পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مداد ف যে শাখায় উপবেশন সেই শাখার মূলোচ্ছেদন \○○ উপরি-উক্ত দুইটি দৃস্টান্ত হইতে এইরূপ পাওয়া যাইতেছে যে, যেখানেই প্রভেদ সেইখানেই প্রভিন্ন বস্তুদ্বয়ের মধ্যে একটা না একটা অভেদ-স্থান অাছেই আছে। তেমনি আবার দেখানে যাইতে • পারে যে, যেখানেই অভেদস্থান সেইখানেই তাহ প্রভিন্ন বস্তু দ্বয়ের অভেদ স্থান । তেল আর জলের মধ্যে যদি প্রভেদ বিলুপ্ত হয়—তেলটুকু যদি কোন মহাপুরুষের মন্ত্রবলে জল হইয়া যায়—তবে উভয়ের সেই অভেদরেখাটি ও দৃষ্টি হইতে পলায়ন করে । কঠোপনিষদে অাছে “ঋতঃ পিবন্তে মুকুতস্য লোকে গুহা প্রবিষ্টে৷ পরমে পরাদ্ধে । ছায়াত.ে। ব্রহ্মবিদে বদস্তি’ জীবাত্মা এবং পরমায়া ছায়াতপের ন্যায় বিভিন্ন । তথাপি উভয়ের অভেদ স্থান এই যে, উভয়ই আত্মা । ভাগ-ত্যাগ লক্ষণা দ্বারা এই অভেদ-স্থানটীর প্রতি লক্ষ্য করিয়াই শঙ্করাচার্য্য বলিতেছেন “শিবোহং শিবোহং ” এই অভেদ-স্থানটিতে পরমাত্মার সংস্পর্শে জীবাত্মার পাপ-রাশি ভস্মীভূত হইবারই কথা এবং পুণ্যের খদ্যোতজ্যোতি ব্রহ্মানন্দের সূৰ্য্যালোকে কবলিত হইয়া যাইবারই কথা । কিন্তু সেই যে অভেদ স্থান—তাহা তো অণর অজ্ঞেয় শূন্যাকার নহে ; তাহা জ্ঞান-জ্যোতি ও আনন্দ-জ্যোতিতে পরিপূর্ণ। সেই অভেদ স্থানে যখন আত্মা বিরাজমান তখন কাজে-কাজেই বলিতে হইতেছে যে, সেখানে জ্ঞান-জ্ঞেয়-জ্ঞাতার মধ্যে কোন প্রভেদ নাই ; কেননা আত্মা-মাত্রেরই সম্বন্ধে বলা যাইতে পারে যে, তাহা জ্ঞানও বটে জ্ঞাতাও বটে এবং জ্ঞেয়ও বটে— আত্মা মাত্রই আপনাকে আপনি জানে ; যে—আপনাকে আপনি জানে না,তাহাকে ΠαΣΤΟ - ص طصصصصدموحد عد حصصيص= صـ আত্ম। বলা ও যা –দেয়াল বলাও তা”—একই। তবে আর উপরি-উক্ত অভেদ-স্থানীয় পরম পরিশুদ্ধ আত্মাকে অজ্ঞেয় বলি কিরূপে ? তিনি কি আপনার নিকটে এবং সাধকের নিকটে জ্ঞেয় নহেন । শঙ্করাচার্য্য তাত্মকে “ করতল-ন্যস্ত অমল কবং জ্ঞানে উপলব্ধি করিয়াছিলেন—তবুও কি বলিতে হইবে যে, তাহার নিকটে আত্মা অজ্ঞেয় শূন্যাকার ছিল ? 'ঙ্গরাচার্য্যের নিকট যদি পরব্রহ্ম অজ্ঞেয় শূন্যাকার হইতেন, তবে তিনি তন্য ব্যক্তিকে ব্রহ্ম-জ্ঞানের উপদেশ দিবার অধিকারীই হইতেন না ; ন, তাহার নিজের নিকটে যাহা কেন অজ্ঞেয়—তিনি নিজে যাহা জানেন না— তাহা তিনি অন্য ব্যক্তিকে শিক্ষা দিতে যান—-ইহা কত না লজ্জার কথা ! অতএব বিপিন বাবু পঞ্চদশীর এই يصلهم যে, একটি বচন উদ্ধত কবিয়াছেন যে, “স্বয়মেবানুভূতিস্থাৎ বিদ্যতে নানুভাব্যতা জ্ঞাতৃ জ্ঞানান্তরাভা বাং ” অর্থাৎ জ্ঞানান্তরের অভাব-প্রযুক্ত জ্ঞান অজ্ঞেয়—ইহার আদবেই কোন অর্থ নাই । কেন ? প্রদীপান্তরের অভাব-প্রযুক্ত প্রদীপ কি কখনও অদৃশ্য হয় ? তবে জ্ঞানান্তরের অভাব-প্রযুক্ত জ্ঞান অজ্ঞেয় হইবে প্রদীপ প্রকাশিত হইবার জন্য অন্য প্রদীপকে অপেক্ষা করে না—তাই বলিয়াই কি প্রদীপকে অদৃশ্য বলিতে হইবে ? জ্ঞান প্রকাশিত হইবার জন্য অন্য জ্ঞানকে অপেক্ষা করে না--তাই বলিয়াই কি জ্ঞানকে অজ্ঞেয় বলিতে হইবে ? প্রদীপ যেমন আপনার আলোকে আপনি প্রকাশিত, জ্ঞান তেমনি আপনার আলোকে আপনি জ্ঞাত—তবে আর জ্ঞান অজ্ঞেয় কি রূপে ? জ্ঞাত বস্তুকে অজ্ঞেয় বলা কি রূপ কথা ?