পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अथइfब्रणे ۵۶۵ پایه | প্রকৃতির পরিচায়ক লক্ষণ । ১৩৫ ভার। জীবনের জন্য লাঠালাঠি এখানে يوهg- == كاg মতেই সম্ভবে না—তাহাই সংযম-শক্তির মুখ্য পরিচয়-লক্ষণ । আর একটি কথা এই যে, সংস্কার-শক্তি পশুদিগের কেন্দ্র-স্থা- ৷ i লাঠালাঠি—কিন্তু জ্ঞানালোকের প্রভাবে মানব-মণ্ডলীর মধ্যে ক্রমশই আপনাতে নীয়, কিন্তু মনুষ্যের তাহা পরিধি-স্থানীয় ; ংযম-শক্তিই মনুষ্যের কেন্দ্র-স্থানীয় । ংযম-শক্তি দ্বারা সংস্কার-শক্তিকে নিয়মিত করিবার অধিকার শুদ্ধ কেবল মনুষ্যেতেই দেখিতে পাওয়া যায় : আত্মরক্ষিণী-শক্তি –সন্তান রক্ষিণী শক্তি – সমাজ বর্তমান ; তবে কি ? না মনুম্যেরই বেলায় কেবল—সেই সকল সংস্কার-শক্তির কেন্দ্রস্থানে সংঘমশক্তির জ্ঞান-চক্ষু প্রস্ফটিত । পূর্বে যেমন আমরা দেখিয়াছি যে, ণ - জাবেরও আছে উদ্ভিদের ও অাছে, কিন্তু তাহা সত্ত্বেও—ঔদ্ভিদ প্রাণ হইতে জৈবিক প্রাণ আর-এক স্বতস্ত্র ব্যাপার ; – লৌহ যেমন চুম্বকের সংস্পর্শে চুম্বক হইয়৷ দা- ৷ ড়ায় সেইরূপ জীবের প্রাণ মনের সংস্পর্শে আর-এক রকমের প্রাণ হইয়া দাড়ায়— প্রাণ × প্রাণের প্রতি টান—এইরূপ একটা যত্বের সামগ্ৰী হইয়া দাড়ায়। এ যেমন, তে- । মনি—মনুষ্যের দুৰ্ব্বিনীত পশু-প্রবৃত্তি সকল ংযম শক্তির অধীনে নিয়মিত হইয়া সুবি- ' নীত মনুষ্য-প্রবৃত্তিতে পরিণত হয়—লোঁহ সুবর্ণে পরিণত হয়—বিষ অমৃতে পরিণত হয়—অন্ধকার আলোকে পরিণত হয় ; ইহাতে করিয়াই মনুষ্যের সংস্কার-শক্তির আর একরূপ হইয়া দাড়ায় । জীবনের জন্য লাঠালাঠি (Struggle for life) প্রভূতি যে সকল ব্যাপার নিকৃষ্ট জীবের মধ্যে অন্ধভাবে কার্য্য করে – মনুষ্য সমাজে বিবেকের সংস্পর্শে তাহাদের মূৰ্ত্তি এরূপ পরিবর্তিত হইয়া যায় যে, তখন তাহাদিগকে চেনা ক্ষয় পাইতে থাকে। রক্ষিণী শক্তি – এইরূপ নানা প্রকার সং– । স্কার শক্তি পশু এবং মনুষ্য উভয়েতেই । আর-এক বেশ পরিধান করে—কি ? না । গগন-ভেদী উন্নতি-চেষ্টা ! পরের সঙ্গেই পরেতে প্রভেদ কমিয়া আসিতে থাকে —“পর” ক্ৰমে “আপনার” হইতে থাকে; কাজেই প্রতিদ্বন্দিপ্তর বিষ-দাত ক্রমশই কোনো ব্যক্তি যদি এত উচ্চে আরোহণ করে যে, পৃথিবীশুদ্ধ সমস্তই তাহার “আপনার”— কেহ তাহার “পর” নহে—তবে সে কাহার সঙ্গে লাঠালাঠি করিবে ? এ অবস্থার লাঠালাঠি আরেক ধরণের লাঠালাঠি— কি ? না পশু-প্রবৃত্তির সহিত দেব-প্রবৃত্তির লাঠালাঠি—জড়তা এবং মূঢ়তার সহিত জ্ঞানের লাঠালাঠি—অমঙ্গলের সহিত মঙ্গলের লাঠালাঠি—ইত্যাদি । মনুষ্যের সংস্কার এবং প্রবৃত্তি-সমূহ নিজে অন্ধ—কিন্তু সে-সমস্তের মূলে জ্ঞান বিদ্যমান থাকাতে সেই জ্ঞানের আলোকে তাহাদের আকার প্রকার ভাব ভঙ্গী নূতন একতরে হইয়া দাড়ায় । ব্যাঘ্ৰাদি জন্তর দ্বেষ হিংসা যেমন নিছক দ্বেষ-হিংসা, মনুষ্যের কদাপি সেরূপ সম্ভবে না;—মনুষ্যের দ্বেষ হিংসা সহস্র উত্তেজিত হইলেও তাহা জ্ঞানের রাস কশ অন্ততঃ কিয়ৎ পরিপাণে মান্য করে—নিতান্ত দুৰ্দ্দান্ত মনুষ্যও ব্যাঘ্ৰাদির ন্যায় ক্রোধে দিক্‌বিদিক্‌-শূন্য শ্ৰী ফিরিয়া গিয়া তাহার মূৰ্ত্তি সভ্য ভব্য হয় না ;—তাহার ক্রোধের পিছনে জ্ঞান রাস ধরিয়া কতক পরিমাণে জাগ্রত থাকে। এই জন্য মনুষ্যের সংস্কার এবং প্রবৃত্তি সমূহ অন্ধ হইয়াও চক্ষুষ্মানের মতো ভাণ করে ;–জলে চন্দ্রের প্রতিবিম্ব পড়িলে যেমন মনে হয় যে জলের অভ্যন্তরে চন্দ্র ভাসিতেছে—যেন সে চন্দ্র জলেরই চন্দ্ৰ ;