্যে এমন কোন মহাত্মা সিদ্ধ পুরুষ জন্মাইলেন না যে এই স্থষ্টির রাজা প্রজার কষ্ট নিবারণ করেন । পণ্ডিত রাজার কাছে যাইয়া যাহ। বলিলেন তাহ পণ্ডিত জানেন আর রাজা জানেন । কিন্তু একজন দ্বারবান ! আসিয়া শিবনারায়ণকে বলিলেন এখানে অপর ব্যক্তির থাকিবার রাজার হুকুম নাই, তুমি উঠিয়া যাও। শিবনারায়ণ বলিলেন যে এখন সন্ধ্যা হইয়াছে। রাত্রিকাল এখানে । বিশ্রাম করিয়া প্রাতঃকালে চলিয়া যাইব । দ্বারবান বলিল উঠিয়া যাও নতুবা পুলিষে দিব। শিবনারায়ণ দেখিলেন যে আজ কাল । রাজা প্রজা পণ্ডিতদিগের বুদ্ধি ভ্ৰষ্ট হই