পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SNO3 চেতনের আভাস-মাত্র দেখিতে পাই— দুয়ের কোনোটিতেই আমরা আদত চেতন দেখিতে পাই না । হোচট খাইয় পড়িয়া যাইবার উপক্রম হইলে শুদ্ধ কেবল আত্ম-রক্ষিণী শক্তির উত্তেজনায় লোকে অজ্ঞাতসারে আপনার ভার-কেন্দ্রকে ঠিক করে—এটা স্বাভাবিক সংস্কার-শক্তির কাৰ্য্য ; কৃতবিদ্য লোকে পুস্তক পড়িবার সময় অজ্ঞাত-সারে অক্ষর বানান করে— । এটা কৃত্রিম সংস্কার-শক্তির কার্য্য। দুয়েতেই চেতনের আভাস বর্তমান আছে, ; অথচ দুইই অজ্ঞাত-সারে সম্পন্ন হইয়া । আমরা বলিলাম “আত্ম-রক্ষিণী । বলিতে হইতেছে যে, যে-শক্তি দড়ি-দ্বারা থাকে । শক্তি,” কিন্তু প্রভাত বাবু হয় তো বলিবেন যে, তাহ “প্রীতিক্ষেপিক শক্তি’ (reflex energy) for stafo arg—ofts cTã sfsl Ttf## (Mechanical) eifsfFT- श्रृद्धिाङ्गड़े (reactional force) &roto-CEW র্তাহার এ কথা যদি সত্যও হয় তথাপি তা সকলের প্রাতিক্ষেপিকা শক্তি তাহারই শাখা-প্রশাখা। হাতে আপাততঃ আমাদের কিছুই আইসে যায় না, কেননা প্রাতিক্ষেপিক শক্তি ও অন্ধশক্তি, আত্ম-রক্ষিণী শক্তি ও অন্ধ-শক্তি,অন্ধতাবিষয়ে দুইই সমান। কিন্তু বাস্তবিক সত্য এই যে, আত্ম-রক্ষিণী-শক্তি অন্ধ-সংস্কারহইলেও তাহা যান্ত্রিক প্রতি-ক্রিয়া-শক্তি অপেক্ষা অনেক উচ্চ-সোপানে অবস্থিতি করে। একটা বানর সাপের দিকে এগোবে না, কিন্তু একগাছি দড়ি দেখিলে স্বচ্ছন্দে তুলিয়া লইবে; কেন ? যেহেতু সপের বিষ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক__ ७२ कब्र, ० छात्र o করিয়া দেহাভ্যন্তরে প্রবেশ করিলে তবেই তাহ রক্তের মধ্যে কাৰ্য্য করিতে পারে। চক্ষুর উপরে বিষ যদি কাৰ্য্য-করিতেই না পাইল তবে তাহা কেমন করিয়া দূর-হইতে স্নায়ু-গ্রন্থির প্রাতিক্ষেপিক শক্তি উত্তেজিত করিবে ? অতএব বানরকে বিষ দাতের আঘাত হইতে সতর্ক করিয়া দেওয়া শুধু কেবল প্রাতিক্ষেপিকা শক্তির কৰ্ম্ম নহে ! নিছক প্রতিক্ষে পিকা শক্তির নিকট পাত্রাপাত্রের বিচার নাই;—আঙল দিয়। পায়ে সুড়সুড়ি দিলে ও প্রাতিক্ষেপিক শক্তি উত্তেজিত হয়, পালখ দিয়া পায়ে স্থ ড্রস্তুড়ি দিলেও তাহাই হয় ; কাজেই উত্তেজিত হয় না অথচ সপ-দ্বারা উত্তেজিত হয়, তাহা শুধু কেবল প্রীতিক্ষেপিক। শক্তি নহে—তাহ আরো কিছু ;—তাহ। আত্ম-রক্ষিণী শক্তি ;—আত্ম-রক্ষিণী শক্তিই এখানকার মূল শক্তি, স্নায়ু-গ্রন্থি এই আত্ম-রক্ষিণী শক্তি জীবের স্বভাব-সিদ্ধ ; তাই তাহাকে অণমারা নৈসর্গিক সংস্কার-শক্তি বলিয়া নির্দেশ করিলাম । পুস্তক পড়িবার শক্তি মনুষের স্বেীপার্জিত শক্তি—তাই তাহাকে আমরা বলিলাম—কৃত্রিম সংস্কার শক্তি । এইরূপ যেখানে যত প্রকার সংস্কার-শক্তি অাছে সমস্তেরই সম্বন্ধে বলা যাইতে পারে যে, তাহারা স্ব স্ব কার্যো তাছে ! কিন্তু সপের বিষ আছে বলিয়া প্রবৃন্ত হইবার সময় অজ্ঞাত-সারেই তৎ সৰ্প যে, চক্ষুরিন্দ্রিয়ে রজ্জ্ব অপেক্ষ বেশী- তং কাৰ্ঘ্যে প্রবৃত্ত হয়। কিন্তু সংযম-শক্তি মাত্রায় কাৰ্য্য করিবে—ম্নায়ুর প্রাতিক্ষে কোনো কালেই অজ্ঞাতসারে স্বকার্য্যে পিকা শক্তিকে বেশী মাত্রায় উত্তেজিত প্রবৃত্ত হয় না । সম্পূর্ণ সজ্ঞান-ভাবে (প্রবৃকরিবে, তাহ তো কোনো শাস্ত্রেই পাওয়া ন্তির প্রতিকূলেই হউক, আর অনুকূলেই যায় না ;–বিম তো আর দূর-হইতে চ হউক্) কর্তব্য স্থির করিয়৷ তদনুসারে কার্য্য ক্ষের উপরে কার্য্য করে না !—চৰ্ম্ম ভেদ | করা –যাহা সংস্কার-শক্তি দ্বারা কোনে । , ! fg